ভূমিকা – তৃতীয় চোখে দেখা জীবনের একখানা বিরস গল্প । হালাল টাকা ও মেধা আর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততার অবিচল আস্থা ও মনোবল । অল্প টাকা, স্বল্প সামর্থ্য ও নানা সীমাবদ্ধতার ঘের দেওয়া যেন এক ক্ষুদ্র সীমানা । তবু ভাল একটা কাজের অন্বেষণ, এমন কাজ যেন আলো ও ভালোয় তার কাটে সময় । চাই অসহায় মানুষের ক্ষুদ্র হলেও কিছু সেবা ও উপকার এবং মংগল ও কল্যাণ । উপার্জন যেমনই হোক, তাতে যেন হয় অঢেল পুণ্য সাধন । অহর্নিশ সে স্বপ্ন দেখা আর নিভৃতে তার জালবোনা । মহৎ সে সৃজন বাসনা, বড়বড় আশা করা ও বানানো তার চমৎকার সব পরিকল্পনা ।
কবির ভাষায় - সাহসী ঐ ক্ষুদে উদ্দোক্তার দৃঢ় মনোবল, বিশ্বাস ও ধারণা - এ জগতে কিছুই অসম্ভব নয় যদিরে হয় তাতে দয়াময় দাতা ও মহান বিধাতার সামাণ্য মর্জী ও করুণা । কোন মহৎ ও উদার মনন, গবেষণ ও দরশনই কিবা তার ক্ষুদ্র সৃজন সাধও মিথ্যে হবার মতন নয় । তার অটল বিশ্বাস - কোন একক বা সম্মিলিত দক্ষতা, একতা, অভিজ্ঞতা ও সততাই ফেলা যাবেনা, একদিন না একদিন হবেই হবে তার বিকাশ ও সাধন । মাথা উঁচু করে দাড়াবেই তার স্বপ্নে দেখা বা কল্পনার ঐ বৃহত সৃজন । আর ঐ সফল সৃজন কিবা বিফল হওয়া শুধু তার ঐ বাসনা, উদ্দ্যম, উদ্দোগ ও একাগ্র প্রয়াসটুকুও নাকি তা জীবনে কি মরণে মাটিতে ও আকাশে কোথাও কভু বৃথা কিবা মূল্যহীন হয়ে যায়না ও যাবেনা ।


পর্ণ-০১


আমার নাকি সরম নাই, ঘরের মাইন্সে কয় ।
আমি নাকি পরের আশা করি,
যাকে তাকে ব্যবসার কথা বলি আর ধরি,
বোকার মতই শূন্যহাতে দিনেরাতে শূন্যে প্রাসাদ গড়ি,
বলে, সবাই নাকি তারে কথা শোনায়, সেকি নহে তার লজ্বার বিষয় ।
যার নাই পূঁজি,
ওরে ভাই পূঁজি ছাড়াকি হয়রে রুজি,
একটার পর একটা শুধু পরিকল্পনা বানাই আর অংশীদার খুঁজি,
যার নিজের টাকা নাই, পরের টাকায় কিরে ভাই কখনো ব্যবসা হয় ।
আমি নাকি লোভী,
লোকের ধনে ধনী হতে আগ্রহী খুবই,
এভাবে ওরে যারা ব্যবসা করে তারাকি সবাই গেছে ডুবি,
যে করে পরের আশ,
ওরে সেতো এক সর্বনাশ,
পায়না ভাত, খেতে হয় নাকি বনের ঘাস,
তবে বিজ্ঞজনে কয়, পরনির্ভরতা ও মুখাপেক্ষিতা মোটেও ভালো নয় ।
যদি রহে কারো ব্যবসায়ে মন,
একখানা প্রস্তাবইতো শুধু করছি উপস্থাপন,
তাই প্রয়োজন ওরে, আলোচনা, পরামর্শ ও কথোপকথন,
সেতো আর কিছু নয়, একটু প্রচারণা ও একটা সংঘবদ্ধ ভালকাজের আমন্ত্রণ,
এত কিসের দ্বিধা-ভয়,
সেতো ওরে কোন সাদা দলিলে চোখ বুজে সই করা নয়,  
আসিছে এমন একখান বিজ্ঞাপন, সকল বিজ্ঞজনের মতামত ও খোলামেলা ভাব বিনিময় ।
কে বলেছে মোর টাকা নাই,
ভালো কিবা বড় কিছু করি আমিতো তাই চাই,
তবে কি লোকে চায়, আমি তা উড়িয়ে দেখাই,
নাহয় দিলামই, আমার দশ লাখেতো লক্ষ্য পূরণ হচ্ছেনারে ভাই,
অল্প টাকা বলে, কজনে একত্র হলে, পূঁজিটা বেশ বড় হবে তাই,
স্বচ্ছন্দে অনায়াসে সম হারে, যেন বিনিয়োগ করতে পারে সবাই,
তাছাড়া বৃহত সৃজনে শুনেছি বলেন বিজ্ঞজনে, কিছু সুজন ও বিচক্ষণ সংগীতো থাকা চাইই চাই ।
মিথ্যে নয় একতাই বল,
পূঁজিটা হয় বড় ও ব্যবসা সফল,
এমন একটা সংগঠন ভালো মানুষের দল,
যার অল্প পূঁজি ক্ষুদ্র সাহস ও সম্বল,
এমন বিচ্ছিন্ন বড়মন বড়স্বপ্ন ও বড় আশাগুলি একবৃন্তে হয় সচ্ছল,
সম্মিলিত অটল সাহসী মনোবল, বিন্দুবিন্দু জল গড়ে সাগর অতল, সে এক দূর্লভ বিজয় ।
তা মোর নিশ্চয় কোন লোভ নয় ভাই,
ঠিকই তাতে মোর কোন সংকোচ জড়তা ও দ্বিধা সংসয় নাই,
সেতো হতে পারতো, খোটা না হয়ে আমার, মহৎ সৃজন বাসনার বিলাস ও বড়াই,
শুধু বাড়ীগাড়ী ছাড়া, শান্তি-সুখ ভরা এই বুক আমারতো ওরে সবই আছে,
কই বলোতো এ জীবনে,
স্বজন কিবা নয় হেন কোন বিত্তশালীগণে,
কভু প্রকাশে কিবা গোপনে, ওরে সে কারণে, কবে কয়বার আমি গিয়েছি কার কাছে,  
মিলেমিশে সমমনা এমন কয়জনে,
অসম্ভব বলে কিছু নেই এ ভুবন বা কঠিন জীবনে,
তাই, শিক্ষিত সৎ ভদ্র ও বিচক্ষণ সংঘ বেধে এমন সুজনের সনে,
শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বা পূঁজিতে শ্রেষ্ঠ কাজ, পুণ্য ও উত্তম রুজিতে বিশ্বাসী ও আগ্রহী গণে,
তবেকি মিথ্যে ঐ বচন এতদিন যা শুনেছি সমবায়ে নাকি হয় বিশাল অসাধ্য সাধন, সেতো কারো একার নয় ।


