কে দেবে আমায়,
নিশানা যেন না হারায়,
দূর আকাশে বাতাসে উড়ে যায়,
মেঘ ছাড়িয়ে বেগ বাড়িয়ে দিশা খুঁজে পায়,
পাল তোলা আপন ভোলা এমন একখান, ছোট্ট ডিঙি নাও ॥
পংখীরাজ মনটা আমার চায়,
কখনও ঐ অসীম নীল শূন্যে হারিয়ে যায়,
তা ও হবে ঢের, যদি ঐ এক আকাশের সবকিছু দেখিতে পায়,
দেখে আর ছবি এঁকে দায় ও ভুলগুলি মোর তার রোশনীর জোয়ারের জলে ধুঁয়েমুছে যায়,
নিখিল জোড়া রবি শশী তারকা সাগর নদী নালা দীঘিঝিল র্ঝনা পাহাড় খালবিল উড়েউড়ে ঘুরে বেড়ায়,
তুমি কি পারনা বলো আর, কি নাই তোমার,
জানি আমি তা পলকে পার, তুমি সব আয়োজন করিতে তার,
নাহয় একটু লাভ আমার হলো, তাতে তোমার কি ক্ষতি বলো, আমায় তুমি নিয়ে চলো, নাহলে তার সাধ্য আর ঠিকানা দাও ॥
অসীম সবুজে আর নীলে,
হাজারো মাছ আর পাখপাখালীরা মিলে,
নীশিদিন যেখা করে কিলবিল পেটভরে খায়,
সারাবেলা করে খেলা, হরষে নাঁচে আর গান গায়,
বন্ধ আঁখি দেয় খোলে আর আবেশে মন ভরে যায় কানায় কানায়,
শাসন ছাড়া বাঁধনহারা সকল রিপূ ও ইন্দ্রিয়গুলি যেন সবল প্রান ফিরে পায়,
আমার সে প্রিয় গাঁয় লতা ডালপালা ঘেরা সবুজ পত্র ভরা কোন সে শ্যামল মায়ায়,
বৃক্ষলতা কথা কয় ইশারায়, করিতে চাহে কূটূম্বিতা কি নেশায় চাঁদের আলোয় সকল ভালোয় গাছের ছায়ায়,
মা-আ-গো আমায়, এমন একটা ময়ুরপংখী নৌকা কিনে দাও ॥
সে শোভা ও রুপের ছবি,
আমি হতে চাই এমন নিঁপূন শিল্পী কবি,  
আঁকিব আমি আপন মনে নির্জনে আজীবন বসে,
ভরে দিয়ে তা, পা হতে মাথা, সপ্ত রসে যেন হয় টসটসে,  
রহি আর যাই ভূলি, মোর যত চাওয়া পাওয়া গুলি, আমারে জ্বালায় অবিরত,
যাব আমি একাই,
কোন সংগীসাথী যদি না ই পাই,
সংগে রবে পরম আপন, জানি আমি সাহসী তাই,
তার সনে দেখা হলে, বেলাবেলে অকূল ঐ নদীটা পার হতে চাই,
যদি আমার ভার তুমি তুলে লও, আর কিসের ভয় তুমি যদি কান্ডারী হও পথ দেখাও ॥
যা দিয়েছ হে মহারাজ,
সুস্থ্য সবল দেমাগ ও দিল দরাজ,
তবে ওরে, দাওনা কেন মোরে, যেমন চাই তেমন একটা ভাল কাজ,
যে কাজের ফল, জানি কভূ যাবেনা বিফল, পাবোই পাবো তার সুফল কাল কিবা আজ,
পেলে আমার চাওয়ার পরম পাওয়ার তেমন একটা রঙীলা নাও,
সাগর যদি বদলে নদী, আর তুমি রসিকা মাঝি দারুন পাজি নাগর হয়ে যাও,
আর সারা দিবস রজনী, হয়ে মেঘ সজনী, এ বিশাল অবনী তুমি আমায় লয়ে ঘূরে বেড়াও ॥
আমি অবাক মুগ্ধ চোখে,
এ জীবনে যা দেখিনি তা দেখে দেখে,
নাওয়া খাওয়া ভাগের পাওয়া আর যত সব মন্দগুলি পায়ে ঠেলি ফেলে রেখে,
অবূভবে আর চেতনায়, নাহয় আমার মোখটা ঢেকে,
যখন মনে চায়, ঘরে বসেই তা সবে দেখতে যেন পায় ইন্দ্রিয়লোকে,
সবার আকূল, দেখা জানার মনের কথা কাগজেতে লেখে,
অরুপ তার রুপের সমাহার, হাজার ছবি যার আমি শত রঙে দেবো তা এঁকে,
ঠিকঠাক দেবো আমি,
তাই, যেমনই প্রভূ চাহ তুমি,
যে পড়িবে যে দেখিবে, হয়ত সেও হবে খাটি হবে দামী,
আমি তাই করিব, শূন্য আমার ঝোলটাা ওরে,
ছোট ছোট পূন্য করে, দেবো আমি আলো আর ভালোয় ভরে, তুমি যদি চাও ॥
আমার মাটির ঘর,
আর দেখিনা আজ কতটা বছর,
আমি যেন হায়, বদলে গেছি হয়েছি এতটাই পর,
বলো তা আমি কেমনে ভুলি, আমার প্রিয় বড় সখের সে রঙতুলি, আর ছোট্ট সোনার গাঁও ॥
আমায় ওরে দাওনা কিনে,
আমি ডুবে আছি মহারাজার অনেক ঋনে,
নাহলে, কেমনে যাবো অচেনা পথ আঁধার রাতে আলো বিনে,
