অতী ভোর বেলা,
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর মেলা,
ডালে ডালে কোন্ সে খুশীর মাতাল নাঁচন খেলা,
মধুর আবেশ ছোয়ায় ভরায় পরাণ, শত পাখপাখালীর কলতান ॥
ঘূম হতে জাগার সুমধুর ডাক,
শিশির ছোয়ায় গ্লানী ও বিষাদ ধূয়েমুছে যাক,  
কষ্টের স্মৃতি দুঃক্ষ হতাশা সব একটা ভারী চাদরে ঢাকা থাক,
একটি শুভ নব দিন, মুক্তির বার্তা ও যত দায়ঋন, সুন্দর আগামীর আহবান ॥
আলোভরা এই দিন,
এ জীবন এত ভোগ বিনোদন বাসনা রঙীন,
সে কি নহে বিধাতার,
অপরুপ এক অসীম অপার,
কাউকে কভূ মূল্য দিতে হয়না যার, এমন এক অফুরান নেয়ামত ও দান ॥
সে কি পাখীদের কষ্টের কান্না,
না কি ক্ষুধিত তৃষিত মনের পিয়াস বাসনা,
কোন সে আরজি নিবেদন, বুঝিতে পারেনা মন, কিবা তা হরষের গুনগান ॥
হয়ত এ মন হতো,
যদি সব তার জানতে পেতো,
কিছু প্রশ্ন কিছু ধারনা কিছু না জানা ও কিছু তার তাড়নার পুলকিত অবসান ॥
সে আকূতি বচন,
অবুঝ মধুর বিমূঢ় ঐ কন্ঠ ভাষন,
মন ভরে যায়, কানায় কানায়, তা করিয়া শ্রবণ,
আর্তনাদ আহাজারি না বিনোদন, কি গাহে কি কহে কি চাহে কার প্রাণ ॥
অজানা ক্রন্দন কিবা ঐ কথার ভাষা সব,
তপ্ত কিবা শীতল পবন পত্র পল্লব দোলায়িত বন যখন নিঝুম নিরব,
বন্ধু মোর হেতো যদি, ঝর্না ও সাগর নদী, জলের ঢেউয়ের কলতান কলরব,
কার কি বলার, কি অর্থ কোনটার, কার কি দরকার, তা জানিতে আমার সদা মন করে আনচান ॥
এই সোনালী সকাল,
মহা মূল্যবান সে চীরকাল,
ফুরফুরে ভাল লাগা এক টাল,
দুঃক্ষ যাতনার যেন এক লৌহ ঢাল,
একটা চারা গাছের নীচের এক খানা ডাল,
বাড়ায় আয়ু, সঁচল রাখে পায়ু, সবুজ সতেজ করে ক্লান্ত মন ও অলস দেহখান আর গুনীরা তার জীবনের পথ খুঁজে পান ॥