বিশ্বাস কারো হয়কি নাহয়,
তাতে কি আসে যায়, কে মোরে হটায় কিবা কিসের ভয়,
আমি তার হাত ধরে,
আসিব নাহয়, তা যেন হয়, বারবার ঘূরে ফিরে,  
এই বাংলায়, যে মাটির গন্ধ আমার সারা গায়, শত কিবা হাজার বছর পরে পরে,
আমারে রুধিবে এমন সাধ্য কার আছে, যূগে যুগে আমি বলবই সবার কাছে, সে বিজয়ের গৌরব গাথা ও তার পরিচয় ॥  
এ নহে বিজয় ওরে,
তা যদি কেহ মিথ্যে কহে অবঞ্জা করে,
তাহলে বাঙালী জাতী মনকষ্টে যাবে মরে,
মেশিনগান কিবা ট্যাংক কামানের তান্ডব ঝড়ে,
নয়রে, তা সে কল্প কিবা, কোন বানানো গল্প নয়,
সে ছিল এক বিশ্ব কাঁপানো, শোকের মাঝেও গর্বে সুখে বুক ভরানো, মহা অবাক বিস্ময় ॥
বিশ্বাস এ যূগের কারো না ও যদি হয়,
সত্য বলছি কথাটা ওরে মোটেও মিথ্যে নয়,
ছিল সে এক সিংহ পুরুষ,
করত না আপোষ খেতনা ঘূষ,
সদা সচেতন ষোলআনা ছিল যার হুষ,
তবে আসলে, ছিল সে সবাই বলে, আসল মানূষ খাটি মুসলমান শ্রেষ্ঠ বাঙালী মোটেও ব্যাঘ্র সিংহ নয় ॥
যেন অনায়াসে নিমেষে,
কোন সে অজানা যাদুর পরশে,
যেজন বাংলায় কথা কয়,
বিশ্ব জেনেছে তার ও তার মায়ের ভাষার পরিচয়,
যে ভাষায় দখিনা বায়, মাঝিরা পাল উড়ায়,
ঢেউয়ের জল সদা কলকল, শত পাখীরা হরষে গান গায়,
এমন এক বীর বাঙালী, নিজের বুকের রক্ত ঢালি, বাংলা ভাষায় বিশ্ব করিল জয় ॥
শান্ত মৌন খামোশ গম্ভীর,
যেন ঢেউয়ের দাপটে ভগ্ন চৌচির পদ্মার তীর,
স্বপ্ন আশায় চিন্তা চেতনায় কাজে,
দিয়ে উষ্ঠাঘাত দ্বিধা ভয় ভাবনা সংসয় সুখশান্তি ও লাজে,
আর্দশে অটল এমন দূরন্ত দামাল, কৈশোরে যৌবনে যেন বেসামাল, আজীবন অশান্ত অকূতোভয় ॥
করেছে জয়,
সব মানূষের সকল হৃদয়,
হলো সে খবর জানান দেয়া সারাটা বিশ্বময়,
ছিলনা কভূ তার কোনকিছু হারাবার ভয়, র্বাধক্যেও হার মানার নয়,
তার হাতে গড়া, একজাতি একদল করা, সাত কোটি বাঙালীর ছিল এক আশা এক স্বপ্ন একই পরিচয় ॥
একই বলা,
এক পথে চলা,
নীরিহ সহজ সরল ভাল মানূষের এক দলে,
দাড়িয়ে ছাতা সম লাল সবুজের এক পতাকার তলে,
দেখিল জগত, সাত কোটি লোকের একই মতামত, কেমনে একজোট হয়ে একই কন্ঠে সবাই কথা কয় ॥
শুধু নয় সাগর নদীর জলে ও বাতাসে,
যেন পাল তোলা নৌকা গুলো মেঘের সনেও ভাসে,
ফুলে ও ফলে নানা ফসলে শোভা ও সৌরভে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি হাসে,
সেতো ভূলার মত নয়, জানাতে তারে, এক পায়ে ঠায় দাড়িয়ে এক কাতারে, পরম সে ভক্তি শ্রদ্ধা আস্থা ও বিনয় ॥
র্বগীর দাপটে ছেড়ে বাপের ভিটা বাড়ী ঘর.