পর্ণ-০২


আমিকি তবে কোন চোর,
নাকি তা মোর কোন আবেগ বা নেশার ঘোর,
মূর্খ অশিক্ষিত অদক্ষ অসৎ অথর্ব, রয়েছি কি আমি কোন ভুলেতে বিভোর,
নাকি করেছি এনিয়ে কাউকে কোনদিন আমি, কোন বিরক্ত, পীড়াপীড়ি কিবা জবরদস্তি ও জোর,
যারা রাজার ঋনে,
যাদের রাতের অন্ধকার রহে ব্যাপী দিনে,
নানা ভুল ছড়িয়ে ও জড়িয়ে রয়েছে যেন রঙীন সারাটা জীবনে,
খায় দুধ বেঁচে মদ কিনে, ভাবনা মোর কবে তাদের মনভুবনে আসিবে সোনালী ভোর,
নাই প্রয়োজন,
তবু কতজনে চাহে আরও ধন,
নয়ন ও মন শোনে কি শুনেছ কখনোও বারণ,
আসলে সেও এক কঠিন কাজ, করা লোভ সম্বরণ ও মনশাসন,
রাজার সনে আকাশে গোপনে, হয়েছিল কি সন্ধি তা বুঝি কারোই আর নাই স্বরণ,
কাউকে দিতে কিবা দান করিতে নয়, পেতে ও করিতে ভোগ তা সিন্ধুকে রেখে করে বন্দি ও সঞ্চয় ।
ভুলে গেছে যত সব বিত্তশালী ও বিদ্যান,
মিথ্যে নয় দিতে হয় তারে, এ জীবন সুখ ও ধন-জন যার দান,
মোখ ফুটে কভু না বললেও হায়,
সেযে কিছু আশা করে ও নিরবে গোপনে পেতে চায়,  
সব রাজায়ইতো এমনিতেই তার সব প্রজার কাছে কর-খাজনা, পূঁজা ও প্রণাম পায়,
তাইতো তা সোনালী সুবিধাভোগী ঐ বান্দার রয়েছে যার ধনের পাহাড় হয়েছে দায়,
আপনি তা বুঝে নিতে ও দিতে হয়,
আবু হকে বলে সে কিরে মানুষের পরিচয় তাহলে, তা না বুঝিলে কিবা নাদিলে তারে কিছু প্রতিদান ও বিনিময় ।
ভালো কজে কতযে বাঁধা,
নির্বোধ বিবেকের লাগি তা এক গোলক ধাঁধা,
নাহলে কেনরে বানালো খোদায় সাতখানা জাহান্নাম ওরে দাদা,
মানুষের দলে রয়েছে কতনা, মোখ দেখেতো যায়না চেনা, অমানুষ পশু গরু ও গাঁধা,
ধনের মোহ ও মায়ার কারণ,
ওরে করতে ওতো পারে ও করে সে তার মনেরে বারণ,
ওরে করিসনে দান, করে দিলেম তরে সাবধান, হতে পারে তাতে তোর কমে যাবে ধন,
কেজানে তা কিনা মোহর মারা, বিধাতারে ভুলে রয়েছে যারা, বিভোর পথহারা হতভাগা ঐ আত্বার পরিচয় ।  
দশে মিলে যদি করি হেন কোন ভালো কাজ,
বলো তাতে কিসের ক্ষতি, কিসের ভয়, কিসের খোটা বা কোন সে লাজ,
মনটারে প্রশ্ন করে ওরে বোকা মন,
যদিরে হয়, পরের সেবা, নিজের পুণ্য ও কিছু হালাল উপার্জন,
জেনেও তাতে অনেক লাভ ও বিশাল প্রাপ্তি, কেন তবে হয়রে এত কুন্ঠা ও দীনতা এমন,
তারচেয়ে ধন্য মহান, বিধাতার পরম নেয়ামত ও দান, বলোতো আছে এ জগতে আর কোন সে জীবন,
তাকে বলতে এত সংকোচ ও সংসয় কেন, জীবনের একটি দমের দাম,
যদি হয় পরিশোধ, কৃতজ্ঞ বিবেকের বোধ, বলে শুধু দুটি ভালকথা ও করে একটি কোন ক্ষুদ্র ভালকাম,
সে কি ওরে তবে,
নিন্দা ও সমালোচনাটাই কিরে শুধু প্রাপ্য হবে,
ভালোকে না বললে ভালো, সে যে ওরে বিবেকের এ ছোট্ট মাথায় তবে,
সেযে বোঝার উপর শাকের আঁটি হায়, যোগ হবে আরও কিছু দায়, যা শুধু চিরকালই অনাদায় পড়ে রবে,
তাইকি বলবে সবে, প্রশংসা কিবা সমর্থন পাবার মতন কোন প্রস্তাব কিবা কাজইতো তাহা নয় ।  


