এক জায়গায়, মানূষ কত অসহায় আর একা ॥
মানূষ হয়ে যায়,
সময়ে কত সে অসহায়,
রয়েছে এমন কোটি জীবন, যে কথা অজানায়,
যে লেখা বদলানো যায়না, বিধির ইশারায় তবে সে আপনি বদলায়,
জীবনের নিয়ম, চাওয়া পাওয়াগুলি কারো ভাগে বেশী কারো দেখি অতী কম, সে যে এক নিয়তির র্নিমম ধূসর লেখা ॥
আপন ভূবনে,
অসীমে আর অতল গহীনে,
কার চোখে পড়ে, কে বড় সংগীহীন,
মলিন কাগজে লিখিত দেনার হিসেব ও সবটুকু ঋন,
বাহিরে উচ্ছল ভিতরে ভীষন চুপ,
কার কষ্টটার কেমন আকার, রঙ কিবা তার রুপ,
মনের জগতে বন্দি আত্বার অস্ফুট হাহাকার, সীমানার অংকীত রক্তিম রেখা ॥
অস্থীর মন, ঘূরছি যখন ঘূর্নিপাকে,
মরানদীর চরে, ধূ ধূ ঐ তেপান্তরে, পাঁচ পথের বাঁকে,  
একটা ভারী বোঝা মাথায় লয়ে,
এক কাফেলায় অচেনা একই পথের পথিক আমরা অনেকে হয়ে,
মনে হলো হঠাৎ একদিন,
সে যেন আমারই অনাদায় কত ঋন,
সুদূর চলার পথে,
যেন এক ভাংগা রথে,
দিন তারিখ নেই মনে, হয়েছিল কবে কোথায় কোন গোঁধূলী বেলায় তার সনে, মোর পরিচয় দেখা ॥
সে প্রাসাদে ও আমি কুড়ে ঘরে,
কত রঙ সৌরভ তার পোষাকে ঝড়ে,
দীনতার ছাপ মোর সারা গায় রয়েছে ভরে,
কার কত সুখ অজানা দুঃক্ষ বেদনা আমি তা জানব কেমন করে,
কুটিরেও আছে সুখ, প্রাসাদেও কতজন গোপনে লুকিয়ে কাঁদে অস্ফুট স্বরে,
শত পাওয়ার মাঝেও নাবলা কত কষ্ট আছে,
কত শূন্যতা ও দীনতা গোপনে রাখা দুজনেরই কাছে,
দুজনেই কথা বলে কম, যেন এক ভিন্ন রকম রয়েছে বাকী দুজনেরই অনেক দেখা জানা ও চেনা শেখা ॥
অনেক ব্যাবধান তাই,
ভোরের বায়ুতে যখন বেড়াতে যাই,
কি আছে আমার বলো কেন আমি করিব বড়াই,
তবু দেখা হলে, দুজনে দুজনারে বলে তারা নাকি বোনভাই,
যদিও রক্তের নহে কি যেন একটা রহে,
তবু যেন কেমন একটা দরদ ও মমতা বহে,
মাঝে মধ্যে তারা দুচারটে সুখ দুঃখের কথাও কহে,
বাহিরে ভিতরে তফাৎ ঢের, চারিধারে যেন ঘের সেকথা মিথ্যে নহে,
সারা বদনে তেলতেলে সুখের, বয়স ঢাকার কত সুরভিত মধুর নকল প্রলেপ মাখা ॥
কি নাই তার টাকাকড়ি আর সন্তান,  
তবে কি চাই আর, কি দরকার কি প্রয়োজন কি সে চান,
সব ইতো আছে, দেখি তার কাছে, সুখসম্ভার যাহা দৃশ্যমান,
শুধু ছিলনা আসল যে ধন, তার জীবন আর ঐ দেহটার আধখান,
সবাই বউ স্বামী লয়ে ঘূরে ফিরে খায়, সুখেতে ঘূমায় মেতে রয় লয়ে নাঁচগান,