০২
হয়েছিল যারা, দিশেহারা মুসাফির ভাসমান ন্বিঃস্ব যাযাবর,
পেয়েছিল জয় র্সবহারা অসহায় নিরুপায়, যারা হেন অভাজন পথে পথে ঘূরে আজীবন, সারা বছর সারা দেশময় ॥
দেখিলাম, মহাজয়েরও আসে পরাজয়,
আচমকা এলো যেন এক অবক্ষয় মহা বির্পয্যয়,
যখন মন্দ আশার হলো মরন, অজানা দস্যুর হানা, জয় অক্ষয় গোপনে সে ধারনা মিথ্যে প্রমান হয় ॥
ইতিহাসে ও স্মৃতিতে রবে চীরঞ্জীব,
নাম যার শেখ মুজিবুর রহমান আদেরর নাম শেখ মুজিব,
অন্তর তার মহা দান বিধাতার, ছিল যেন এক অসীম অপার মহাসিন্ধু,
অতিশয় মহান, জাতীর পিতার মহাসম্মান, সবার ভক্তি ও শ্রদ্ধার উপাধী উপহার বংগবন্ধু,
মরেও অমর হয়েছে যে জন রয়েছে চীরভাস্বর,
জয় করিয়া লোকের অন্তর, এমন সে হয়েছে আপন, হবেনা আর কভূ কারো পর, সারা দেশটা যেন এক পরিবার আর একটাই ঘর ॥
যারা তারে দেখেছে জেনেছে চিনেছে,
একবার গিয়ে তার অতী কাছে, স্মৃতিতে রবে আজও রয়েছে,
বাঙালী জাতীর র্কনধার,
আহা হবে কি সেই জন কভূ আর.                                                                                      
একবারই আসেএমন মহান নেতা,
একািধক নয়, শুধু একজনইতো হয় পিতা,
তা কি হয় কখনো, তবে আর একজন হবে বলো কেমনে কবে এই বাংলার ॥    
স্মৃতি মনে পড়ে কত সে কথা,
বড় কষ্ট পাই হৃদয়ে পোড়ানো বুকভরা সে ব্যাথা,
সাধারন মানূষের প্রতি,
ছিল তার পরম মমতা ভালবাসা প্রীতি,
তার সে হৃদয়,
যা ছিল এমনই বিশাল ও অতিশয়,
ভাষা নেই, সে যে বুঝাবার মত কথাও নয়,
আকাশ ও সাগরের সনে যার দরশন মন তুলনা করিতে আমার বড় ইচ্ছা হয়,
এই সারা বাংলায় যার, দ্বীতিয় একটি আর, এ শূন্যতা অসীম অপার আর উপমা মিলা যার চীরকালই হবে ভার ॥
জগৎ জোড়া সুখ্যাতি,
মহান নেতা বীর সেনানী মহা সেনাপতি,
নিয়তি যারে করেছিল দান, সেই মহাসম্মান দিয়েছিল তারে একটা দেশ আর একজাতি উপহার ॥
সরলতা যেন শিশুর মতন,
কোমল ভিজা মাটির মত মন,
তীক্ষ্ন সচেতন সুগভীর সুচতুর দরশন.
ছিল আউলিয়া সম র্সব সেরা উওম লৌাহমানব সুর্দশন,
এমন মানূষ সারা বাংলায় শত বছরে বুঝি জন্মেছিল শুধু একজন,
চাল চলনে বলনে হলেও খুব সাধাসিধে তবে সেজন গোপনে চিন্তায় ও মননে ছিল অতীশয় অসাধারন,
মমতা ছিল যার, যেমন বিশাল বুকের পাটা মর্যাদায় পাহাড় তেমনই অসীম অপার ॥
এত ভাল একজন মানূষ এমন,
মম এ জীবনে কভূ আমি দেখিনি কখন,
উদার কোমল মহৎ ও মহান স্বচ্ছ পরিমল,
ছিল বুকভরা বল, বিধাতায় বিশ্বাস অটল অবিচল,
কভূ আসেনি আর আসিবে না,
কেউ ছিলনা, নেই যার কোন তুলনা,
কেবা আর সমতূল তার মম বচন নহে ভূল শুধু সে ছাড়া সারা বাঙলায় আর ॥
০৩
প্রানের বাংলা ভাষা আর,
প্রতি হতভাগা অসহায় দেশ জনতার,
মনটা তার দরদে ভরে রহিত পড়ে আজীবন দুঃখী মানূষের তরে হয়ে ভার,
এই বাংলা দেশটা ছিল তার, মায়ের মতই আপন আর অসীম অতিশয় মমতার ॥
সে ছিল অতী  প্রিয় অতিশয় আপন,
লোকের নয়নমনি যেন বুকের পরম ভালবাসার ধন,
হেন ভক্ত প্রিয় ছিল যার দেশের প্রায় নব্বই ভাগ জনগন,
বাঙালী ও দেশ ভাষার, অনেক স্বপ্ন আশার এই প্রিয় বাংলাদেশ টা ছিল তার শান্তি সুখের ভান্ডার ॥
রাজার সনে কভূ করেনি গোপনে, হয়নি ছিলনা কোন আঁতাত কিবা সন্ধি.
