যেন কার, অস্ফুট কান্নার আওয়াজ শোনা যায় ॥
নবজাত এক শিশু যেন,
মানব সন্তান আজিকে কেন,
এত অবহেলিত, র্দূবল ও অসহায় ॥  
পরম আদরে মায়ের বুকে,
যে থাকার কথা নিরাপদে ও সুখে,
সে কেন ডাষ্টবিনে কিবা নালা নর্দমায় ॥
কার ঔরস জাত,
প্রসব নহে, তবে কি তা ঘৃনিত র্গভপাত,
দূড়ে কোন বেসরকারী হাসপাতাল কিবা ক্লিনিকের দাওয়ায় ॥
একেবারে অজানা ও অচেনা,
আর নাই কোন আপদ ঝামেলা কি ভয় ভাবনা,
যায় যাক শিশুর প্রাণ, বেঁচেছেতো আপন মান হয়েছে স্বস্তি কেনা,
সেরেছে দায়, এসে এই দূর বিভূঁই গোপন ঠিকানায় ॥
মানব শিশু ডাষ্টবিনে কেন,
মানূষ কেমনে অমানূষ হলো হেন,
দল বেঁধে সব কুকুরে ধরে তারে কামড়ে ছিড়ে খায় ॥
লোকে বলে শিক্ষিত,
তবে হীনমন্যতায় র্জজরিত,
মন ও মানষিকতায় ভীষন পীড়িত,
তারা মানূষ নামের অমানূষের তালিকায় ॥
সময়ের বদলে,
পূরনো খোলস বদলে ফেলে,
দিয়ে সারা গায় সাত রঙ ঢেলে,
ঐ গগনে দুখানা বিশাল পাখনা মেলে,
যারা নাম লিখিয়েছে, কূলীন জাতের খাতায় ॥
অতী উঁচূ জাত,
খায় বাসমতি কিবা চিনিগুড়া চালের ভাত,
বড় মাছের বিশাল ফালি আর দূধ কলায় ভরা সোনার থালার পাত,
দিনের চেয়ে আলো ভালোর চেয়েও ভালো সাত রঙে সাজানো ঝলমলে রাত,
ধরা ছোয়ার বাইরে তারা হয়তো যেন, অনেক লম্বা তাদের ঐ দুখানা যাদুর হাত,
সবই আছে তাদের কাছে, মন্দ রঙে সপ্ত ঢংয়ে তারা নাঁচে তেমনি বাঁচে, সুখ মান অঢেল কিনে রেখেছে টাকায় ॥
দুটি বিবেকের চোর,
হায় রয়েছে তারা মও বিভোর,
মিথ্যা মন্দ আর দারুন নেশার ঘোর,
বন্ধ যে ঘরের আহা সকল জানালা দ্বোর,
কেমনে পসিবে আলো ঘটিবে সকল ভালো হবে কাল নীশি ভোর,
পড়েছে যেন ফাঁদে, পরম বিষাদে, গুমরে কাঁদে মূর্মূষ মায়ামমতা, ঘূনে ধরেছে যেথা র্আত মানবতায় ॥
দুই অপরাধী,
জনতা হয়েছে বাদী,
গোপনে যারা জোট বাধি,
এক বিছানায় করিছে শয়ন না করে বিয়ে সাদী,
নাহলে কেন করিল হেন র্কম্ম নিজেদেরে তারা খুনের অভিযোগে বাধি,
আর সদ্য প্রসূত অবুঝ সন্তান তাদের বাঁচাতে তার আপন প্রান হলো ফরিয়াদী,
মিটিয়ে ক্ষুধা ঢের যৌন সুধা করেছে পান,
র্ববরতায় পশু যেন হেরে যায়, নিষ্ঠুরতায় হেন পর্বত পাষান,
সৃষ্ট ভ্রুনের মাঝে যে তাজা শিশু প্রান দায় নিতে তার বিবেকে কেন আটকায়,
বন্দি কেন কিসের সন্ধি কোন সে মোহ ছলকরা র্জীনজড়া ধোকা আর প্রতারনা ও দীনতা ভরা এ মেকি ভালবাসায় ॥
তা হয় হোক,
যা দেখে নাই জানে নাই লোক,
