মনেহয় যেন সেই,
যার কোন তুলনা নেই,
সে আমার পরানের পরান, পাষান বন্ধু কালাচান ॥
কত যূগ যূগ ধরে,
যেন জগত জুড়ে ঘূরে ও বিচড়ে,
যাহারে এই মন গোপনে করেছে করিছে সন্ধান ॥
কভূ দেখি নাই চিনিনা যারে,
আমার বড় দেখতে ইচ্ছে করে যে তারে,
দারুন মধুর তার গানের গলা,
ভালবাসার, আকূল আবেগ আর, নিবেদন ভরা কথা বলা,
যেন বহু দূড় হতে আসা চমৎকার শুর আর ভাষা, তার ঐ মাতাল করা গান ॥  
বন্ধু আমার যেন অকূল নদীর ঐ পার,
আর যেথা বন্দি আমি, বন্ধ ঐ ঘরের সব জানালা দুয়ার,
তবু কেনরে আমারে ব্যাকূল করে, যাদু মাখা তার বিষাদ মায়ার যাদুর কন্ঠখান ॥
পীরিতির দরদ ভরা মন,
বিচ্ছেদ আর বিষাদের গীত সে গায় যখন,
মনেহয় দুই কূলে তার কেউ যেন নাইরে আর কোন আপনজন,
বড় সে অসহায় একজন, যেন বিজন বিরান তার ভূবন, তাই গভীর রাতে প্রেমেরঅ সাম্পান বিষাদ সাগরে ভাসান ॥
প্রেমে বুঝেনা কূলমান জাত,
উঁচূ নীচূ হলে মিলনে ঘটেযে সংঘাত,
সব ছেড়ে শেষে, কুড়ে ঘরে এসে খায় কলংকের ভাত,
যেন তাতেই তার হয়েছে বাজিমাত, সকাল দুপুর বিকাল সন্ধা কিবা রাত,
বুক ভরা সুখ হলেও বাহিরে তার, এ জগৎ সংসার কলংকের আঁধারে খানখান ও বিরান ॥
জানিনা নাম,
তার ঠিকানা ও ধাম,
জাত বংশ শিক্ষা দীক্ষা সমাজের দাম,
দেখতে কেমন বয়স কত কোথায় থাকে ও করে কি কাম,
একদা তাই, গোপনে একাই ছুটে গেলাম, খবর নিয়ে জানতে পেলাম, হয়ে বড় পেরেসান ॥
ঐ সে গান দারুন করুন মধুর,
যেন পাশের বাড়ী হতেই যখন তখন তার ভেসে আসে শুর,
জানালা এটেও যেন ঠেকান যায়না, মনের ভিতরে করে তোলপাড় ভাংচূড়,
নিজের অজানায়, অনিচ্ছাতেই কানায় কানায়, শ্রাবনের ধারায় যেন ভরে যায় এ পরান ॥
কয় তলায় কোন ফ্লাটে থাকে,
এই শহরে বলো ওরে কে কার খবর রাখে,
নিজেরে লুকিয়ে রেখে যেন সে কারে গানের শুরে ডাকে,
হৃদয়ের বটুতে ধরে, যেন মাঝেমাঝে সজোরে, ইচ্ছে করেই মারে বড় হেচকা টান ॥
তার ঐ গানের এমনই গুন,
যেন পান বানাতে হাত থেকে খসে পড়ে চূন,
দোতারা তবলা বাঁশী হারমোনিয়াম বিনে যে গান শুনে,
ঘর কাজ আর নাওয়া খাওয়ায় পড়ে বাজ, ধরে লেখাপড়ার খেয়ালে ঘূনে,
ঘূম টুটে যায়, মন ছুটে উড়ে যায় দূড় সীমানায়, মনের কোনে বাণ ডাকে দ্বিগুনে,
আমারে দোলায় যেন বাঁধন ছিড়িতে চায়, ঢেউ লাগে সারা গায়, আর মাতাল বাসনা জাগায় খুনে,  
মায় ডাকে উঁচূ গলায়,
বলে শোন, তবু মোর কানে নাহি যায়,
অনূভবে চেতনায় যেন হায় দামাল বায় বয়ে যায় অজানা কোন বেসামাল তোলপাড় আহ্বান ॥
সে যে দেখতে কালো,
পোষাক আর চূলগুলো এলোমেলো,
চেহারা যেমনই তার মনেহয় মানূষ ভালো,
মনটা রাঙানো পাল টাঙানো সাত রঙ মাখানো ও রসালো,
বয়স পঁচিশ কি তিরিশ,
চোখে র্বশা ফলা নিরব ভাষায় কথা বলা, বাহুতে যৌবনের বিষ,              
আমাকে আপা বলে, যেন ধনীর দুলালীর ছলে, মন ভূলানো কৌশলে দেখালো সে আমারে অতীব সম্মান ॥
মালিকের চাকুরী করে,
পাশের বাড়ী নয়, একটা বাড়ী পরে,
র্নিম্মানাধীন ঐ বাড়ীটার কেয়ার টেকার ও সুপারভাইজার,
কিছুদিন পরে সে ই দিয়েছিল ঠিক করে আমার গাড়ীর নতূন ড্রাইভার,
কালের বদলে হয়ে গিয়েছিল সে অনেক উঁচূ মানের একজন সৌখীন সমঝদার র্নিম্মান ঠিকাদার,
নাম তার ছিল মিষ্টার আলী আহসান, কেমন করে অজানায় অগোচরে হয়ে গিয়েছিল সে আমার জানের জান ॥
