পূরাতন একটা রেললাইন,
যেন পরিত্যাক্ত কোন এক অবহেলিত আধো বিজন রেল ইষ্টেশন,
অথবা যে এলাকাটা হয়ত বহুদিন ধরে করেনা গমন সাধারন যাত্রী ও জনগন, হয়না ব্যাবহার সচরাচর যেন এমন ॥
এখানে ওখানে ছুটে যাই,
কোথাও আমি তা খুঁজে নাহি পাই,
তবে কি আসলেই নাই তার, কোন টিকেট কাউন্টার ॥
দেখতে পেলাম,
জানিনা ঠিকানা নামধাম,
স্তূপাকার,
হাজার হাজার,
সারি সারি অঞ্জাত মমি,
পাথরের মত শক্ত হয়ে আছে জমি,
তবে ধারনা করা যাচ্ছেনা কোনটা সঠিক,
বেশীর ভাগই পূরাতন, কিছু আছে সাম্প্রতিক,
যতই হোক তার দশা বেহাল,
তার সংখ্যা, মৃত্যুর কারন কিবা সময়কাল,
প্রতিদিনই যেন বাড়ছে সংখ্যা তার,
কি প্রয়োজন তাতে কিইবা লাভ ঐ গবেষনার ॥
ঠিক আছে সব হাতপা ও নিথর দেহের গঠন,
ওজনে হাল্কা, কুচকানো নহে তেলতেলে ও টানটান চেহারা বদন,
মনেহয় ছিল স্বাভাবিক সুন্দর অবয়ব, এক সের দূধে একফোটা আলতা এমন শ্যাম বরন,
কিছুটা শুকিয়ে গেছে, কোন র্দূগন্ধ নেই,
যেন ঘূমিয়ে আছে পাথরের মত জীবন্ত মানূষটা ছিল যেই,
অসার অচেতন হয়ে শক্ত সটান,
কেজানে সৃষ্টির তরে ছিল কি তার কোন অবদান,
তারা কারা, হয়ত হবে কোন দরিদ্র আরব সাগরিয় কিবা এশিয় নিয়তি যাদের সারাক্ষন করছে তাড়া, তাই বুঝি তারা ছিল পেরেসান,
জীবিকার টানে কে কবে কেজানে, এসেছিল এখানে আর কেমনে কেন কবে এই মানূষগুলির হয়েছিল করুন মরন ॥
তা পূরুষ কিবা নারী,
মোখ দেখে পলকেই পরিস্কার বুঝতে পারি,
ট্রেন আসে ট্রেন যায়,
কেবা তার খবর রাখে হায়,
কেজানে কোথা হতে আসে কিবা যায় কোথায়,
তারা বড় অসহায়,
দেখি যেন হরদম, অতীশয় কম থাকে তার যাত্রী কিবা প্যাসেঞ্জার ॥
যায়না ভিতরে ঢুকা,
বুঝি এক বদ্ধকারা বধ্যভূমি এলাকা,
কিবা বাহিরে চলে আসা, নহে নিরাপদ হেথা থাকা,
জীবন হুমকির মোখে, প্রান হতে পারে সংহার, সে যেন এক ভয়ংকর কারাগার ॥
অত্যাচার,
যূলূম র্নিযাতন ও টরচার,
কোন অপরাধে সাজা হয় কেন কার,
এমনই র্নিমম শাস্তি আর করুন মৃত্যুপূরী ও এক বিশাল মৃতের ভাগার ॥
চলেছি একা,
নাই কারো দেখা,
১৪
শুধু আমি,
ছায়াহীন সহচর তুমি,
বিরান এক বিশাল মরুভূমি,
যেদিকে হায় যতদূর চোখ যায়,
দিগন্তে যেন কালো আকাশ এসে মিশেছে বালুকায়,
আঁধারের বাহাদুরি তারকার আলো করেছে চুরি দিক চেনা হয়েছে দায়,
এক দেহে দুইজন সংগী নিরাকার, তবুও কেন নিঝুম বিজন এ মহাচিতার অন্তহীন সীমানা নাই জানা কেমনে হবো পার ॥
কোথায় এলাম বুঝিনা কিছুতেই,
ক্ষিন মশালের আলো লোকালয় বৃক্ষতরু কিছু নেই,