পর্ণ-০৩

তারা মন্দ করে বলে,
অনেক দেখেশুনে বেছেগুণে ও হিসেব করে চলে,
দেখেছি কতজনে কত উপহাস, বিদ্রুপ ও তিরস্কার করে তামাসার ছলে,
ভয়ে মরে ভরে আছে বলে কানায়কানা নকলে,
ওরে ভয় কি তাতে, দিনদুপুরে নহে আঁধার রাতে, আবু হকে বলে,
এক ঝলকে চোখের পলকে যাদুর পরশে কত কালো টাকা সাদা হয়ে যায় সময় হলে,
কালো টাকা তা বোধহয় সবার জানা, নয়রে কেন তা ঢাকা দিয়ে রাখা লুকিয়ে কালো কাপড়ের তলে,
মনে কত ভয়, অসৎ কিবা হারামের উপার্জন,
ব্যবসায় বিনিয়োগ করার ঝুকি, কিবা এত পুণ্যটারইবা কি প্রয়োজন,
এত কষ্টের ঐ ধন যদিরে কখন, একটু ভুলে হয় কৌশলে হরণ, কিবা ঐ সুযোগে কেউবা তা হাতিয়ে লয় ।
ভাবে সব ফেলেছে শিখে,
হয়েছে দেখা যা রয়েছে পড়ে আশেপাশে চারিদিকে,
বলো কেমনে দেখাই ও শেখাই, যারা চোখ থেকেও আজও কানা,
ঐ পন্ডিতগণের, চৌদিকে মোহ মন্দ ও ভুলের ঘের, এখনও যাদের অনেক অজানা,
যৌথ মালিকানার ব্যবসাখানা,
এমন ব্যবসা কি ওরে এ জগতে নাই কিবা হয়না,
বেড়ে উঠে দিন দিন, রঙ ধরে রঙীন, নিপুণ চমৎকার যে ব্যবস্থাপনা,
একতায় বেড়ে হয় অসম বল,
সততায়, সেতো বিধাতার দায়, হয় হবেই সফল,
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে জল,
সেই জলে নদী বয়ে ছুটে চলে অবিরল কলকল ছলছল,
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির জল, ভরেছে গড়েছে থইথই সাগর অতল, এমনি করেইতো একদিন মহাসাগর হয় ।
আবু হকে শুধু বারবার কহে,
কিছু লোকের মন্দ ও জীবনের শুধু ব্যর্থতা ও পরাজয় নহে,
জয়-পরাজয় ও লাভ-ক্ষতি, যখন যেমন নিয়তির হয় সুমতি, সেইতো গতি এ জীবন যা বুকে লয়ে বহে,
নহে তা সুখের দোলনা,
ফুলের পাপড়ি দলে ছড়ানো কোমল বিছানা,
হাতের কাছে সোনার চামচ, সোনার থালা ও সোনার দুধের বাটি,
আকাশের আলোয় সকল ভালোয় সোনা ছড়ানো সুখ ভরানো পায়ের তলার দূর্বা ঘাসের ঐ মাটি,
কেউ নহে অক্ষম ও দূর্বল,
কত বিজ্ঞ বিত্তশালীওতো দেখেছি হয় বিফল,
হাটু পানিতে পড়ে গড়াগড়ি করে কাবু হয়ে খায় কাদাজল,
আর রয়েছে যার বুকেতে অপার সত্য সাহস ও স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস অটল,
সেতো সত্য, কত অদক্ষ অশিক্ষিত লোকের ভাগ্যটাও হয় সুপ্রসন্ন ও করে তা ঝলমল,
এইতো জীবন কারো আছে কারো নেই তেমন ধন, সবে নয় তবু কেউ কেউ হয় জীবনে ধন্য ও  সফল,
মনোবল অবিচল, বিধাতার করুণার ঢলে শুকনাতে নৌকা চলে, সাফল্যের ঐ গল্পগুলিও জানিতে হয় ।
পঞ্চাশ বছর আগে, দূরপাল্লার বাসে বাথরুম,
ট্রেনের মত বাসে কেন নেই, মামা বলেছিল অবেটা তোর কেমনে রাতে হয়রে ঘুম,
স্বজন জ্ঞানী-গুনীর দল,
তারা বলে মোরে কিবা হয়ত বলছে পাগল,
কথার বাণে অকপটে আঘাত হানে, জানে বলেইতো মারে ছোবল,
মোর সাধ্য নাই, মন চায় একাই করে সবারে চমক দেখাই, আমিযে হায় ধনে দূর্বল,
মিশেমিলে এমন উদ্দোগী প্রত্যয়ী আশাবাদী হলে, সৃজন বিলাসী এমন একশত জন যারা অল্পই স্বচ্ছল,
ভাবছি যখন সুস্থীর হয়ে আমি,
দিনে দিনে কেনরে যাচ্ছে জমির দাম কমি,
হেথাও যেন রাহুর কবল, দাম শুনে যেন মাথাটা যায় ঘামি,
সবটুকু তার ওরে, যেটুকু রয়েছে আমার বিনালাভে গাঁয়ে পড়ে, পৈত্রিক জায়গা-জমি, করে দেবো বিক্রয় ।