কারো মন আছে তবে তার কাছে কোন বিত্তধন নেই,
কেউ ভোগের আবেশে আবেগে, থেকে তার পিছু লেগে, যেন হারিয়ে ফেলেছে পথের ঠিকানার খেই,
কারো সংগী আছে তবে, নয় সে মনের মানূষ সেই,
যেন জুড়িয়ে যায়, সে কোন অমৃত সুধা পায় যেজন কাছে এলেই,
সব আছে তার, তবু যেন এক নিরব হাহাকার, যেন সুখ নেই তার কোন কিছুতেই,
ছেলেমেয়ে বাড়ী গাড়ী,
অনেক টাকাকড়ি সোনাদানা শাড়ী,
সোনালী সোকেসে থরেথরে সাজিয়ে রাখা,  যেন সবকিছু একেবারে রঙ মাখানো বাহারি ছবি আঁকা ॥
আসতে যেমন তেমনই গমন,
বিশ্বাস না হলেও আজব এ ভূবন,
এমনও আছে স্বামী স্ত্রী তারা দুইজন,
বন্ধু নহে, তবু তারা পরম আপন আমরন,
এক ঘরেতে এক বিছানায় বসবাস, শয়ন আজীবন,
আবু হকে বলে, দেহটা না হলেও চলে, তবে ভাল বন্ধু প্রয়োজন,
হেসে হেসে কথা বলে,
যেন সোহাগে অনূরাগে একেবারে যায় গলে,
মায়া লতিকার মত যেন বারবার অবিরত গায়েতে পড়ে ঢলে,
দোষ কি তবে যদি নহে দ্বিচারিনী কারো সুখ কাড়িনি এমন হলেও চলে,
এমন নহে, ভিতরে বেহায়া, অন্য একজনের অশুভ লুকানো ছায়া, মনের গহীন তলে,
চাই মানূষ এমন একজন, ওরে যে ভক্তি ভরে বাহিরে ভিতরে বিচড়ে, আছে একটা দরদী মন,
আমার বড় ইচ্ছে করে, তাদের সবার মনের ঘরে, আমি দেই গড়ে এমন একটা খোলা বিশাল ভূবন,
যেন শূন্যতা উজার করে, দেখে দেখে মনটা যায় সুখে ভরে, যাদু মাখা এক বিভোর মায়ার নেশায় জড়িয়ে থাকা ॥
মানূষগন যারা এমন,
গোপনে তারা বড় অসহায় দুঃখী জন,
সারাটা মন আকূল পেতে একটা ভাল মন,
ভাল লাগে নিরব নিঝুম লগন যাহা নিরজন,
বন্ধু কিবা ভাই, যাদের কিছু নাই কেউ নাই আপন,
কিছু গবেষন অতলে অন্বেষন ভজন সাধনা ও সাধন,  
ভূলে থাকা যায় আর পথ খুঁজে পায় এমন কিছু বিনোদন,
হতে পারে সামান্য সুখের ঠাই, পুলকিত মনের হরষে নাঁচন,
বিনামূল্যে, কিবা লাভক্ষতি ভূলে, মহাতূল্যে হয়ে শুদ্ধ শোধন,
আর নহে অসহায়, চাহে ও পায় প্রসমন যদি, হয়ে এক বহমান পাহাড়ী নদী পরম দরদী চখিচখা ॥
নাইবা পেলো আর মন অত সুখ,
অন্ততঃ কষ্টগুলি, যদি থাকা যায় ভূলি, তৃষিত বিরান এই বুক,
দুঃখের স্মৃতি হয়েছে কালা অদেখা অনলে পুড়ে পুড়ে,
প্রবোধ মানা, কিবা অভিনয়, শেষ যাত্রা সেতো আর নয় বেশী দূরে,
তাই দেখেশুনে ধীরেধীরে হেটে যাই,
চলো, কোনমতে দিয়ে চাপা মাটি কিবা ছাই,