সে এক গোলক ধাঁ ধাঁ,
যেন পড়েছি আমি মহাআপদে বাঁধা,
দেশের মূল ভূখন্ড থেকে যেন একেবারে ছিন্ন, ভিন্ন ও আলাদা,
কোন যোগাযোগহীন বহু দূর,
আপদ আর অশান্তি ভরা এক পুর,
অন্য এক ভিন্ন জগত, বিশাল উঁচূ পাহাড় সম প্রাচীর ঘেরা তার, দেশ সমাজ সংসার কিবা পরিবার কিছু নাই যার ॥
কেউবা বন্দি একা, কেউবা সমেত তার গোটা পরিবার,
হলেও তেমন কারো সনে এ জীবনে বুঝি কভূ আর দেখা নাহি হবার,
অতী নিম্ন মানের খাবার,
থাকার ব্যাবস্থা ও ঠিক তেমনই তার,
স্বামী স্ত্রী পূত্র কন্যা বন্ধু ভাই,
প্রতিবেশী কিবা চেনাজানা কোন পরিচিত একখানা মোখ পাই,
কারো সনে প্রকাশে কি গোপনে কোন যোগাযোগ তথা দেখা বা আলাপ নাই,  
বুকভরা তাই শুধু ভয় ও র্আতনাদ আর হাহাকার ॥
বিভিন্ন ভাষাভাষী,
আছে স্বদেশী ও ভিনদেশী,
কে কবে কেমনে কেন কোথা হতে জমেছিল এখানে আসি,
হলো কোন ভূল কি আশা র্সবনাশী, বুঝি জীবন ফাঁসীর চেয়ে অনেক ভাল ছিল মরন ফাঁসী,
যা হবার হয়েছে কষ্ট যন্ত্রনা,
সেতো কিছুতেই এ জীবনে আর ফিরানো যাবেনা,
সবাই বুঝতে পারছে আজ,
যেন মাথায় ভেংগে পড়েছে ভীষন বাজ,
হাতপা বেধে যেন ঝাপটে ধরেছে শত কষ্ট যাতনা ভয় লাজ,
শুধু মরন ছাড়া জীবনের এখন বুঝি কিছুই বাকী নাই আর ॥
রাজ পরিবার,
দেশটা ও রাজার,
জনতার ধন লুন্ঠনের অধিকার,
অপচয় লোভ আর অতিশয় ভোগবিলাসী,
দেশী কি বিদেশী বন্দি ছাড়া বাকীরা সবাই কর্ম্নচারী যেন দাসদাসী,
দেয়না গোলামেরে,
যারা দিনরাত শুধু কাজ আর উর্পাজন করে,
সেতো আর কিছু নয় অবক্ষয় ও পরিনতি আত্ব অহমিকার,
দেয়না ঠকায় ভাবে তাতেই বুঝি জিতে যায় নায্য বেতন ভাতা ও অধিকার সমতার,
সব আছে তাদের কাছে শুধু নাই ন্যায় বিচার, আছে প্রভাব ইচ্ছে খেয়াল আর ক্রোধ ও একগুয়েমিটার ॥
কহিবে সত্য বচন,
চাহিবে আপন অধিকার যেজন,
খুলিবে তাদের মন্দের ঝুলি তুলিবে ধরে যূলূম অন্যায় অবিচার সবাই তারা দূষমন,
কেমনে থাকে তবে সিংহাসন, তাই করেছে আইন রেখেছে বিধান,
১৫
তাহলেতো আর ক্ষমতা থাকেনা, যায়না মানা, যাবেই যাবে তার র্গদান,
চোখ থেকেও চক্ষু নাই, তাই তারা সবাই কানা, ওস্তাদের মানা,
অনূভবে চেতনায় ভোতা হয়ে গেছে তাদের মানবতার ঐ বিবেকখানা,
তাই কোন ফরিয়াদ অভিযোগ অনূরোধ প্রতিবাদ মেনে নেওয়া যায়না যাবেনা,
যতই করুক বড়র বড়াই,
হুদুদ মানেনা, মানবতা ইবাদত পবিত্রতা নাই,
অবক্ষয় অধঃপতন বুঝিবা নিম্নে কিবা পিছনে টানিছে তাই,
ধনে ভরা সউদ সাহেবের দেশ,
যেন অন্যায় বলে কোন কথা নেই, যেন অপরাধের নাই শেষ,
