আমি যেন এমন, মানূষ একজন ॥
জ্বলে নাই যে কাঠ,
যেন মানূষ নামের এক বিজন খেলার মাঠ,
যেথা খেলা শেষে তাই,
বেলা নাই বলে, বাড়ী চলে গেছে সবাই,
মানূষ নামের মানূষ একজন, অতী নগন্য অধম, সবকিছু যার অতিশয় কম, এমন অতী সাধারন ॥
শ্রেষ্ঠ নহে তবু বড়াই ঢের,
চারিধারে যেন মিথ্যা মন্দের ঘের,
গুনাহ যেন কানায় কানা পূরেছে পূরো এক সের,
অপরাধ আর ভূল,
যেন হারিয়েছে তার সীমানার কূল,
এক বিরান কানন ফোটেনি যেথা সাতরঙ নানা ফুল,
কোথা হতে শুরু আর কোথা শেষ তার, কানার অজানা কোথা আদিমূল,
পরের কল্যান মংগল, আর কোন সেবা উপকার, তেমন হয়নিতো আজও করা সাধন ॥
যে আগুন পুড়ে করে নাই, হয়নি ছাই সব দোষ ক্রুটি পাপ,
তবু সেই পথ ছাড়িনি, যদিও পার হতে পারিনি ক্ষতি আর পতনের সেই ধাপ,
দেয় নাই আগুনের উত্তাপ, করেনি কভূ কারে ওতো এতটুকু আলো বিকিরণ ॥  
ধন্য এ জীবন নাকি তা অভিশাপ,
পাওয়ার উল্লাস নাকি হারাবার পরিতাপ,
কেমনে আমি করি বলো, ঠিকঠাক সেই পরিমাপ,
কে আমি আর, কি কাজ আমার, কি ছিল করা দরকার, হয়নি গবেষন আসলে আমি মানূষ কেমন ॥
যেন এক অভাগা ক্ষুদ্র কলি,
ফোটেনি হরষে পঞ্চরসে পাপড়ি মেলি,
দেখেনি বাতাসে মৌরেণু উড়ে ভাসে, মৌমাছি গায় নেঁচে খেলি,
সাতরঙ সাজে ভরেনি যে কানন, মুখরিত হয়নি ত্রিভব, সব শোভা আর সৌরভ করেনি বিতরণ ॥
দেখেনি কভূ বন্ধ নয়ন মেলি,
দেখেনি আকাশ পানে, কি আছে সেখানে, মোখ তুলি,
গিয়েছে পথ ভূলি, রয়েছে কোন মজায় মজে আপন কাজ ফেলি,
আবু হকে বলে, বেলাবেলি তা নাহলে সমাপন, তবে কি উপায় শেষে হবে আসিলে হঠাৎ সমন ॥
চলিতে পারিনা, মনের বলে কিছুটা চলি,
সে কষ্টের কথা নাবলা ব্যাথা আমি কাহারে কেমনে বলি,
অন্ধকার অলিগলি, শত কন্টক আর পংকিল র্কদমা দুপায়ে দলি,
একখানা অঁচল রথ, যেন অচেনা ভাংগা পথ, ঠিকানা নাই জানা যার, এমন এক কাফেলার
সনে চলছে ভ্রমন ॥
এমন একটু আলো,
যার বিপরীত কুৎসিত কালো,
যেথা লুকানো শান্তি সুখ আর সকল ভালো,
জানি ছোট্ট এ জীবন,
কেন পারিনি তবু, হতে সুবোধ সুজন করিতে অর্জন,
সেই সহন ও বহন যা মানূষেরে বানায় এমন মানূষ সবকিছু যার সরস ও শোভন ॥
লভেছে সফল সাধনা,
যারে আর বলা যায়না কানা,
ভূলেছে ভূলের ভার, তার আর নয় হার, খুলেছে যার এমন, একটা তৃতীয় নয়ন ॥
দিগন্তের ঐ পার,
যে সাগরের নেই কূলকিনার,
অতল সাগরের গহীন তল যেথা অসীম অন্ধকার,
পৌছে যায়, যেন সব দেখিতে কুড়াতে পায়, মানেনা কভূ পরাজয় হার,
কোন বাজারে ছুটে যাই, কোথায় কেমনে তা পাইরে ভাই, সে আলো আর ভালোর শুভোদয় দরশন ॥
আমিওতো হতে চাই,
জানিনা কেনযে পারিনি তাই,
মহারাজ,
আমারে দেয়না কেন সেই কাজ,
তৈরী আমি, আমার কিসের আর ভয় লাজ,