এখন কেন জানিল সর্বজনে, সচেতন সমাজের মনে মমতায় নেমে এলো ক্রোধ আর শোক,
এক জারজ সন্তান নিষ্পাপ ঐ সম্ভাবনাময় প্রান, বিঞ্জানের এত অবদান, কেমনে তবে এলো দুনিয়ায় ॥
সর্বনাশা,
এ কেমন ভালবাসা,
বলোনা তা কেমন বিয়ে,
সবার সনে প্রতারনা করে, গোপনে নিজেরে ঠকিয়ে কিবা ফাঁকি দিয়ে,
এ ভূল আর অপরাধ তবে কার, জনতা সোচ্চার, জানতে চায় তার গলদ কোথায় ॥
তারা কেমন বাবা মা,
লোকের ক্রোধ ক্ষোভ অপবাদ সব রইল জমা,
এ আধূনিক সভ্যতা কি তাদেরে কভূ করিবে ক্ষমা,
কেজানে হায় কজন আছে আর এ দুনিয়ায় তাদের মত,
কুকুর সম জঘন্য র্নিদয় র্নিমম নিকৃষ্টতম হতচ্ছাড়া ভাগ্যাহত,
কি চায় তা রলো অজানায়, আর কি পেলো তারা কি রতন হারায় ॥
যা হোক হয়েছে যখন প্রসব,
পার হয়ে গেছে যত ঘাট আর দায় গুলি তাদের সব,
আর কিসের ভয়,
হয়ে গেছে যেন রাজ্য জয়,
যে লোকালয়,
আলোছায়া ঘেরা নিঝুম নিরব যা লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়,
ছুড়ে ফেলে দিয়ে জীবন্ত প্রান,
সব ঝামেলার এই বুঝি হলো চীর অবসান,
যা ছিল এতদিন, র্মূখ বিবেকের কাছে ঋন, সারা মাথা জুড়ে র্দূভাবনায় ॥  
পূরূষ নামের,
নরপশু এক মহাকাপূরূষের,
চারিধারে যার অদেখা অপরাধ আর কলংকের ঘের,
ঐ শিশুটার পরিচয়ে,
ধমনীতে যার গোপনে লুকিয়ে,
আছে ঘৃনিত অপরাধী যে বাবায় ॥
আহারে,
ক্রোধ আর ঘৃনার ভারে,
সবাই ধিক ধিক দেয় তারে,
ঐ শিশুটারে গর্ভে ধরেছে যে বেহায়া অসতী অপয়া মায় ॥
রক্তের কিবা গর্ভের কেউ নয়,
তবু দেখো মানূষ কত আপন হয়,
সেইতো আসলে মানূষের জাত পরিচয়,
বুকে টেনে নিলো তারে এক ভিখারিনী মায়,
সারাদিনে যে দশঘরে দশজনে মেগে এনে শুধু এক বেলা খায় ॥
আপন বাবা মায়,
বাহিরে ছুড়ে ফেলে দিলো যারে হায়,
আস্তাকুড়ে নালা র্নদমা কিবা পথের ধূলায়,        
সোনা রুপার উঞ্চ জলেতে তারে নাওয়ায়,
নিয়ে থানা, হাসপাতাল ও আদালত আংগীনায়,
কত ¯েœহময়ী মায় তারে দূধ খাওয়াতে ছুটে চলে যায়,  
নতূন জামা কাপড় পরিধান করায়,
শত লোকে কেন তারে, বুকে তুলে পরম আদরে, আপন করে ঘরে নিতে চায় ॥
কাংখিত জন,
অপরাধী ঐ দুজন,
হয়ে এক দেহ এক মন,
ক্ষুদ্র এক অচেনা বিশ্রী ভূবন,
যেথা নিষিদ্ধ মিলন আর ভোগ বিনোদন,
যেন তারা রাজ্য ও সিংহাসন ছাড়া রানী ও রাজন,
কেন তার ফসল আজ এখন এত অনাহুত অকারন,
হলো অবাঞ্ছিত, আর্বজনার মত দিচ্ছ তারে বির্সজন,
দায় নিতে আর পরিচয় দিতে কেন হায় মরে যায় তারা আজ লজ¦ায় ॥