পর্ণ-০৪


তেমন কোন ঔষধ নাই,
মুখ্য হবে পরিবেশ, পথ্য ও সেবাটাই,
এমন খাবার ও পানীয় যেন সব ঔষধ হেথা পাই,
নাই কাটা-ছেড়া, রক্তপাত ও পুঁজ, কোন ব্যথা কিবা সেলাই,
ডাক্তাররা সব গেলো কই, আসলে নিজেরাই যেন ডাক্তার ঐ রোগীরা সবাই,
নেবো পাকা সেবিকার কাজ শিখাই,
যাদের পিতামাতা কিবা স্বামী-সন্তানের ঘর-সংসার নাই,
করিব তাদের সবারে পালন, দিয়ে অন্ন-বস্ত্র, চিকিৎসা ও নিরাপদ সম্মানের ঠাই,  
দরিদ্র ও স্বল্প শিক্ষিত অসহায়, যারা নিজেরাই নিজের দায়, এমন কায়ঃমন সেবিকা  নিয়োগ করে যদিরে পাই,      
শুধু উন্নত সেবা ও যতন,
করে সেরা খাবার বাছাই ও তা নিয়ন্ত্রন,
রেখে ও করে রুগ্ন দেহটা চাংগা ও হরষে ভরে বিরস মন,
নিয়মে এনে, ধরে টেনে ও বেঁধে রেখে অগুছালো ও অনিয়মের সব জীবন,
এ দেহ খাঁচাটা সবল রেখে সুস্থ্য থেকে শান্তি-সুখে বাঁচা, ভেদ আর গোপন মন্ত্র মোদের হবে ওটাই,
এখনও বলছি যখন,
এসো মিলে সমমনা আমরা কয়জন,
শুধু অর্থ কিবা ব্যবসা নয়, সেবা ও পুণ্যটাও যেন হয় সাধন,
বসে বানাই,
জানিনা কবে তা হবে ভাই,
আকাশে ও মাটিতে দুখানা যার কোন নজির নাই,  
বিস্ময়কর ও অভুত সুন্দর, হাসপাতালতো নয় যেন শান্তির ঠাই,
সামাণ্য দামে কি শহর কি গ্রামে, ঘরে বসেই চিকিৎসা পাবে ধনী-গরীব সবাই,  
এমন অত্যাধুনিক বিশ্বময় পড়বে হিড়িক, আসবে দলেদলে রোগী হতে চৌদিক, আজব ও অভিনব চিকিৎসালয় ।
বলো শুয়ে-বসে আমি কেন খাই,
হাতে তেমন ভালো কোন কাজ নাই বলেইতো ভাই,
আমি কি কোন কাজ জানিনা, নাকি নাই তার কোন যোগ্যতাই,  
বিধাতায় খুশী হয় আর লোকেও ভালো কয়, এমন একটা কাজ পেতে চাই,
ভালোয় যেন কাটে সময়, জীবন হয় পুণ্যময়, জীবিকার তরে হাতে ও ঘরে কয়টা টাকাও পাই,
আমার কি নাই কোন বিদ্যা কিবা কাজ জানা,
কি কাজে লাগাই ভেবে নাহি পাই, ক্ষুদ্র মোর যোগ্যতা ও সামর্থ্যখানা,
তাতো ওরে জানা ছিলনা, এ যুগের কাছে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততার মূল্য নেই কড়িকানা,  
আমি হই দামী ও করতে পারি,
লোকের করুণা যেনরে কভু আমি না যাচি ও ধারি,
কেউ নাই ও কিছু নাই বলে, ঐ বিফলে গিয়ে হারি,
এমন মানুষের সেবা এ জগতে যারা যেবা, মোখবুজে করে আহাজারি,
হে মোর অন্তর্যামী, তাতেই যেন আমি এমন বড় হয়ে যাই,
নাই কোন আমার ঐ মহারাজার দায়-দেনা আর সব অভিযোগ ও অপরাধ যেন হয়ে যায় নাই,
হে মহান বিচারপতি,
না হয়ে যায় যেন আমার, এমন কোন ক্ষতি,
আর কভু আমি না যাই হারি ও করতে পারি, রয়েও মিথ্যা-মন্দে ঘেরা, সৃষ্টির সেরা মানুষ হবার বড়াই,
হাতে পাই তোমার অতিথিশালার রাজ-কুটুম হবার নিমন্ত্রণ আর, খাস গোলামের ঐ সনদপত্র ও পরিচয় ।