বলেছে দাও মোর জনতার, শতভাগ নায্য পাওনা অধিকার, নাহলে করো মোরে এখনই বন্দি,
এমনই বিজয়ী বীর,
কোনদিন জীবনে করেনি কারো কাছে নতশির,
কভূ মানেনিতো পরাজয় হার, যদিও এসেছে জেল যূলূম আঘাত বারবার ॥
বড়ই ধীর ও স্থীর,
অসম অসীম অকূতোভয় এক সাহসী বীর,
আবেগ জড়ানো মমতা ভরানো বজ্র কন্ঠ ছিল তার ভীষন গুরু গম্ভীর,
পেতাম যদি ফিরে আবার, আমি শিষ্য হতাম তার আর সে হতো আমার পীর,
যেন হায় কেউ কারো নয়, আজিকে কেন এমন মনেহয়, মানূষে মানূষে প্রেমেতে ধরেছে চীর,
নেই মমতা কোন সহানূভূতী একতা, আছে দন্দ মিথ্যা,                                                                      
সবাই সবারে অযথা কেন নিন্দা করে, অকপটে কহে মন্দ কথা,
এই শোকেতে কেউ র্নিবাক, কেউ চোখ বুজে আছে, কেউবা আবার কানে তুলো দিয়ে ইচ্ছে করেই হয়েছে বধীর,
সংঞ্জা নেই যার, আর নেই কোন উপমা নজীর, মানূষের প্রতি তার ঐ আকূল অপার অসীম ভালবাসার ॥      
দেয়নি দাসখত মানেনি কভূ কোন পরাজয়,
বলেছে কেমনে মানিব র্শত, এ দেশটাতো আর আমার একার নয়,  
ছিলনা কোন লোভ মোহ অপরাধ যার, তবু জীবনের একাংশ তিনের আবাস ছিল তার, দুষ্ট রাজার ঐ অন্ধকার কারাগার ॥  
ছিল সে আসল মানূষ খাটি মুসলমান,
বউ ছেলেমেয়ে নয়, এই দেশ আর মানূষই যেন মনেহয় ছিল তার প্রান,
সহজ সরল সদা উচ্ছল চীর সজীব হাস্য প্রান ব্যাস্ত চঞ্চল,
বাবামা আর মানূষের দোয়া ভালবাসাই ছিল তার শক্তির উৎস ও সম্বল,
শিরে ও বুকের পাজরে জমানো ছিল যার শত ব্যাঘ্র সম শক্তি আর সহস্র গুনের সমাহার ॥
প্রধান দলের ছিল সে দলপতি,
কি এমন অপরাধ ছিল তার. জানিনা সে কার করেছিল কোন ক্ষতি,
চায়নি সোনার সিংহাসন, হতে রাজন, কোন রাজাধিরাজ কিবা কোটিপতি,
কারো কাঁচা লাইলে পা,
কিবা কভূ কারো অন্তরে ঘা,
শুনিনি কোনদিন দেখিনিতো কই.