ভাটিয়ালি বিচ্ছেদ,
যেন জমানো একপাহাড় বীরহের খেদ,
মন কেড়ে নেয় যেন ভূলিয়ে দেয় ধনী গরীবের সব ভেদাভেদ,
হলাম গোপনে দুজনে দুজনার,
তবে আমি কেন নহে তার লাগি তৈয়ার,
অভিজাত আবাসিক এলাকা, রাখিতে বাবার মান নিজেকে লুকানো দরকার,
তাই আমি বান্ধবীর বোরখা পরে চুরি করে, হেথা গোপনে যেতাম বারবার,
আমার জান মাল ইজ্জত মান সবকিছু করে কোরবান তাহারে করিতে দান ॥
কহিল সে,
এগিয়ে সামনে এসে,
মৃদু বাঁকা একটুখানি দুষ্ট হেসে,
যেথা অডিও ভিডিও অনলাইনে লেপটপ টেবলেট এনরয়েড মোবাইলে এত শত সুন্দর গান,  
না দেখে ফেলে রেখে এ যূগের বিঞ্জানের অবদান,
আমার নগন্য গান জুড়াল পরান আমি হলেম তাই মহাভাগ্যবান,
আমি নিতান্ত ই সামান্য একজন বাথরুম কিবা হোম সিংগার,
অলংকার সরঞ্জাম, র্অথ বিও কিবা সুনাম কিছুই ওরে ভাই সামান্য নাই যার,
হেথা আমার গানের, কদর হলো ঢের, বুঝিনা কিবা মূল্য আর কিবা তার মান ॥  
কি করি আহারে,
যেন না পেলে আমি তাহারে,
আনচান এ হৃদয় এ জীবন, বুঝি ভেংগে হবে খানখান ॥
পড়িলাম ভীষন ভাবনায়,
কি উপায় যদি বাবামায় না মেনে লয় বুঝিতে চায়,
সে এক মস্তবড় দায়, কেমনে রাখিব শেষে হায়, আমি এই কূলমান ॥
সবাই জানে আমার বাবার,
রয়েছে এক বিশাল টাকার পাহাড়,
সবারে হারায়, কারো কাছে সে মেনে লয়না কভূ হার,
সে কি দেবে কখনও আমাকে কিবা অন্য কাউকে সামান্য ছাড়,
রয়েছে যার শীতল গাড়ীর সমাহার আর, শে^ত পাথরের প্রাসাদ বাড়ী আলীশান ॥  
ছিল গ্রামের বাড়ীতে তার,
বুড়ো মা বউ আর দুটি ছেলেমেয়ের সংসার,
তা জানতাম না, যখন জানিলাম যেন মাথায় ভেংগে পড়িল পাহাড়,
একটা কুড়ে ঘর, আজ সবাই হয়েছে পর, থেকেও না থাকার মত ভেংগে যেন চূড়মাড়,
তার কন্ঠের গান দিয়েছে তারে, এই দুজনারে নতূন জীবন, আকন্ঠ মধুপান করে এক অধ্যায়ের অবসান ॥
অনেক কিছুই সেদিন হয়নি ভাল হয়নি সঠিক,  
ছিল কত তপ্ত সাধ বাসনার অস্থির চঞ্চল অগুছালো হিড়িক,
এলোমেলো চিন্তা পথ হারানো অচেনা দিক ভাংগা গড়ার রঙে চিকচিক,
টাকার গরম, ভেংগে লজ¦া সরম উদ্ধত আপন চাওয়ার কি হারিয়ে কি পাওয়ার সেই সে মাতাল প্রেমের অবদান ॥
ছিল র্শত আমার,
পূরাতন ঘর ভাংগা যাবেনা তার,
দিয়েছিলাম আমি তারে অনেকটা ছাড়,
দিবে টাকা নিবে খোঁজখবর গ্রামের ঐ সবার,
এজন্য পাবে তিনদিনের ছুটি প্রতিমাসে শুধু একবার,
আছে লেখাপড়া রুজিরুটি সে ইতো তাদের খুটি যার তাদের ভরনপোষনের দায়ভার,
শহরে তাদেরে আনা যাবেনা, যেন না হয় কভূ দেখা কিবা চেনাজানা দুই সতীন কিবা দুই পরিবার,
আমি দিতে চেয়েছিনু সবারে,
যেন কেউ না কষ্ট পায় কিবা না হারে,
না হয় কারো হিংসা বিবাদ, জীবনের স্বাদ সকলে পেতে পারে,
আমার বাবার উঁচূ জাত আর, মম শিক্ষা ও মহানূভবতার ক্ষুদ্র অবদান কিবা উপহার ও তার প্রমান ॥  
সে ভাল লাগার,
হেতু কি ছিল কি লাভ ক্ষতি কিবা উপকার,
ছাড়া কিছু ভূল আর, নিছক চোখ ও মনের বেগ আবেগ ও নেশা, কিছুটা র্সবনাশা,
তরুন ও যূব সমাজের তারা কজন নেই তেমন মহৎ মহান ভাল কাজের মন, ভিন্ন ক্ষিপ্র সুখ সম্পদ পাবার আশা,
গুনীজনের দেয়া নাম লভে এই শব্দ ভালবাসা টি এ ভবে হয়েছে চীর ধন্য মহান ॥
সে এক মানষিক রোগ,
তার সনে যোগ হয়েছে কিছু ভোগ সম্ভোগ,
নাই যার কল্যান মংগল শান্তির কোন গ্যারান্টি আর যুক্তি প্রমান কিবা তার খতিয়ান ॥