পর্ণ-০৫


লোকের রয়েছে এত ধন,
আসলে তাদের যেন নেই তার প্রয়োজন,
তবু যেন হায়, নাই নাই আরও চায়, কেনযে ভাবটা এমন,
কেন ভরেনা যেন আজও ভরেনি, খোদ দাতারে করিতে সামাণ্য দান চাহেনা মন,
বলে আমি তার দাস, হয়নি আলো ও ভালোর চাষ, তবেকি জীবন মানে শুধুই বিলাস ও ভোগবিনোদন,
কেনরে বিরান খোদার জমিন,
তাতে কি ওরে বাড়ছেনা অধম গোলামের ঋন,
গড়ো এমন বীজতলা আর করো তাতে, যেন বিশ্বটা যুগ-যুগান্তর সাজে ও মাতে, সহস্র-কোটি অগনন চারা রোপণ,  
করো সামাণ্য দান, করো একটুখানি বিনিয়োগ এমন,
ধুয়ে যাবে সব মনের রোগ, হবে বিপুল প্রাপ্তি যোগ, মহাপুণ্য সাধন লভে মহাকাল অনন্ত জীবন,
তা কিরে হয়না তাদের বিশ্বাস,
এই ধন মরণে কেউ সংগে নেবার নেই কোন অবকাশ,
শুধু আপনার পাপ-পুণ্যগুলি,
দেখানো হবে ওরে যার কামাই তারে, ঐ খতিয়ান ও ঝোলাটা খুলি,
সংগে থাকে ও সংগে যায়, মুছে কিবা যায়না হারায়, আত্মার সনে হয় তার চির বসবাস,
ধন-জন সবই হবে তোমার পর,
মরণে পাবে তুমি পা হতে মাখায় শুধু একভাজ সাদা কাপড়,
আর চির ঠিকানা ওরে হবে তোমার, কেবলই ছোট্ট একখানা ভিজা মাটির বসত ঘর,
মহাকাল চিরতর,
তুমি হয়ে রবে একাকি তার ভিতর,
মাটিতে মিশে মাটি হয়ে যাওয়া তবু অনুভবে ও চেতনায় পাওয়া, একটা অক্ষম ও অসার জিন্দা লাশ,  
সেতো সবারই জানা,
এ জগতে আরতো ওরে কারোই রবেনা,
যত বিদ্যান পন্ডিত ক্ষমতাবান এ সমাজের মাথা ও বিত্তশালী কানা,
আর কোন তার ধন-জনের উপর অধিকার, ক্ষমতা ও মালিকানা, সেতো চিরসত্য সঠিক  ষোলআনা নিশ্চয় ।
অ ভাই যারযার দুনিয়ার ধন,
কে করেছে কেমনে কবে তা অর্জন ও উপার্জন,
কোনপথে কেবা তা করেছে ব্যয়, ঐ হিসাব লবেন তার মহাজন,
তা ছিল দেওয়া যার, দুদিনের করুণার ধার, কিবা মহারাজার নিজ ব্যবসার দাদন,
মরণে শুধু তার জীবনের দেনাদায়,
যার যার পুণ্য-গুনাহগুলি অজানায় তার সংগেই ওরে যায়,
কে আছে তার গোঁজামিল ও কারচুপি করে ঐ সে হিসাবটার, কিবা তা রাখে লুকায়,
রেখে যাওয়া ধন ও সন্তানগণের পুণ্য ও পাপের ভাগ, কবরে শুয়ে থেকে তাদের বাবামায় পায়,
ওরে মন তবে ঐ ধন, পরের হয়ে যাবার ভয় কেনরে নয়,
যারা বিচক্ষণ নিজ ধন নিজের হাতে করে দান, লভে জীবন পরম শান্তিময়,
সুখ তৃপ্তি ও আনন্দ পান, মহাপুণ্যে লাভবান ও জীবনে নেই কোন লোকসান বা পরাজয়,
কাঁধে রাখা যার এসবের সবটুকু দায়ভার, তার কেন নাই এ নিয়ে ভাই কোন মাথাব্যথা কিবা ভাবনা ও ভয় ।


