নাই হুইসেল,
নাইরে ব্রেক ও খুব বেশী তেল,
ধরে নিরব বিজন মেঠোপথ চৌচির ফাটা,
আজব অভিনব র্দূবল লাজব জড়সড় ঐ গাড়ীটা,  
বলবেনা কি কিছুই, ধরবেনা সামনের ঐ পুলিশ ফাড়িটা,
কোনপথে কোনদিকে পাগলের মত গো ধরে, যেন হনহন করে ধেয়ে চলে ॥
সংগীদের সনে,
চলেছি যেন হেয়ালী মনে,
বহুদূর এসে,
দেখি এখন শেষে,
যেন জোয়ারের জলে ভেসে,
গিয়েছি হয়ে আমি, কূটোর চেয়েও কমদামী, নানাহ ফ্যাসাদে ফেসে,
এখন মহা বিপাকে বেহালে, না দেখে দিয়েছি তুলে গালে, কলির যূগের তালেতালে ॥
কেউ বলে গরু, কেউ বলে গাধা কেউবা বলদ,
ইচ্ছে করে, গলা টিপে ধরে, তবে কি লাভ তাতে আর নিজেরে করে বধ.
জানিনা আমার, নাকি সহজ সরল হাবা আমার বাবার, নাকি ডিজিটাল এ সভ্য সমাজের গলদ,
কার দায় তার, সক্ষম মোর বাবা কেন ঘরেতে বেকার বসা,
ফেলফেল ছলছল নিরব চাহনি তার, যেন হাহাকার, বিছানায় অচল মায়ের করুন দশা,
রঙে মাতিয়া, আসর পাতিয়া, জড়িয়ে সঙ্গ দোষের জটিল বেড়াজালে ॥
আমি যাই হারিয়ে,
ঘর হতে এলে বাহিরে পা বাড়িয়ে,
বাবামা ভাইবোন আর, বাসা ঘর পরিবার, যাই সবকিছু ভূলে ॥
কে আমি তাই,
একেবারে পূরোটাই ভূলে যাই,
আজব বেহুষ, কোন বংশের মানূষ, কে আমি, কার নাতি কার ভাই কার ছেলে ॥
কেন বেশী টাকা নাই,
নিত্য পঞ্চাশ কিবা একশ টাকা শুধু পাই,
কি হয় তাতে, বন্ধুরা যেন দুহাতে টাকা উড়ায় দেখতে পাই,
হতাশায় তাই, ভাবনার ঠিকানা হারাই, কি আমার প্রয়োজন দরকার, আর কি আমি চাই আসলে  ॥
সারাদিন ঘূরে বেড়াই,
আমার যেন আর কোন কাজ নাই,
কখনও ফেন্সিডিল কখনও ইয়াবা খাই,
সন্ধার পরে কিবা রাত দশটায় বাসায় ফিরে যাই,
কোচিং সেন্টারে তাদের ছেলে লেখাপড়া করছে তা জানে সবাই,  
কত আশা কত বড়াই বাবামার,
সন্তান হবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কিবা জজ ব্যারিষ্টার,
সে স্বপ্ন কি আহা, সব গুরুজনেরই থাকে যাহা, তাহা সমূলে যাবে বিফলে ॥
আছে মাথা গোজার ঠাই,
না হোক বিলাসিতা বিনোদন, অভাবতো আর নাই,
মাছ ডালভাত সাধারন বস্ত্র, খাতাকলমবই জীবন রণের অস্ত্র, সবইতো ঠিকঠাক পাই,
তবে কেন ভাই, কোন সে বিষন্নতা আর হতাশা বিচড়ে মম মনের ভিতরে কুড়েকুড়ে খায় পলেপলে ॥
ইচ্ছে করে,
কে যেন আমারে,
চারপাশ হতে ঘিরে ধরে,
না আসি কভূ ফিরে আর এ ঘরে,
টানাপোড়ন ও শত অভাবের সংসারে,
প্রতিযোগীতায় কেউ পায় বিজয়ী হয় কেউবা হারে,
জনে জনে বিত্ত ধনে এ ভূবনে এমন ব্যাবধানতো হতেই পারে,
চোখের রাগ নাকি মনের ক্ষোভ,