খোদ মক্কাতেই উঠেছে গজাই, তবে কি অপরাধীরা সবাই তাদের ভাই ধরেছে ছদ্দবেশ,
উজির নাজির পাইক পেয়াদারা যেন হয়ে গেছে সবাই দরবেশ,
একদিন, সুদাসলে শোধিতে হবে ঋন হলে সব ন্বিঃশেষ, রাজা আর তার বিচারকেরও হবে বিচার ॥
হাতে তছবিহ, দাঁতে মেছওয়াক,
শিখতে চায়না, শিখাতে ও জানেনা আছে হায়দরি হাক,
চোখে র্পদা তাই কি পক্ষপাত,
কোন গুনে আবার তারা দাবী করে উঁচূ জাত,
ছিল নীচূ অধম নিকৃষ্টতম ঘর ছিলনা খেতে পেতনা ভাত,
সারাদিন নিদ যায়, কাজ কিবা নানা বিনোদনে কাটে সারা রাত,
নবীর ছোয়ায় অমানূষ মানূষ হয়েছে যারা শুধু তাদেরই খুলেছে আঁখি হয়েছে ভোর খুলেছে মনের জানালা দুয়ার ॥
ভিতরে বাহিরে সুবোধ সুজন,
আছে হাতেগনা মাত্র অতী অল্প কয়জন,
কথায় কাজে ভিতরে বাহিরে ভাল মানূষের চিন,
পোষাকের বাহার, কেন আজ নেই মোহাম্মদের সেই দীন,
নিজেই জানেনা তারা হচ্ছে র্সবহারা দিনেদিনে বাড়িছে কত আপন ঋন,
সবাই যেন নকল মানূষ নামের মুসলমান,
যে শিক্ষা আলো আর ভালো করেছিলেন মানূষ নামের অমানূষেরে দান,
বিশ^ জুড়ে ছড়ানো নেয়ামত বরকত ও ঞ্জান,
যেটুকু সভ্যতা শান্তি সুখ উন্নয়ন পবিত্রতা আজিকে এ সমাজে বহমান,
খোদ শ্রেষ্ঠ সে নবীর দেশে হচ্ছে ঐ মহা রোশনী ম্লান,
আজব ঐ ইষ্টেশান,
বড় বড় রেলগাড়ী দ্রুতযান,
খুঁজে পেলাম না,
কেউ দেখিয়েও দিলোনা,
দেখি আসা যাওয়ার লোকজন অতী কম তার পেসেঞ্জার,
হতাশা আর বিষন্নতার ভীষন ভার তা ও আবার টিকেট কাটার নাইরে কাউন্টার ॥
ঘূরে ঘূরে পেরেসান,
দুচারজনে জানিনা কেনে যেচে মোরে কিছু কিছু করল দান,
বাকীরা সবায়,
নানা ছলনায় কৌশল কলায়,
আমারে শূন্য করে আমার সব কেড়ে নিতে চায়,
প্রতারক ধোকাবাজ যেন নেই আর কোন ভাল কাজ নাই উপায় তাই বুঝি আজ হয়েছে টাউট বাটপার ॥
আছে সরকারী লোক দুচারজন,
নাজানি কেমন তাদের ভূমিকা ও আচড়ন,
কোন বুঝার উপায় নাই কে পুলিশ কে টিটি বা টিকেট চেকার ॥
এ কোন বন্দি শিবির চারিধার ঘেরা,
শুধু কাঁটা তারের উঁচূ উঁচূ বেড়া আর বেড়া,
নেই ফটক আসা যাওয়ার কেউ যেন না করে পলায়ন না হয়ে যেতে পারে পার আছে শুধু রেলগাড়ী ও হেলিকপ্টার ॥  ১৬  
কোন রঙ নেই, নেই কোন সুন্দর,
তাকাই যেদিকেই নেই চটক সব বির্বন ধূসর,
কোন অপরাধে তাদের কাঁধে মাথার উপর এত প্রলয় ঝড়,
এভাবেই একদিন তাদের মরন হয় তারপর,
জীবনের প্রয়োজন উপকরণ সব কিছুই অতীশয় কম, নিষ্ঠুর র্নিমম সে র্নিযাতন যূলূম ও অত্যাচার ॥
মানূষের এ জীবন,
হেন অল্পদিন যেন কিছুক্ষন,
