( এ কবিতাটি অনটন ক্লিষ্ট প্রাম্য সাধারন পরিবার ও সে সমাজ তথা আমাদের জীবনের একটি কলম চিত্ররুপ । সময় পেলে বা ইচ্ছে হলে তা একবার পড়ে দেখতে পারেন, আপনার কাছে তা ভালো লাগতেও পারে । আপনার ভাল লাগার জন্যইতো আমার এ সৃজন প্রয়াস । ধন্যবাদ ------ )


গায়ে লয়ে দারুন কালাজ্বর ॥
হায় কাল হয়ে মোর জীবনে আসা এক র্সবনাশা র্বষায়,
কি বিলব ভাই, আচমকা কে যেন ঢেলে দিলো ছাই, আমার সকল স্বপ্ন আশায়,
বিধিল বিধির এক বিষে ভরা তীর, মম এই বুকেরঅ ভিতর ॥
বন্ধু আমার গিয়াছিল, আমার লাগিয়া দানীতে,
লাল চূড়ি, লাল ফিতা আর জড়ির পাড়ের লাল শাড়ী কিনে আনিতে,
আইলো ফিরা সে বাড়ীতে, সেদিন ভাত ছিলনা মোর হাড়িতে, মাত্র অল্প কয়দিন পর ॥
জলদি করিয়া,
সে খবর শুনিয়া,
থলিতে কাপড় ভরিয়া,
ছোট ভাইয়েরে সংগে লইয়া আসিলাম বাড়ী চলিয়া,
সে সংবাদ পাইলাম যখন, উতাল হইল মন, বুকের ভিতর শুরু হইল অশনির ধড়ফড় ॥
হায় হায় কি হইলরে,
তিন দিন তিন রাইতের জ্বরে,
নিঠুর বন্ধু কেনরে আমার গেলো হঠাৎ মরে,
জানিনা কি দারু দিলোরে, গাছ গাছালির পাতা পিষে ছিড়ে,
চলছে সুনামে দশ গেরামের ভিতর, সে ছাড়া যেন না্পই কেহ আর, পূবের পাড়ার কাশীনাথ ডাকতর ॥
কি দোষে এমন হইল,
প্রান বন্ধু মোরে জনমের পর করিল,
আত্বার আত্বীয় মোর কেন ভাংগিল জোড়, বাঁধন ছিড়িল,
দুচোখে দিয়ে তমশার ঘোর, নিরুদ্দেশে পারি দিল আমার কপাল পুড়িলরে, হায় না ঘূরিতে বছর ॥
বলেছিল এবার সুদিনে,
নতূন টিন কাঠ ও পালা কিনে,
বন্ধু আমার ঐ রাঙা মোখের মধুর জবানে,
বাইন্ধা দিবো সে আমারে চৌকাঠের, সুন্দর করে বড় একটা টিনের ঘর ॥
অ সইলো,
নসিবের কথা কারে কইলো,  
কি হবার কথা ছিল আর, এখন কি হইল,
কেন ভূবন আমার আঁধারে ভইল, হলেও অভাবের ঘর, যা ছিল ঝলমলে সুন্দর ॥
তোমরা নিও কিছু ভাই,
নাহলে ঐ নিদানে কারো উপায় নাই,
যাদের এ সমাজে কেউ নাই আর কিছু নাই তাদের কিছুটা খবর ॥