পর্ণ-০৬


ফুটেছে যার তৃতীয় নয়ন,
ধন্য সেজন ধন্য তার দুইখানা জীবন,
মরণ যেন গর্ব করে, করিতে তারে সাদরে আলিংগন,
গবেষণ ও দরশন, দিয়েছে খুলে সব জানালা-দুয়ার হয়েছে তার সাধন,
সব দেখে অনুভবে ও চেতনায়,
মাটিতে বসে আলো ও ভালোর বীজতলা চষে, আকাশের কথা শুনিতে পায়,
কজনে জানে তা কেমন সম্বল ও সঞ্চয়,
একটি সুবচন, ক্ষুদ্র ভালো কাজ ও সামাণ্য দানেও তা অর্জন হয়,
হোক সে নগন্য অধম ও অতি সাধারণ, জীবন ও মরণ দু্ই জীবনই কেমনে হয় ধন্য ও পুণ্যময়, সে কেমন জয় ।
ধনী কিবা ধনহীন জন,
কই থেমে থাকেনাতো ওরে কারোই জীবন,
হোক বা নাহোক করা দান কিবা আর অন্য কোন তার পুণ্য সাধন,
রয়ে যাবে রাজার ও লোকের কত ঋন,
শেষে গুপ্ত বৈরী বেশে, আচমকা মরণ এসে একদিন,
ঐ হিসাবটা বাকী, রাজ ফরমান কি হয়েছে পালন কিবা লংঘন,
এ জীবন সব ধন-জন দম্ভ-দাপট ও ক্ষমতার বল সকলই সে করিবে হরণ,
যেজন সত্য কয় ও সুপথে রয়, বেশী বয় ও বেশী সয়, কথা মিথ্যে নয় হয়েছে হয়, তারই জীবন সাফল্যময় ।
সততা ও মেধার কথা,
শুনেছি অনেক আমি তোমার ঐ বড়াই ও বারতা,
কোন বাজারে কত দামে বিকায়, তোমার ঐ পূরণো পঁচা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা,
আছে কি তব ঐ স্মার্টনেস, চাই জমকালো বিজনেস, চোখের পলকে হয় যেই কারচুপি,  গোঁজামিল ও কুটিলতা,
বলো তার কি দাম আছে,
অনেক বিত্তধন রয়েছে যাদের কাছে,
আধুনিক এ যুগ বলে, ওরে তোরা থাকনা সবে পাছে,
আপনারে ভাবে বিরাট,
উম্মুক্ত এক বিশাল বাজার কিবা মাঠ,
চাই শত রঙ ও বাহার কিবা চটকদার অভিনব যত সব চাট,
মনিবে হেসে বলে,
দেখি বেশী লাভ হয় বেশী চতুর হলে,
বিদ্যা ও বুদ্ধির বলে, বাজার-হাট সবই বুঝি তার দখলে,
অ মুসাফির - তব এ ক্ষেতি-চাষ, বানিজ্য বসতি বাস, এ ভ্রমণ সমাপন হলে,
বুঝা যাবে কে আসলে জ্ঞনী ও বিচক্ষণ, পার হবে যখন তোমার সবগুলি ঘাট,
কেউ বললে বলে,
কৌতুক ও মজা করার ছলে,
সময় আছেতো ঢের পরে হবে জানা আকাশের যত ঐ বাণী ও পাঠ,
কি ডিগ্রী আছে তোমার, বানাতে চাইছো কাঠামো তার এতবড় ঐ প্রকল্পটার, কেমনে  তোমার সাহস হয় ।
নতুন ব্যবসায়ের ধারণা,
বুঝেছি নাহয়, সে তিরাস হার না মানা,
বানিয়ে তুমি চমৎকার যত অভিনব সব পুণ্যময় পরিকল্পনা,
আধুনিক জমানা, তা আজ সবারই জানা, বেঁচে দিলে তুমি মূল্য পাবে তার টাকা কয়খানা,
কিইবা দাম তার,
ইয়াংম্যানইতো বেশী দরকার,
গুন নহে, রুপ ও অর্থ চাহে এ বিশ্ব-জগত দরবার,
কি আছে তোমার, কোন সাহসে তুমি নিতে চাহ এত বড় গুরুদায়ভার,
মেধা ও সততা আর, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বলেই কি তুমি, হতে চাহো একজিকিউটিভ ডিরেক্টার,
শুধু বিদ্যা ও টাকায় ব্যবসা করা হয়না,
মেনে নাও এ জগতে কেউ নহে মূল্যহীন কিবা ফেলনা,
বিত্ত ও ক্ষমতা খেলছে যাদেরে লয়ে তারাও আসলে ওরে নয় খেলনা,
হাতল না হলে যেমন হাতুড়ী অঁচল, আছাড় ছাড়া দা দিয়েও কোন কাজ করা যায়না,
এ জগত সংসারে সবাই সবার তরে, একটুখানি লাঘব করে যেন ওরে অদেখা তার ঐ ভারী বোঝাখানা,
কাউকে ছাড়া এ সমাজ ও জীবন চলেনা, নিত্য দরকার,
তাতী খলিফা নাপিত মুচি মেথর ধীবর ধোপা রিক্সাওয়ালা মাঝি কুলি মজুর কামাড় ও কুমার,
তাতেই কি হবে ওরে বিশ্বটা জয়, তুমি দিলেইবা ঢেলে নাহয়, নিত্য তোমার সারাদিনের শ্রম ও সবটুকু সময় ।


