মজে গেলো চোখ, ভরে গেলো মন,
কারো জানা নেই, কোন সে আশায় আর কি তার কারন ॥
অন্যলোকের বিবেচনায়,
পাস করা যার হয় অতী বড় দায়,
মাশুকের কলমে সে, একশতে একশ পায়,  
যদিও জায়গা নাই,
নায়ে তার হয়, হবেইতো ঠাই,  
তার বন্ধুর মত এ জগতে আর কেহ নাই,
ভাল লাগা, মরমে ঢেউ জাগা, এত ভালমানূষ এমন সুবোধ সুজন ॥
তারেই বলে মরমের দরদ,
অন্ধ প্রেমে মানূষ বদলে গিয়ে হয়যে বলদ,
পেলে কিবা ধরলে মাঝির মন,
লোকে বলে ওরে, গাঙ পার হইতে কতক্ষন,
ভাগ্যে হলে যদিরে যায় মিলে, কারো কোন পক্ষপাত, এমন দরদের হাত, কিবা কানার সমর্থন ॥
মনতো নহে মানূষের চালক,
যাই হোক লাভক্ষতি কিবা জিত ঠক,
সবইতো তার সোনা নয়, যাহাকিছু করে চকচক,
মন যা বলে তাইকি সঠিক, তবে কেন তা মেনে লয় তাই করে,
হয়ে মনের দাস, আসলে তারা এক জিন্দা লাশ, ধোকা খায় ও বোঁকার স্বর্গে বিচড়ে,
মনের নাম মহাশয়,
মনেরে করেনা শাসন, মনের গোলাম হয়,
মনের কথায় চলে তারা আবেগ প্রবন, নিজে ভূল করে, কপলের দোষ দেয় পরে, যারা হতভাগা অভাজন ॥  
বিধাতার এ বিশাল দুনিয়ায়,
কেউ পায়না কেউ পায় কেউবা পেয়েও হারায়,
কষ্ট বিষাদেও সবাইতো বেঁচে আছে, বেঁচে থাকে, দিন কেটে যায়,
মানূষ চেনা সহজ নয়, এক ভয়ানক কঠিন বিষয়, বড়ই কঠিন কাজ ও দায় এ জমানায়,
ঠকে যায়, গল্পে আড্ডায় বিশ্বাস করে মোখের কথায়, মজে যায়, কত ঘাটতি থেকে যায় ঐ জানায়,
ইচ্ছে করে, এই কথাগুলি সবারে বলে দেই,
যারা ধোকা খায়, তারা বলে এ জগতে নাকি, মন বলে কিছু নেই,
যদি কেউ ঠকে যায় কিবা কষ্ট পায়, এমনইতো হয়, সুখ নেই তাদের যেন কোন কিছুতেই,
কোথাও ভাল মানূষ নেই, যা বলে বলুক লোকে, যেন তাদের চোখে, সোনালী এ পৃথিবীটা বিরান ও বিজন ॥
চেনা মানূষও হতে পারে জঘন্য বদ,
করেও অংগীকার দেখি কতজনে তা করে রদ,
আমার সুখ আমি গড়ব কিবা খুঁজে নেব সে ও এক ভয়ংকর গলদ,
মনের মত একজন সংগী পাওয়া,
সুখের সাগরে জোয়ারের টানে উজানে তরী বেয়ে যাওয়া,
সবইতো তার ঐ বিধাতার অসীম অপার নেয়ামত ও দান, বিনামূল্যে করছি ভোগ এই প্রান আর তার উপহার এ জীবন ॥
জুড়ে আছে মোর মন যেজন,
সেতো ভূল ধারনা ও নিরেট মিথ্যে বচন,
এ জগতে আর কোন মানূষ নেই এত ভাল তার মতন,
তুলনাহীন, যার কাছে সব আছে, অঢেল রুপ গুন সুখ বিদ্যা ও ধন,
সে কথা সঠিক নহে একচূল, না থাকিলে একজন, অঁচল বিরান হবে গোটা এ ভূবন,
ভালোতেও লুকানো কত দোষ, আবার মন্দতেও আছে শত গুন, জন্মগতে মানূষতো হয়ই এমন,  
গুনীজনে কয়, কথা মিথ্যে নয়, এক দুয়ার বন্ধ হলে নাকি হয়, শত দুয়ার তার লাগি অবারিত উম্মোচন ॥
চোখের মোহ মনে আর মনেরটা চোখে,
সে যাদুর ভেদ কেমনে জানিবে বলো অন্য লোকে,
বাহারী বদন,
ভূলিয়ে দিয়েছে নয়ন ও মন,
কত মধুর শ্রবণ খোশ বচন আলাপন,
চকচক করিলেই ভাই তা কভূ হয়না সোনা,
বাহিরে হোক সে যতই রাঙা ভিতরে হতে ওতো পারে কালিমা বোনা,
ভিতরে বাহিরে মানূষ একরুপ না ও হতে পারে, তাইতো বিশ্বাস বা ধারনা হারে, তা কি আছে জানা,
কেমনে করিবে তাহা, অদেখায় অজানায় যাহা, আছে কি সে শক্তি তোমার তা করা আবিস্কার কিবা উদঘাটন ॥
এত সোজা নয় মানূষ চেনা,
কতজনে ঠকে যায় প্রতারিত হয়, হারায় ঠিকানা,
সে ক্ষতি আর হয়না পূরণ, শুধরাবারও আর সময় থাকেনা,
মোহ আর আবেগে হয় বোঁকা, খায় ধোকা, তবুও তাওর বুঝানো যায়না,
বেশী আশা করে, এ ডাল থেকে ওডালে লাফিয়ে পড়ে, কত চেষ্টা করে তবু সুখ খুঁজে পায়না,
তাই সত্য, অবিশ্বাসীরাই হাওর, সঠিক না ওতো হতে পারে, তোমার বিশ্বাস কিবা আশা ও ধারনা,
এইতো জীবন, হর্ষবেদন, হাস্যরোদন, সবার সব সাধ বাসনা কভূ হয়না পূরণ ॥    
কার কি চাওয়া কেমন আশা,
কারে বলে সুখ, কার নাম ভালবাসা,
কার চোখে কোনটা রাঙা,
কি পেলে কার মন হয় খোশ ও চাঙা,
কে মানূষ সুজন, কোনটা আসল মানূষের সঙা,
কোনটা আসল মন আর কোনটা সুখের জীবন, কে করিবে তা যাচাই নিরুপন, কে দিবে ছাড় প্রত্যয়ন ॥  
জীবন ও পৃথিবীটারে যদি যায় চেনা,
অমূল্য ধন মানিক রতন বিনামূল্যে যায় কেনা,
যতদূর যায় তব তৃতীয় নয়ন, যাও সমানে নাই তার সীমানা,
মানূষ হতে বিদ্যা কিবা ধন লাগেনা,
পাঠশালা ও পাঠাগার সেতো তোমার বাড়ীরই আংগীনা,
সুজন মহাজন নাইবা হলে,
সে ওতো সুজন সদা সুপথে চলে ও সুবচন যেজন বলে,
ওরে মন, ধন্য সে জীবন, সে ওতো এক মহাসৃজন মহাসাধন, নিজেরে করা শাসন নিয়ন্ত্রন ॥