বেশী ধন আর বেশী ভোগ বিনোদন,
যার নেশা বেশী আর করে ক্ষমতার অপব্যাবহার,
কেড়ে নিয়ে যেতে পারে, এত ধনজন আর এ জীবনটা যার,
যে কোন ক্ষনে হেচকা টানে আহারে অ ভাই সর্তকবাণী লাগি তার, তাই সাবধান হুশিয়ার ॥
যতই হোক কিবা থাক তার,
বিত্ত ধন বিদ্যা ও ক্ষমতার সোনার চেয়ার,
একদিন,
লয়ে লোকের ও মহাজনের মাথাভারী ঋন,
ওরে মন হবে মরন রাখিও স্বরন,
হবে সবার সব কথা ও কাজের হিসাব ও ওজন,
লাভক্ষতি দেনাপানা সুদআসলের হিসাবখানা মহাজনের দাদন,
আর তার মাঝে থাকা লুকানো ঢাকা সাদাকাল মন্দভাল ও শত পাপপূন্যের হবে বিচার ॥
হোকনা যতই কূলীন কিবা উঁচূ জাত,
বাদশাহ গোলাম কিবা জমিদার যতই থাক তার প্রভাব প্রতাপ ও লম্বা হাত,
আবু হকে বলে,
মহারাজার বিচারে অপরাধী হলে,
হোক সে রাজা কি প্রজা যালিমের উচিৎ সাজা রয়েছে সবার ॥
চাহিলে মন করিবেন মাফ দিবেন নাজাত,
দুজাহানের বাদশাহ হক্কের হাকিম নাই যার কোন অবিচার কিবা পক্ষপাত,
তার নিখূঁত বিচার,
অপরাধী আর যূলূমবাজেরই হবে হার,
যে বহে সব সহে সদা সত্য কহে হবে অনেক মূল্য তার,  
স্বাগতম ও জয়জয়কার ন্বিঃস্ব মজলুম ছাড়া আর কারোই নাই কোন ছাড়, কেউই পাবেনা পার ॥
দুদিনের বানিজ্য সফর,
মহাজনের দাদনের সওদাগর,
আর আমরা সবাই মুসাফির যাযাবর,
এত আপন জন এই গাড়ী বাড়ীঘর যতই হোক দামী ও সুন্দর,
অ ভিনদেশী নাগরিক সত্য সঠিক সবই হবে নিলাম আর আপন সবাই তোমার হবে পর,
শুধু ভাল কথা ও ভাল কাম,
জান কি রাজার কাছে তার আছে কত দাম,
পরের ভালর তরে সামান্য ভাবনা করে দেমাগের ঝড়ে একবিন্দু ঘাম,
রয়েছে তূল্যহীন মহামূল্যবান এক আকাশ সমান দেখিবে লভিবে সেদিন যদিও আজ অদৃশ্যমান সে মহাপূরষ্কার ॥
এইতো জীবন,
মোহ আর সম্মোহন,
মন ও নয়ন এটা ওটা চায় সারাক্ষন,
মানূষটারে অনাহুত দেয় তাড়া করে তাড়না ও জ্বালাতন,
এ দুনিয়াটা এমনই এক আজব ও অভিনব ইষ্টেশন, চমৎকার তার রঙ মজা আর তার বাহার ॥
কতজন নিরুপায় অসহায়,
দিন কাটে রাত যায় পেরেসানি তাড়নায়,
কত কি বলিতে বুঝাতে চায় নিরব আর অষ্ফুট তার কান্নায়,
করে কাড়াকাড়ি, যার আছে ভূড়িভূড়ি দেখি সে যেন আরও পেতে চায়,
এ জীবনটার কেন এত সুধা রঙ আর ক্ষুধা তার, কুয়াশা ধূসর সাদা ঘনকালো সপ্ত রঙীন বিভৎস আঁধার ॥            
কেন নাই অন্ন,
ক্ষুর্ধাত মানূষের জন্য,
কেউ দেখি মানূষ নামের বন্য,
আত্ব ভোগে মত্ত বিভোর যারা বহু ধনে ধন্য,
কেন নাই,
নিরাপদ আশ্রয় ঠাই,
বুঝিবা তাই দেখিতে শুনিতে পাই চারপাশে আমার বুকফাটা নিরব হাহাকার ॥