কে যেন বলে তোর কেনরে ভোগের এত লোভ,
বুকের ভিতরে আবেগ, আক্ষেপ ও মোহের এত, অনাহুত অবিরত কিসের দন্দ চলে ॥
সারা রাত সারা দিন,
যেন নেই মোর কোন কাজ দায় ঋন,
আমি এক মহারাজ, হয়ে রই ঐ শূন্যে বিলীন,
দীন ভিখারী হয়েছে রাজাধিরাজ ছিলনা যার ঘরবাড়ী আছে হেন কত প্রমান চিন,
গল্প কিবা কল্প নয়, বিধাতায় চাহিলে হয়, নাহলে ঘন সবুজ বনে, বলো কেমনে আগুন জ্বলে ॥
বসে মন চায়,
রস গল্পের আড্ডায়,
গা ভাসিয়ে দিয়ে হাওয়ায়,
আকাশের বেলুন হই, আর সপ্ত মজায়, মজে রই দারুন রঙ তামাসায়, অবক্ষয় তিলেতিলে অজানায় খাচ্ছে গিলে ॥
যারা র্মূখ আমার মত,
অবুঝ অকারন হয়ে রয় র্মমাহত,
মানব জীবন একবারই হয়, মূল্যবান অল্প সময়, র্অথহীন অপচয়, কি পেলাম আসলে, ঐ বন্ধুদের সনে মিলে ॥  
যেন এক রঙের মেলা,
চোখে মোখে যেন দেখে লোকে সারাবেলা,
এ জীবনটা যেন তামাসা আর দারুন মজার রঙের নাঁচন খেলা,
সুজন সংগী পেলেও চায়না কেন মন, যায় চলে কভু তা ফেলে ॥
সম বয়সী,
পাড়া পড়শী,
হৈ চৈ হাসাহাসি,
কারোবা আবার বয়স কিছুটা বেশী,
বখাটে তরুণ যূবক সবাই তারা ক্ষুদে সন্ত্রাসী,
কেমনে জুটিল কবে, হলো মিতালী সবে, জমেছে একবৃন্তে আসি,
এ যেন এক অন্য জীবন,
সেতো শুধু নয় ভোগ বিনোদন,
আমি চাই, যেন তার হয়না হার, তুলনা যার নাই, তুলতুলে এক বিছানা কোমল পাপড়ি দলে ॥
কেউ নামের ছাত্র কেউ নয়,
হাতে অস্ত্র পেলে আবার কিসের ভয়,
লক্ষ্য সবার একটাই আর একই পরিচয়,
লেখাপড়া শিখে কেউই তারা মানূষ হবার পক্ষে নয়,
শুনেছি, পেশাদার খুনী হলেও নাকি অনেক কামাই রোজগার হয়,
নাহলে করে রাজনীতি, হতে হবে কোটিপতি রাতারাতি, সব বাধা করে জয়,
কারো কাছে যেন নাই কোন দায়ঋন, তাই ভাবনাহীন টুটেছে ভয়, অটল অবিচল দূরন্ত দল জুটেছে বাঁধন খুলে ॥
আমি কি পেলাম,
কি আমার কাজকাম,
শুধু আইলাম আর গেলাম,
কি বা আমার পরিচয় ও নাম,
কই পেলাম আর এ জীবনের দাম,
কি শিখিলাম, ঘরে আর ওরে, এসে এই বিশাল বাহিরে, আমার প্রিয় ইস্কুলে ॥
জীবনের যত ভাবনা,
দুটি চোখ থেকেও রলাম কানা,
হিসাব নিকাশটা আজও করা হলোনা,
হলোনা কিছুই দেখাশেখা ও ভাল করে চেনাজানা,
বিধি বিধান, নিজের জাতকূল মান, হলোনা মানা, মজে কোন ভূলে ঞ্জানের বালামখানা রাখলাম শিকায় তুলে ॥
কেন হলো এমন,
আমি নাহি পারি, মনের কাছে বারবার হারি, আমারে চালায় মন,
কেন হলাম আমি মনের গোলাম, আর সে আমার, চালক ও মহাজন,
তাইতো হলাম আমি, অতিশয় কমদামী, এলোমেলো হলো মোর সারাটা ভূবন,