দাম নাহি চাই, এমনিতে ইতো ছিলেম দামী ফিরে পেতে তাই মোহতাজ,
হতে আমায়, আমি তাই হব, মাথা পেতে লব, বিধাতায় আমারে বানাতে চায় যেমন ॥
কেমনে কবে,
তা হবে কি না হবে,
বানিজ্য সফরে এসে এ ভবে,
কি পেলাম তবে, হলো কই আর সাধন, কোথা আমার সে সাধনার গুপ্তধন ॥
হয়নি শেষ দেখা ও শেখা,
চেনা জানার অনেক মজার সামান্য প্রাপ্তিটুকু কাগজে লেখা,
জীবনে মরনে দুই জীবনে, কভূ যেন না হয় মনে, কিছুই নয় আমার ও আমিযে একা,  
তার সব নেয়ামত দান মম সংগে আছে, আপদে নিদানে যদি রয় সে অতী কাছে, সংগী আমার মালিক মহাজন ॥
বড় ইচ্ছে করে হতে সে কবি,
মনের সুখদুঃখের নাবলা কথা সবই,
আঁকব কলমে দমেদমে জীবনের সহস্র ছবি,
শিরে লয়ে তার গোলাম হয়ে বিধাতার বাণী ও পাঠ,
যাব ছুটে সীমানা ও বাঁধন টুটে দিগন্তহীন এ আকাশ দুনিয়ার মাঠ,
আমি যেটুকু জানি,
কোটি জনের সামনে গিয়ে, ডেকেডেকে কাছে আনি,
করব দান, থাকব লেগে যদিও রাত জেগে হয়ে যায় ভোর, কাজগুলি মোর করতে ই হবে সমাপন ॥
কবি ও লেখক,
হক ও ন্যায়ের শক্ত সমর্থক,
যারা বাঁধনহারা সত্যের বাণী বাহক,
জীবনে যাদের তেমন চাওয়া পাওয়া নেই, আছে কিছু বঞ্চনা ও ঠক,
এক তীক্ষ্ন প্রদীপ, যার চমকিত আলোখান,
ঐ প্রানগুলি কেন, যারা ছিল দীপ্ত সতেজ বলীয়ান,
যেন এক আপদে ঘেরা শান্তিসুখের দ্বীপ হচ্ছে নিরবে বিরান,
শানিত চোখ ও কলম, জানিনা কেনে যেন দিনেদিনে হচ্ছে ম্রিয়মান,  
যা ছিল যূলূমবাজের যম ও মজলুমের বিষাদ ক্ষতের যাদুর মলম, যা করে উত্তম উপষম দান,
শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক,
সাংবাদিক গবেষক আইনবিদ ও র্দাশনিক,
না খেয়ে শুয়ে থাকে, নিন্দুকেরে ভাই ডাকে, তবু এইভয়ে যদি হয় কারো মন্দ করেনা দন্দ মাগেনা ভিখ,
সামাজিক মর্যাদা নাই,
প্রাসাদে জায়গা নাই, তাই গাছতলে ঠাই,
বিশ্বজোড়া যে গানের দাম, গায়কের কত সুখ্যাতি সুনাম, তার নাম জানতে নাহি পাই,
এই গান ঢেলে দিয়ে মনপ্রান যেজন করেছে বিরচন, নিপূন হাতে গড়াই,
চাহেনা ঘূষ, আসল মানূষ, চায়না রাতারাতি হতে কেটিপতি, তারাই জাতীর র্নিভিক কলম সৈনিক, ঞ্জানী গুনী মানী সুধীজন ॥
চিন্তাবিদ,
অসহায় মানূষের র্দূবল সুহৃদ,
সরল পথের এক নিরব শান্ত পথিক,
জাতীর চক্ষু বিবেক যেন র্সাচ লাইট, মনন সঠিক,
সত্য বলে সুপথে চলে, দেখায় আলো আর ভালোর দিক,
ওরে ভাই ঐ মানূষের নাই মরন, যে দেখায় দেয়, দেখাতে হাত ধরে টেনে নেয়, একজনের এই দুই জীবনের দরশন ॥
রইব আমি তাদের দলে,
রাজা যাদের নিত্য দিনের, সব চিন্তা কথা ও কাজের মূলে,
যতই বিদ্যা ও ধন ক্ষমতার বাহাদুরি বড়াই, হয়ত তাদের কিছইু নাই ঐ কূলে,