জীবন নামের ঐ গাড়ীটা,
আছে তার আসা যাওয়া জোয়ার ভাটা,
কেউ ভাদরের র্পূন শশীতলে বসি বুনিছে বাসন্তি মালিকা গুনিছে প্রহর কি সুখ আসিবে তারপর, কারোবা কপাল ফাঁটা,
কিছুদিন অবস্থান,
এই পৃথিবীটা এক আজব ইষ্টেসান,
খায় ঘূমায় ও জিরায় এইতো সুখ যেটুকু সময় পান,
দেনাপানা লাভক্ষতি দায় ঋন, তারপর লোকান্তর সব অবসান,
শাস্তি পূরস্কার, হয় কারো জিত কেউবা বিপরীত কারো ভরাডুবি পরাজয় হার ॥
কত রুপ ছবি দেখায় আর আমারে গল্প শোনায়,
থামে চলে চুপচাপ কেউরে কিছু না বলে আসে ও যায়,
এই চলায় কেউ পায় কেউ পায়না আবার কেউবা পেয়েও হারায়,
কেউ কাঁদে আবার কেউবা হাসে,
পড়ে ফাঁদে আপদে নিদানে বিষাদে বিনোদন উল্লাসে,
এমন কেন,
জবাব দেবার কেউ নাই যেন,
না, আসলে সবই সে দেখে জানে শোনতে পায়,
বুঝে অনূভবে চেতনায় হারেনা জিতে যায় আশেপাশের চেনাজানা সবাইকে হারায়,
জীবনের সেরা উপহার, মরনের শ্রেষ্ঠ পূরস্কার কভূ হয়না হার একটা তৃতীয় নয়ন খুলেছে বা আছে যার ॥
খোলা আকাশের নীচে অযতনে অবহেলায় পরে থাকা,
ছিন্ন ত্রিপল ক্যানভাস চট রেক্সিন কিবা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা,
দেখতে মনেহয় তারা ঘূমন্ত,
আসলে তা নয়, এ মমি মানূষগুলি মৃত,
ধূলি বালি পরা কোনটা আবৃত ঠিকঠাক কোনটা র্অধ কোনটা অনাবৃত,
ওয়ারিশ কিবা দাবীদারহীন,
এভাবে হেন অবাঞ্ছিত ও পরিত্যাক্ত পরে আছে রবে কতদিন,
কেজানে নিজেরা তারা লোকের ও মহাজনের কাছে পাওনাদার নাকি গ্রস্ত দায়ঋন,
ছোট্ট এ জীবন জুড়ে দেখি আসে বারবার ঘূরেঘূরে কাছে ও দূরে অজানা অচেনা কত সুখ দুঃখের অসীম সমাহার ॥
পিশাচ ও প্রেতাত্বারা নেই, ছাড়া হতভাগা ব্যাথিত প্রিয়জন,
কোন কোন নব কিবা পূরাতন মমির পাশে রয়েছে দাড়িয়ে কিবা বসে উৎকন্ঠা কিবা হুতাষে দুচারজন,
কেজানে হয়ত অতী ভালবাসে,
নাহলে হয়ত র্মূদার ক্ষতিপূরণ পাবার আশে,
একসাথে যাবে তারা আপন দেশে প্রতীক্ষাটা তাই হয়ত এই বিশ্বাসে,
না হতে মোর দেখা ও লেখা শেষ বুঝিতে পারি বেশ, অজানা অচেনা কত বিষয় সামনে আসে,
মম তৃষিত পরান বুঝি তাই পেলোনা সন্ধান তার,
খুঁজেও উপসংহার জীবনের এ গল্পটার, অনেকের লাগি যার ভেদ বুঝা আসলেই অতী ভার ॥
অজানায়,
আমি হেথায়,
কেন গিয়েছিলাম,
কেমনে ইবা ফিরে এলাম,
যেথা অদেখা অজানা নতূন কিছু আমি পেয়েছিলাম,
হয়ত এক স্বজন, কিছু এমন অমূল্য ধন যা বাহিরে কিবা অনেক দূরে পূঁথিগত বিদ্যার আওতা ও সীমানার ॥