দেখা হলোনা দেনার হিসাবখানা, শোভা আর সৌরভে সাজিল না মম কানন, বিকশিত হলোনা ফলে ও ফুলে ॥
জানিনা কোথায় গলদ,
আমি কি তবে এক কূলোর বলদ,
খোলে যদি তার তৃতীয় নয়ন,
আলোকিত হবে অন্তর তার, আর সেও বিচক্ষন,
সব জানালা দূয়ার হলে উম্মোচন,
আবু হকে বলে, হবে চিত্ত চেতনার জাগড়ন,
কেন হলো বৃথা এ জীবন, অজানা গোপন, বলো এমন, কোন সে কারন, ছিল তার মূলে ॥
কেন এ হীন পরিনতি,
বলো তাতে বেশী হলো কার ক্ষতি,
কেউ নেই কিছু নেই দশা এমন হলে কি হবে শেষে গতি,
সবাই সব কিছু পায়না,
বিধির লিখন বদলানো যায় যার আছে সে উল্টো তরিকা জানা,
হাত বাড়ালেই হাতে, কিবা পাত বিছালেই তা কভূ ভরে পাওয়া যায়না,
যার এক পাহাড় ধন, তারও দেখি কত অনটন, কতকিছু প্রয়োজন আছে অফুরান বায়না,
অল্পে তুষ্ট যেই জন,
পূঁজে তবু প্রভূর চরন, নতশিরে কায়ঃমন,
সহে মাথা পেতে লয় ও বহে, তবু সত্য কহে, করে ভজন গুনর্কীতন,
থাকে যদি দায়বোধ, কর তার মূল্য পরিশোধ, সাধনা বিনা হয়না সাধন, এসো খুশী মন তার দলে ॥
বড় আফসোস করে এক বাপে কয় ওরে পূত,
পড়বি বেহালে, এখনই না তাড়ালে তোর দেমাগের ভূত,
দেখি তুমি যেন সবকিছু হারিয়ে,
এক মরা নদীর বিজন শ্বশানের কূলে, রয়েছ হায় বড় অসহায় একাকি ঠায় দাড়িয়ে,
দিন ফুরালে আর, যা কিছু রয়েছে আজিকে তোমার, কেন ভাবনা কি হবে দশা ষোলআনা তার সব হারালে ॥
কই সে শান্তিপুর, বিজয়নগর,
যেথা ছিল সবাই আপন, আমি ইচ্ছে করেই নিজেই তাদেরে করেছি পর,
আপন দোষে, আপনার দুপায়ে ঠেলে,
তবে কি ওরে, আমি তা ভূল করে, রেখে এসেছি পিছনে ফেলে,
আমিতো তাই করেছি, বুঝি ভূল পথ ধরেছি, কাটছি সেই, আমি বসে আছি যেই ডালে ॥
গাড়ীটা আমার,
থমকে দাড়ায়, হিমশিম খায়, যেন পথ হারায় বারবার,
হেডলাইট আর ইন্ডিকেটার, সমানের বাতিগুলি একটা ও নাই তার,  
যেন এক র্মূখ বালক, ষোলআনা যার ক্ষতি আর ঠক, অবোধ জন চালক হয়েছে যার,
দূর লোকালয় হতে ভেসে আসা, ধূয়ার সনে মিশেছে কুয়াশা, ঘনিছে যেন সহসা ঘন কালো অন্ধকার,
কেজানে কি আছে কপালে, কি আছে সামনে তার, পড়বে নাকি শেষে, গিয়ে অচিন দেশে, অকূল পাথার জলে ॥
সওয়ারীরা সব গেলো কই,
একি কান্ড দেখি হেলপারও উধাও তৃঞ্চার পানির বোতলটা লই,
এখন সামনে ঐ, অসীম অপার অথই জল,
সেতো আর কিছু নয়, আপন পরাজয়, আমারই কর্ম্মের ফল,
ডুবে মরিবে,
বাঁচিতে কার, কহিবে কারে আর, চরনে ধরিবে,
সেকি তবে, বলো মোর হবে, ভাগ্যের ফের, পরিনতি মহাদূর্গতি অন্ধকারের অতল গহীন তলে ॥