দুদিনের এ জীবন, যেন পলকের এক ক্ষন, আবর্জনার ভুড়ে ভাল তা ঢেকে রাখা ॥
একটি পিপীলিকা আপদে নিদানে দূর্বল,
যদি ফিরে পায় প্রান, হয়ে উঠে সবল ও সচল,
আধমরা গাছের গোড়ায়, না চেয়ে পায়, কভূ ঢেলে দিলে সামান্য জল,
নগন্য সে খতিয়ান, তবু রবে চীর অক্ষয় অম্লান, নিশ্চয় যাবেনা মুছে হবেনা তা কখনও বিফল,
অবুঝ ও কোমল শিশুর মতন,
গল্প সল্পে যেন আমোদে ভালয় কেটে যায় কিছুক্ষন,
বয়স হলে, কাছে পেতে রহিতে চায় হয়ে প্রিয় আপন স্বজন,
না পেয়ে হায়, কারো কারো মন হয়ে যায় ন্বিঃসঙ্গ অসহায় এমন,
আর কিছুই নাই চাওয়ার, নহে বিত্তধন, কারোকারো শুধু একজন ভাল বন্ধু সংগী প্রয়োজন,
দেখি জীবনের এমনই ফের,
কেউ যেন একবোরে শূন্য কারো সুখ পূরো এক সের,
কেউ পায়না কেউ পায়,
তাই সব খেকেও আবার কেউকেউ যেন বড় একা ও অসহায়,
নিরবে ধড়ফড়ায়, যেন গোপনে চায়, একজন গল্পের সাথী, যেন অাঁধারে বাতি, মনের মানূষ সুজন সখীসখা ॥
কারো ভাল লাগে মেতে থাকা হৈ চৈ,
কেউ ভাবের জগতে বিভোর, ভালই আছে যেন নিঝুম এক নিরবতা লই,
দিলো আমারে মাতাল করে, কেমনে আমি ঘরে বসে রই,
ভরা এক ঝিল কানায় কানা যার সবুজ আর নীল, রুপালী জোছনা যেন কানায় কানা করে থইথই,
ইচ্ছে করে ঐ তাদের সবার সংগী হই,
গল্প করি আর কবিতা পড়ি, দল বেধে বসে কাছে টেনে লই,
কেন কেউ কেউ আমরা তবে নামের মানূষ, আসল মানূষ নই তার পছন্দ সই,
এসো দেই খুলে এমন একটা বুড়োদের আশ্রম,
কিছু লাভ উন্নত ব্যাবসা, তার চেয়ে খাসা পূন্যে সর্বোত্তম,
তাতে কেউ পেত যেন উদাসী আকাশে খোলা বাতাসে একটা বড় দম,
সুখ না পেলেও, একটু ফেলে দিয়ে ঢেলে, হয়ত হতো একাকিত্বের ঐ কষ্টটা খানিকটা হলেও উপষম,
হয়েছে অনেক, আর নহে ভূল,
জান কি অবহেলা অনাদর, খোদার আরশে তুলিবে ঝড়, অযতন এক চূল,
বিষন্ন মনে, হরষে যেন ফোটে মুকুল, মরুতে সাজাব কানন, মেনে বিধির লিখন যত ভাগ্যরেখা ॥    
ওরে, কে আসল, কে নকল,
বিদ্যান, ধনবান, বাহুবল, কারচুপি আর কৌশল,
হয়েছে কি শিক্ষা, সহসাই দেবে সবার পাশ ফেল ফলাফল,
সবাই পাবে যথা ফল, তার আপন সকল ক্ষুদ্র কথা ও কাজের ফসল,
চলবেনা, করুনায় গলবেনা, কিছুতেই টলবেনা, মন্দের দল হবেনা লাভবান কভূ সফল,
আর কত ভূল, সারাটা জীবন সেতো ছিল এক মহা ইস্কুল, ছিল কত ছাড়, যাচাই বাছাই আর লক্ষ হাজার দীক্ষা ও পরীক্ষা ॥