বন্ধুরে, কোথায় আছিস কেমন আছিস এখন তুই ॥
আছে একখানা বালিশ,
তাতে কি, তোর পাশে একটুখানি জায়গা রাখিস,
কে যেন এসে বলে, যখন আমি তুমুল ঝড়ে শূন্য ঐ বিছানাতে শুই ॥
থাকি একেলা ঘরে,
আহা মনে পড়ে যখন তরে,
মনটা জানি মোর কেমন কেমন করে,
জোছনা কিবা আঁধার রাতে চুপচাপ থাকি পড়ে,
বুকটা যেন ফাট ফাটা, এই দেহটা এপাশ ওপাশ কারে জানি খুজে মরে,
ছিলি তুইযে আমার কত বাসনার, বিভোর করা সুধাভরা গভীর রাতের জুঁই ॥                
পাষানে বাসনা ঢেকে,
নিজেরে বিজনে বেধে রেখে,
রাতজাগা এক বিরহী মরু পাখী,
চাতক পাখীর মত অসীম আকাশ পানে চেয়ে থাকি,
ধূ ধূ বালুচরে বারবার করে, ঘর বানাবার ক্ষিন আশার, মরে যায় আবার একটা চারা রুই ॥
গন্ধরাজহীন রজনী,
বিরান হয়েছে যেন বিহনে সজনী,
বেলী চামেলী হাস্নাহেনা,
মোর কাননে কলি কিবা ফুল যেন কিছু ফুটেনা,
কেন মোরে ছাড়েনা রাতভর নিদহীন ছটফট এ তাড়না,  
পাশের কামড়া থেকে লাগে ভয়,
যদিরে মায় টের পেয়ে যায় কিছু কয়,
তাই সে এক অভিনয়, মোর কান্না লুকাতে হয়, বালিশে মাথা থুই ॥
এ দেহ জুড়ে যখন জাগে উঞ্চ মাতাল বাসনার ধূম,
মম পঞ্চ হৃদয় পেতে অধীর আকূল হয় নেশাভরা চূড় এক নোনতা মধূর চূম,
শিশিরের কান্না ভেজা একরাশ ঝড়া বকুল,
আমার কাছে লাগে, এ পথ চাওয়া যেন অসীম অকূল,
এ ভালবাসা আর সামান্য তার বিনিময় পাবার আশা সে কি তবে আমার ভূল,
বিষাদ ভরা মোর আহত আশা গুলি,
শূন্যে পালাতে চায় মিথ্যে মায়ার বাঁধন খুলি,
কে যেন বলে, ঘরের পিছের চালতা গাছের শাখায় ঝুলি,
বদলের মালা, না পাওয়ার জ্বালা, জুড়াতে মুই ॥
যখন আমার বিজন বিষন্ন ক্ষন,
হয়যে স্বরন, তোমার সব মধুর বচন,
মোখটা তোমার জুড়ে আছে মোর অন্তরের নয়ন,
হৃদয়ের ঢাকনা খুলি, ঐ সে স্মৃতিগুলি কষ্ট দেয় করে জ্বালাতন,
আমিই বলি আমিই শুনি বারবার, কেন আমি অকারন ঐ বেদনার করি রোমন্থন,
হতো যদি এমন একটা মহাপ্লাবন, আর আমার যত কষ্ট গুলি সব নিমেষে নিয়ে যেতো ধুই ॥
তারচে বড় র্সবনাশা আরতো কিছু নাই,
এখন বুঝেও বলো আর কি হলো, কি করি কোথায় যাই,
বেঁচে যেতাম যদি বাহুর টানে তোমার বুকের মধ্যখানে পেতাম একটুখানি ঠাই,
মম সারাটা ভূবন,
কোন সে দোষে হলো এমন,
যেন এক শ্বশান, প্রেতাত্বাদের ত্রস্ত বিচড়ন,
হয়ে অপরাধি আসামী, যেথা আমি মানূষ শুধু একজন,
এ কোন সে মোহে সুখের রণে,
দিবানিশী আমি একা বসে এ দূর বিজনে,
তবে কি এক জিন্দা লাশ, ভিন জগতে বসবাস, হয়েছি নিরুদ্দেশ, দুইজনের দেশ দুই অচেনা বিভূঁই ॥