ঠিকানা ছাড়া, কি করিবে ঐ কাফেলার সবাই তারা, ঘন আঁধার যাদের দিনে,
কে নেবে তড়াই,
অ মহাজন ওহে মালিক সাঁই,
অসহায় তারা তব করুনা ছাড়া যতই করুক বড়াই,
তুমি দয়া করে, ঐ সে কাজের ঘাটতিগুলো মোর দাওনা ভরে,
যেন হই আমি তাই, সবার তরে পিদিম জ্বালার কাজটা পাই, সকল তিমির ঘরে,
যারা আছে নিদানে আর আপদে পড়ে, নব ছাঁচে নতূন ধাঁচে, যেমনটা মোর হৃদয় যাচে, আমারে গড়াও ॥
দূর আরশে নিরবে বসি,
রোশনীভরা তব ঐ সে অদেখা রশি,
মোর হাতেপায়ে কোমড়ে দাওনা বেঁধে তা কষি,
তুমি আমি একই খাঁচায়,
মোর দেমাগে মননে আর সারা গায়,
তোমার আলোর সকল ভালোর ছোয়া মোর কায়ায়,
আমি বন্দি তুমি নও, তাই কর তেমনই হও, যখন যা ইচ্ছে কিবা তোমার মনে চায়,
আমারে তোমার,
পছন্দের সেই সেরা কাজটার,
যেমন তুমি চাহ কিবা দরকার, যেন ধূয়েমুছে যায় মোর বকেয়া সব দায়ভার, অদেখা ঐ জালেতে জড়াও ॥
কই মোর ঐ কাজ,
তব করুনার আমি কাতর মোহতাজ,
চাহি তব রঙে মম সর্বঅংগে পছন্দের সাজ,
র্কম্মহীন, তাতে বাড়িছে নাতো ঋন, কেন আমি অকারন আজ,
তবু চাইনিতো কভূ আমি পাহাড় সম ধন, হতে কোন বিশাল রাজ্যের রাজ,
এই হাতে যে কোন কাজ, নেই মোর তাতে কোন দ্বিধা সংকোচ ক্লান্তি কিবা ভয় লাজ,
বসে আরশে কিবা তুমি একবার এসে, নিরাকারে কিবা ছদ্দবেশে, কাজটা আমার পাকা করে দিয়ে যাও ॥
কেন এত অবসর,
নিত্য সারাদিন সারাটি বছর,
কেন আমি বন্দি এই আপনার ঘরে,
তোমার বেশুমার সৃজন বাহার মম পঞ্চ পরানে ভরে,
মোর তৃষিত হিয়া, মোরে ছাড়িয়া, বাহিরে গিয়া একাকি বিজনে চড়ে,  
মনে বড় সাধ, ছিড়িতে বাধন ভাংগিতে বাধ, উড়েউড়ে আর বেড়ানো ঘুরেঘুরে,
সারা দেহমন মম অবনত তব চরনে, যত মোর শূন্যতা আর, দীনতা তার, তুমি ঘূচাও ও ভরাও ॥  
হে প্রভূ করুনাকামী,
তুমিনা তোমার সকল প্রাণের অন্তর্যামী,
আমি চাইনি চাহিনা হতে কভূ দামের চেয়েও দামী,
সৃজনকালে যেটুকু মান, তুমি করেছিলে দান, পূরো ঐটুকুই শুধু চাহি আমি,
আমারে বারবার হারিয়ে,
তাড়না দিয়ে আর পেরশানি কিবা তাড়িয়ে,
দিও তব রোশনীর আলোকন, ঐটুকু এমন যেন কভূ না যাই কোন সীমা ছাড়িয়ে,
শত সাধ বাসনা দীনতা ও কষ্ট আছে,
তবে কোন ক্ষোভ অভিমান হতাশা লোভ কিবা অভিযোগ নাই তোমার কাছে,
সে ওতো শুধু তোমারই লাগি,
যেটুকু পথ হেটেছি আমি নিদহীন শত নিশি জাগি,
হইনি বিবাগি, কোথা যাবো ভাগি, রাজ্যটাতো একই রাজার, তাই শুধুই তার মমতা মাগি,
অমূল্য ধন, দুদিনের এ জীবন, তার একদম অনূক্ষণ, এত রণ সারাক্ষণ সদা বিসর্জন তাও ॥
দাও কাউকে ঢেলে, উপচে ফেলে আবার কারোটা কাড়ো,
আমি এত বলি এত চাহি তবু তুমি রহ চুপ করে, ধারাও ধারো,  
তুমি সব জান সব দেখো সব পার, তবু কেন যে তুমি হারাও হারো,
তবে তাই হোক প্রভূ, তবে তাই হোক,
কি আসে যায়, ভাল মন্দ করানো ফিরানো সবইতো তোমার দায়, যা বলে বলুক লোক,
তুমি যাহা চাও, ধন্য আমি জন্ম আমার হলো সফল যদি তা দিতে পারি, যাতে প্রসন্ন হও তুমি সুখ পাও ॥
অ বাদশাহ কাজী,
আমিতো তাতেই রাজী,
যেমন খুশী ইচ্ছে যদি হয় তোমার,
মনিব নাহয় গোলামেরে একটুখানি দিলোই ছাড়,
আবু হকে বলে,
রাজা তোমার ইচ্ছে কিবা দরকার হলে,
তা আমার জানা, যা বলি আমার সবইতো তার, শুধু তোমারই মালিকানা আর দখলে,
আমার সব তুমি নিয়ে, বিনিময়ে আমায় যা খুশী সামান্য দিয়ে, যা করাতে চাও তুমি তাই করাও ॥