পর্ণ-০৭


দূর আকাশে উড়ে উড়ে,
দেশ-বিদেশে, এ বিশ্বটা ঘুরে ঘুরে,
বারোমাস প্রতিদিন, সকাল বিকাল রাত দুপুরে,
খাটি মানুষ হতে কিবা বড় দায়িত্ব পেতে, গহীন বিজন মনপুরে,
আমার শূন্য মগজ আর ঝুলানো কাঁধের ঝোলাটারে নিতে ভরে,
দিগন্তের ঐ লক্ষ্যে যেতে,
সহনে ও ত্যাগে, ওরে নহে ভোগে মেতে,
ধীরে চলে নহে বেগে অধীর হলে ভার বহে সে সময় ধরে নাগাল পেতে,
দেখেদেখে শোনেশোনে আর ফরমায়েসে তার লয়ে শিরে,
আজও আমি নিজের হাতে দিনেরাতে সে কাজ করে করে,
ঐ একই পথ ধরে আজও লেখিপড়ি ওরে, নহে তবু ক্লান্ত,
হয়নিতো মোর ঐ শেখাটা শেষ, হইনি আমিও তাই ক্ষান্ত,
একজীবনে কোটিজনে বসে উলুবনে, যদিরে সে ভেদ তারা জানতো,
ফুল কাননে কিবা শ্বশানঘাটের বালুচর, নিথর দূর বিজনে পায়না খুঁজে যার প্রান্ত,
আমি নাম দিয়েছি, পেয়েছি নিবন্ধন হতে তার ছাত্র,
অনেক সাধনা করে ও ঝড়িয়ে ঘাম, খবর পেলাম আমি তার এইমাত্র,
বিশ্বজোড়া আমার,
চির খোলা ঐ পাঠশালাটার,
তোমরা কেউ জানোকি নাম ঠিকানা তার,
মাটি যার আকাশ করেছে জয়, কখনযে হেথা কি পাঠ দেওয়া হয়, কেন তা নজরে নয় কোন সে বিশ্ববিদ্যালয় ।
কেন এত ডাকাডাকি,
স্বপ্ন ও সুবাসনাগুলি পাষাণে রেখে ঢাকি,
কভু ভেবোনা তাই, আজও তোমার কিছু পেতে আছে বাকী,
এসোনা চুপচাপ, এঁটে জানালা দুয়ার ঝাপ, বদ্ধ ঘরেতে মোরা বসে থাকি,
তাওতো ভালো সবকিছু একপাশে থুয়ে রাখি,
যদিরে একটু সুযোগ পাও নিও, ঐ সে তীক্ষ্ণ আলোর ছটা দুহাতে গায়েতে মাখি,
মেঘের ভেলায় বসে, বিশ্বটা বেড়ায়ে ঘুরে চষে, জীবন আর জগতটার শতরঙ সহস্র ছবি আঁকি ।
এসো হাতে হাত ধরি,
মহান ও মনোরম নতুন কিছু সৃজন করি,
আলো ও ভালোর একটা বিশাল বীজতলা ও খামার গড়ি,
হাতে লয়ে শুধু, মাত্র দশ লাখ,
কোটি টাকার ব্যবসা লই, কেন এত হৈচৈ আলোচনা ও হাকডাক,
মেধা ও মননের নবনব সৃজনের হোক নাহয় ভরাডুবি ও হার, কালোটাকা আর মিথ্যা ও মন্দটারই জয় ।
হোক নাহয় আমারই হার,
এলেম আমল ও তেমন পুণ্য কোনটাই নেইযে আমার,
তাই ব্যবসা নহে আসলে ভাই, একটা ভালকাজ ও তার ঐ পুণ্যটারইযে ছিল মোর বেশী  দরকার ।
শুধু ধনেই যদি সব হয়রে মন,
নাহয় তবে আর, নাহোক কোন মহৎ সৃজন,
নাই বিষাদ ও রোদন, দুই জীবনের সকল সুখ-সাফল্য সাধন,
মাটিতে গগনে, জীবনে ও মরণে যত হর্ষ-বিলাসী নিবাস ও ভোগবিনোদন,
দান কিবা বিনিয়োগ সবইতো ব্যয়, তবে কেন ওরে তাই করিবে ধনলোভী ঐ লোকজন,
তবে যাচ্ছে যেমনই দিন বয়ে যাক,
তোরা অনাহুত ওরে আর, তাদেরে ডাকিসনে থাক,
যে পথে যার খুশী চলে যাক, রক্ষা পাক বা রাহুতে খাক বিত্তশালীদের কুক্ষিগত ঐ বিপুল ধন,
যখন কিরপিনগণ সব হারাবে,
আর কিরে সে সৌভাগ্য হবে কিবা ঐ সুযোগ তারা কভু পাবে,
গরুর পালের মতন, পেছন হতে লাঠি হাতে যখন, নিষ্ঠর বর্বর কোন রাখালে তাড়াবে,
এই পাগলের বচন, সবই পড়বেরে স্বরণ, করবে কি তখন, কি লাভ হবে আর করে আহাজারি ও ক্রন্দন,
শুধু আমি আর আমার আমার,
চারিদিকে মজলুম অসহায়, অনটন আর নিরব হাহাকার,
কানে দিয়ে তুলো চক্ষু বুঁজি, আজীবন দিনভর কিনবো খুঁজি, একটা সোনার পাহাড়,
এত বেশী টাকা, বেশী ধন ও বেশী সুখ বলো কি প্রয়োজন,
কাল হয় যক্ষের ধন, আজ হলে মরণ, দেখিবে ওরে বৃথা এ জীবন, এ সফর ও অভিযান সবই তব অপচয় ।  

পর্ণ-০৮


মোর ঘরে ও বাহিরে,
কে বা কারা যেন ওরে শুধু গলা টিপে ধরে,
তবু স্বপ্ন-আশার চারাগুলি যেন মোর দাড়াতে চাহে, আকাশ পানে মাথা উঁচু করে,  
সাধ আছে সাধ্য নেই,
তাইতো ওরে তোমায় আমি খোটা দেই,
নেই যখন সামর্থ্যখানা, ওরে স্বপ্নও আর দেখোনা কভু সেই,
এসো চোখ বুঁজে ঘরে বসে থাকি, বলি তুমি হাতও বাড়িওনা আর কোন কিছুতেই,
সেযে তব, সোনালী বাহারি বাসনার খোটা,
যায় যাক কিছু তারকা ঝড়ে, আকাশ হতে মাটিতে পড়ে, খসে তার বোটা,
কভু কি চাঁদটারে ছোয়া যায়, দিয়ে দীনতা কিবা অক্ষমতার তব ঐ অলীক আশার হোক সে যতই লম্বা টোটা ।
কানা বোকার দল,
আমারে নাকি তারা শুধু বলে পাগল,
কি করা আর বল, এখান থেকে অন্যকোথাও চলে যাই চল,
শোনতে খারাপ লাগে,
তাই একটু মনে ক্রোধওতো জাগে,
শোনব লোকের বাঁকা কথা, এইকি ছিল মোর ভাগে,
এইকি তোমার মনে, পরের ধনে করে পোদ্দারী,
আর তাই করে করে বুঝি তুমি ওরে, হবে বলো কবে মস্ত বড় কারবারী,
করবে মনের মত এমন এক ব্যবসা,
মিটিবে কবে, সেতো মনেহয় যেন তবে, বাঘের দুগ্ধ পানের এক দূর্লভ আশা,
সেতো গায়ে লাগে, বলো মনেইবা তা কেমনে সয়,
তোমার যতই ভালো লাগে, ইচ্ছে করে নিজের চুল ছিড়ি রাগে, লোকে যখন খোঁচা মেরে নানান কথা কয় ।
ব্যবসা ব্যবসা ব্যবসা,
কত সাধ কত সখ, রঙমাখানো অনেকদিনের খাসা,
এমন একটা ব্যবসা করার, ছিল এ মনেতে লুকানো মোর একটা অনেক বড় আশা,
হবো একজন আড়তদার,
আকাশের ঐ আলো ও ভালোটার দক্ষ পেশাদার,
দিনরাত শুধু বেঁচাকেনা, নাই কোন মোখচেনা, খুলে সব জানালা দুয়ার,
নিত্য যতন করে সাজানো থরে থরে সরস ও উত্তম সব পুণ্যগুলির ঠিকাদার ও মওজুতদার,  
ধূসর এ দুনিয়াটার,
মোদের পণ্য কিনে, হোক যত দীনদার,
যারা ছিল ঋনে, নহে ওরে শুধু দিনে, বিশ্বাসী খরিদদার,
অচেনা পথ, নাই কোন ভেলা রথ, ভেদ করে ঐ গহীন রাতের অন্ধকার,
পেয়ে মহারাজার সামাণ্য করুণার ছাড়,
বৈঠা ছাড়া তরীটায় চড়ে, ফুরফুরে বাতাসে শুধু ঐ পরিচয়পত্রটা মেলে ধরে, তড়তড়িয়ে হয়ে যাবে পার,
বানাবার কত বাসনা ছিলযে আমার,
তৃতীয় নয়ন আর দেমাগ, গবেষণ ও দরশন বিকশিত হয়েছে যার,
আলোকিত মন, সুমনন, সুবচন ও শুভ কাজে শ্রেষ্ঠ মানুষ গড়ার একটা বিশাল বীজতলা ও খামার,
সেদিকে খোদ মহরাজা মহাজন,
চেয়ে আছে আর ডাকিছে সারাদিন কাছে সারাক্ষণ,
কি কহে কি করে কি চাহে কার মন, স্বেচ্ছায় খুশীমনে তার, ষোলআনা জিম্মাদারী যার সে নিজে টেনে লয় ।  