কারো পাঁকা ধানে সে কভূ দিয়েছে মই,
বড় আক্ষেপ ছিল তার মনে বুঝেছিল সই,
এই বাংলার সিংহ ভাগ পড়েছে ভিন্য দেশে,
কেন বৃটিস র্বগীরা দিয়েছিল এসে ভাগ করে এই দেশে,
মরে গিয়ে তারা ভাল হয়েছে কত,
০৪
নাহলে হয়ত আইয়ুর ভূট্টোর মত অনেক দন্দ ঝগড়া হত,
এই বাংলায় দেখা পেলে কিবা কথা হলে কভূ সনে গান্ধী ও জিন্নার,
সেইতো ছিল বাংলার জনতার সবচেয়ে বড় পরাজয় আর কলংকিত এক পরাজয় হার, ইতিহাস হয়েছে স্বাক্ষী যার ॥
কেউ বলে জয়, কেউবা বিজয়,
তা যা হবে হোক, যা বলে বলুক লোক, যতই হোক মন ও মননের অবক্ষয়,
কভূ এই দেশে না হয় যেন আর, সত্য ও সততার ভরাডুিব পরাজয়,
তার চীর অক্ষয় অবদান,
যদি না প্রদান করা হয় যথা সম্মান,
ভক্তিভরে ঢেলে ষোলআনা শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয়,
র্নিমম তার অকাল তিরোধান অপার অপমান ও দুক্ষময়,
সে কি তবে এক মহাজঘন্য  বিশ্বাস ঘাতকতা অপরাধ আর হীনমন্যতা নয়,
আমার কাছে মনে হয় যেন তা মন্দের কাছে ভালোর পরাজয়,
রয়ে গেল এক পাহাড় দায় কাঁধে সবার,
সব অপরাধীর যদি না হয় সঠিক সাজা নায্য বিচার,
এক মহাভূল আর অসহায় দীনতা ও অক্ষমতার, আকাশে বাতাসে আজও ধ্বনিত হয় যার অস্ফুট হাহাকার ॥
বয়স আমার তখন কত হবে আর পাঁচ কিবা সাত কম কুড়ি,  
অতী কাছ হতে অনেক দেখেছি তারে সেই কবে যখন আমি ইস্কুলে পড়ি,
ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে শেখ মুজিবের সভায় গিয়ে মঞ্চের পাশে থাকিতাম বসে কি দাড়িয়ে, মন্ত্রের মত যেতাম হারিয়ে, বাঁশের খুটিটা ধরি,
অনেক চিনেছি অনেক জেনেছি কিছু তার আজও যাইনি ভূলে,
তারে আমার কাছ হতে দেখা চেনা জানা ও শেখা কোন ভূল নেই যার মূলে,
অপরিচিত এক নগন্য কবির,
যে ছিল নাম না জানা, মহান মুক্তিযোদ্ধা সে সেনাপতি মহাবীর,
নগন্য এই মোর লেখনীর, যারা ঘরে ঘরে এসেছে পরে, অনেক জানার অনেক শেখার পরম পাওয়ার খুলেছে দুয়ার ॥
সত্যকে সত্য আর,
এত কুণ্ঠা যার ভালকে ভাল বলার,
যেজন প্রসংশা পাবার সুযোগ্য দাবীদার,
রয়েছে যার তা পাবার ষোলআনা অধিকার,
বলো তবে হেন অবমূল্যায়ন কেন হবে দেখি তার,
গুনের ও যোগ্যতার প্রসংশা না করার দীনতা বা হীনমন্যতা করে আছে যে সকল মাথা ভার,
সালাম তোমাকে সালাম, যেন পরম শান্তি সুখ হয় তব আত্বার ॥  
সে কি অবক্ষয়, নাকি তা নয়, এসেছে সময় তা ভেবে দেখার,
প্রয়োজন হলে করতে হবে আয়োজন তার সুচিকিৎসার,
ভালরা নয় তাদের দলে, পাগলের মত যা খুশী বলে, সময় হলে ভ্রান্তদের শুধরাবার,
যদি হয় প্রয়োজন পাঠ দিতে হবে দীক্ষা লবে করিতে তাদের মন মহৎ ও উদার,
এখন না হলে বলো তবে আর হবে কবে মরার পরে কেউকি সুযোগ পাবে আর তার,
তখনতো শুধু যে যার আপন কর্ম্মফলের পাওনা পাবে শাস্তি কিবা পূরস্কার ॥
হে বন্ধু প্রিয় শেখ মুজিব,
তুমি মরে গেলেও আত্বা তোমার জানি আজও সজীব,
মিনতি আমার,
হলেও ছদ্দবেশে করুনায় বিধাতার,
হে মহাপিতা, বাঙালী জাতি ও বাঙলা ভাষার,
দেখে যাও এসে শুধু একবার,
র্দূনীতি অবক্ষয় আর পিছুটান,
দেখিয়া অনূভবে চেতনায় গুমরে কাঁদে প্রান,
তোমার নিপূন হাতে, আজীবন সাধনায় দিনে ও রাতে গড়া আমার প্রিয় দেশটার ॥


মহান জাতীর মহান জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৮তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব জুড়ে আমার বাঙালী পরিবার সকলের সৌজন্যে উৎসর্গীকৃত পূনঃপ্রচার ।

                                                             ( সংক্ষেপিত )