ওরে ভাই,
মন্দে কেন লজ¦া সরম নাই,
ভাল কাজে ভাল হতে কেন এত প্রবল তাই,
অন্ধকারে মোখ লুকাই, তবু শ্রেষ্ঠ হবার বড়াই, করে তারা কেমনে সবায় ॥
মানবতা যেন হায় পড়েছে ফাঁদে,
নাহলে কেন সদ্যপ্রসূত শিশু রাস্তায় পরে কাঁদে,  
কে আছে মোর দলে, দুকথা তাদেরে উচিৎ সত্য বলে, সে কান্না আসলে জানিনা কজনে শুনতে পায় ॥
ধিক তাদেরে ধিক,
ঐ বাবা মা ও ডিজিটাল এ সভ্যতারে ধিক,
জানিনা এ ধিক ওরে কতখানি ন্যায় কিবা সঠিক,
বাপমা থাকা শিশু কেন, পরের কাছে মাগিবে প্রাণ ভিখ,
নাগালে পেলে হয়ত অনেকে, তাদেরে দিত কফ থুথু কিবা পিক,
জনতার হাতে মার খাওয়া থেকে বেঁচে গেলো, যদিও পেলো ধিক তার বাবামায় তারচে অধিক,
যেটুকু মমতা চৌদিক হতে ভেসে, জুড়িল এসে ঐ শিশুরে জড়ায় ॥
হিসাব কর,
তবে কোনটা বড়,
বুঝি বোধ বিবেকের হয়েছে বড়ই আকাল,
হেয়ালী মনের মাতাল নেশা ও আবেগ ভরা খেয়াল,
জন্ম হোক যথাতথা, তাতে কি আসে যায়,
কর্মে হলো মানুষের পরিচয়, হয় হোক অমানুষ কারো বাবামায়,
নহে বিদ্যা কিবা ওরে নহে বিত্তধনে,
কি হবে সোনার মুকুট পড়ে, বসে থেকে রাজ সিংহাসনে,
সেতো জানে ওরে সর্বজনে, এ সবকিছুই করিবে হরণ হঠাৎ এসে ঐ দস্যু মরণে,
দম্ভ ও ক্ষমতায় নহে,
যদিও নিরীহ মানুষ তাদের জুলুম সহে,
আবু হকে কহে, তারাইতো বিজয়ের ঝান্ডা বহে, ওরে সব গর্ব, বাহাদুরি ও শুধু মানুষ হওয়াটায় ॥
অনূভবে চেতনায় নাই যার তৃতীয় নয়ন,
কেমনে কবে বলো সে হবে মানুষ ও হবে শুদ্ধ শোধন,
লভে দরশন হবে লাভবান হবে সাধন,
তাইতো ওরে নিষ্পাপ কত মানব শিশুর ভয়াল জীবন,
ডাষ্টবিনে পড়েও যায়না মরে নতুন জীবন পায়, যদি চাহে বিধাতায়,
অকারণে অবলীলায়, মানূষ যখন পশু হয়ে যায়, জানিনা আমরা এখন এ কোন সভ্যতায়,  
পশুর চরণে ধরে, কাকতি মিনতি ভরে, চিৎকার করে কেন এক অসহায় মানব শিশু, প্রাণে বাঁচিতে চায় ॥
জুড়ি নেই তার, আহা ঐ বাবা মার,
নিজ শিশু সন্তান প্রাণ যারা অবলীলায় করিল করিছে সংহার,
যদি তারা মোখ দেখিতো,
এ পাশবিক ঘটনা তবেকি ওরে কভু ঘটিত,
এই ইতিহাস কেউ না লেখিতে ও না পড়িতে মানুষ হতো,
আপন হৃদয় জুড়ে থাকা ঐ বিশাল আয়নাটায়,
সাংবাদিক, জাতির বিবেক সঠিক, অন্ধকারে আলোক ছড়ায়,
ঘার ধরে টেনে এনে চোখে আংগুল দিয়ে ঢাকনা খুলে সত্যটা সবারে দেখায়,
কল্প কিবা বানানো সাজানো অলীক গাথা নহে, সত্য গল্প ঘৃনায় ভরা কাহিনীর অমর এ ইতিহাস রচনায় ॥