পর্ণ-০৯


ক্ষতি কি যদিরে হয় তাতে,
ঐ কাজে খেটেছি নাহয় আমি পেটেভাতে,
দেখনি আকাশভরা তারকার মেলা নিঝুম গহীন আঁধার রাতে,
তার মহান উপহার লয়ে হাতে, নিরবে আরশে আছেন বসে ঐ মহারাজা-পাকজাতে,
রাষ্ট্রপতি মন্ত্রী সেনাপতি সহস্র কোটিপতি, দুনিয়ার যত বাদশাহরা যায় চলে সব ফেলে শূন্য হাতে,
অসহায় মানুষের কিছু কল্যাণ মংগল ও সেবা-উপকার,
সোনালী সিড়িটা পাবে আকাশে উঠার, দেখিবে রয়েছে হেথা খোলা দুয়ার,
আকাশের মালিক, খুশী হয়ে গেলে ঠিক, তুলবে টেনে যদিরে একবার, করুণা গলে যায় তার,
সংগে রহে, দরদী সংগী হয় ও তার ভার বহে, যেজন তার উপর বিশ্বাসী, মুখাপেক্ষি ও ষোলআনা নির্ভর হয়ে রয় ।
না, আমি মোটেও লোভী নই,
বিধাতার ভরসা বুকে লয়েই আমিযে আশাবাদী হই,
আমি প্রত্যয়ী উদ্দোগী ও আশাবাদী,
অপবাদে কষ্ট পেয়ে হলেও একটুখানি অভিমানি ও প্রতিবাদী,
আবার ঐ চেষ্টাই করি,
উঠে দাড়াই, যদিওবা কভু যাইরে পড়ি,
কে যেন আশা দেয় ও পথ দেখায়, তোলে দেয় মোর হাতটা ধরি,
পাই বা নাপাই যাইনা থেমে, হইনা ক্লান্ত ঘেমে, না হয়ে হতাশায় ক্ষান্ত, আবার এ বুকটা বাঁধি,
হেন কোন কথা নেই, বলে পরাজয় কিবা হার,
যতদিন এদেহে আছে প্রাণ, তার নেয়ামত ও দান কিবা তার সম্ভাবনার ঐ ভান্ডারযে চির অসীম অপার,
ক্ষতি কি নাইবা পেলাম তা কিবা হলো আর,
নাহয় আমার আশার, ঐ আরজিটা জমাই রলো দরবারে তার,
হাত তুলে ধরিব, চরণে লুটিয়ে পড়িব ঐ মহৎ সৃজন গড়িবার,
আশা ও চেষ্টা করিব, জীবনের শেষদিন, যতদিন ওরে রহে ঋন, গুণে যদি হয় হোক তা সহস্রবার,
তার ভয় কিবা ভাবনা কি আর,
যে গোলামের সনে প্রকাশে কিবা গোপনে তার মনিবের একবার, হয়েছে একটু ভাব ও কিছুটা জানা-পরিচয় ।
এ সমাজে কি মোর, নাই আর কোন দায়,
নাকি হয়ে গেছে তার সব সমাপন, মন তাহা মোর জানিতে চায়,
অতিশয় পুণ্যময়,
তাতেই যেন পূরণ হয়,
মোর মনের যত লুকানো পুণ্য আশা,
যত পুণ্যবান সুজনের সনে, হয় যেন মোর মেলামেশা উঠাবসা,
হে প্রভু, দয়া করে দান করো মোরে এমন একখান সহজ ও সুন্দর কাজ জীবিকা ও পেশা,
সব দায়-ঋন যেন এক কাজে শোধ হয়ে যায়,
প্রসন্ন দরদী মনে সব আপদে নিদানে তোমারে পাশে পায়,
তুমি যেমন চাও, আমিও তাতেই রাজি, বসে আছিতো শুধুই সেই আশায়,  
তাই হবে হোক, যে কাজে মোর,
এক ঘুমে সব ঘাট পার হয়ে দেখি, নতুন শূন্য প্রাসাদ-বাড়ী ও একখানা সোনালী ভোর,
তাই করো প্রভু তুমি তাই কর,
মহাজগতের একই ঈশ্বর, এমন রাজা নহে যে কোন প্রজার পর, তুমিনা সবার বড় দরদী বন্ধু ও মহাকরুণাময় ।