নয়কো ভাই যারা মোহ ভোগে, চক্ষু কিবা মনের রোগে ডুবে আছে যত মিথ্যা মন্দ ও শত ভূলে,
যারা কানা তাদের সংগে সংগ মানা, আছে পড়ে অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে ষোলআনা বিফলে জীবন ॥
চাইনি আমি বেশী ধন,
নেই প্রয়োজন এত বেশী ভোগ বিনোদন,
ক্ষুধা না পেলে কেন করব ভোজন,
পায় কি কেউ অমূল্য ধন, না করে তার সাধনা কিবা অন্বেষন ॥
বড় সাধ ছিলযে আমার,
যারা অসহায় নিরুপায় আর,
করিব তাদের কিছু সেবা উপকার,
এ জগতে কেউ নাই আর কিছু নাই যার,
আর ফসল লয়ে তার, কূটূম হয়ে রাজবাড়ীতে বেড়াতে দলবেধে যাবার, পেলে মহারাজার নিমন্ত্রন ॥
এমন নহে যেন বহিছে উজানে জোয়ারের জল,
কে আছিস সবে কত মজা হবে এখনই তবে বেঁধে দল,
আমার সংগে, র্ফূতিতে লাফিয়ে রঙে, কাজ ফেলে ছুটে আয়রে যাবি চল,
মন যাহা বলে করবে না তোমরা সকলে তার সকল,
তাই মন্দ হতে নিজেরে ফিরাতে চাই, মজবুত মনোবল,
নাহলে পড়বি তল, একটাই জীবন অল্প কিছুক্ষন হবে বিফল,
মানূষ নামের মানূষ নহে, আবু হকে কহে হতে হবে নিরেট খাটি, যেমন মাটি একেবারে আসল,
দেয় আদরে ঠাই, কোন অবহেলা নাই, করে তার বুকেতে গ্রহন রাখিও সেকথা স্বরন ॥
একজন তেমন মানূষ হতে চাই,
এমন নহে যার মন আর তৃতীয় নয়ন নাই,
ফেলে রেখে মধূ ঢেলে দেওয়া গরম দূধের বাটি, বিবেকের ডাকে নহে হাটি যেন দৌড়ে ছুটে যাই,
আপদে নিদানে অসহায় যারা নিরবে ডাকে আর পথ চেয়ে থাকে, ক্লান্তি কিবা জড়তা নহে যেন তাতে আনন্দময় সুখ পাই,
মানূষ কেমনে ওরে বলো হারে মানবতার বিচারে, সে কি তবে করতে পারে শ্রেষ্ঠ হবার বড়াই,
সে কেমনে মানূষ হয়, এ ভূবনে তার আগমন ও সৃষ্টি কি নয় তবে মূল্যহীন, হৃদয়ের কাছে
অনেক ঋন, অসার ও অকারন ॥
যদিরে কভূ আমি জানতে পাই,
নাই, আমার কোন আর অনাদায় বকেয়া দায়ঋন নাই,
অনূভবে শুধু এইটুকু বোধ, হয়েছে পরিশোধ সব ঐ মহারাজার দায় ও দাদন ॥  
কেই নহে কারো পর,
এক পরিবার আর একটাই ঘর,
আবার দুজনে দুজনার সুহৃদ ও দোসর,
পরম আপনজন, প্রেমের সে বন্ধন অটূট আজীবন, হয় আর রয় যখন গোলাম আর মহাজন একপথ একমন ॥
হয়েছে এমন যেজন ভিতরে বাহিরে সুন্দর,
যে মানূষ বিধির নিধি তার এক ভক্ত প্রিয় অনূচর,
কভূ নাহি হারে বহিতে পারে আপন ভার সামলাতে নিজ ঘর,
যেন এক পরশ পাথর, যে জীবন মহারাজার পরম নেয়ামত দান অমূল্য ধন মানিক রতন ॥
পাপ পূন্য কতটুকু কার,
রয়েছে জমা হয়নি ক্ষমা, হয়েছে পাওনা শাস্তি পূরস্কার,
সব দান নেয়ামত তার কভূ হলে নিলাম,
ফাস হয়ে যাবে যত অজানা গোপন কলংক বদনাম,
আর সবাই চোখে হাতে দেখতে পাবে, কার কত ক্ষমতা ও দাম,  
কি ঘটে দেখবে মরনের পরে, বালামের হিসাব ধরে ও নিঁখূত ওজন করে তা সবার করা হবে নিরুপন ॥