এইতো জীবন ওরে এইতো জীবন ॥
শুধু রঙ বদলায়,
কেউ পায়, কেউ পায়না কেউবা আবার পেয়েও হারায়,
সোনালী ছোয়ায়, কিবা ধূসর গোধূলী কালিমায়, যখন তখন ॥
চাকরী খুঁজে বেড়ায়,
তারপর একদিন চাকরী পায়,
বউ ছেলেমেয়ে হয়, সংসার সাজায়,
দিনেদিনে দিন চলে যায়, কত বোঝা চাপে মাথায়,
দমেদমে আয়ু যায় কমে, কতকিছু পায় আর কতনা হারায়,
চাকরীর মেয়াদ ফুরায়, এখনও বাকী কত দায়, নিয়তি বুঝেনা সেদিকে নাহি চায়, আসে পেনশন ॥
হাতে টাকা নাই,
অনেকগুলি বোন ও ভাই,
নাই কারো কোন আয় উর্পাজন তাই,
চৈতীর খড়া, যেন মংগায় মরা, এটা নাই ওটা নাই, ঘরভরা শুধু প্রয়োজন আর অনটন ॥
আমি চাইলাম যারে,
পাইলাম না কেনযে তারে,
লেখাপড়াটা আর গেলোনা পারে,
হয়ত আমি সেইজন, যে সবখানেতে হারে,
বুঝি সব হারালাম, মোর নেই কোন দাম, অভাবের ভারে,
মরে গেল ভালবাসা,
আহত বিবাহের বন্ধন আশা,
কোনদিন আর ঐ দুজনার, এলো শত বাধা ও বাধ, আহা সেই সাধ আর হলোনা পূরণ ॥
হয় মন বিনিময়, চোখ যেন কথা কয়, কত ভাল লাগা,
দুজনে দুজনার বুকে একটু সুখ, আস্থা ও র্নিভরতার খুঁজে পেলো জাগা,
বাহুতে বাধিতে,
দুজনে দুজনার সংগী হতে পাশে থাকিতে,
বিনী সূতার ডোর, মায়ার নেশার ঘোর, সে বাধন জোড় জোটেনি ভাগ্যে মোর, আহারে করিতে তাহারে চীর আপন ॥
এ জীবন বলো,
কেনযে এমন হলো,
বাহিরে দৃশ্যমান সবকিছু ভাল,
আলোতেও যেন লুকানো কালো, ভিতরে যেন সব এলোমেলো এক নিরব বড় তোলপাড় আলোড়ন ॥
বাবার হলো পেনসান,
বুকভরা টানটান ভাবনা টেনসান,
তারা কেন নয় আমার মত কেউ এত পেরেসান,
রয়েছে আমার বড় দুইবোন-ভগ্নীপতি আর এক বড় ভাইজান,  
মাত্র দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম তখন, আমি যেন পরম হতভাগা অসহায় একজন ॥
স্বপ্ন আশা আর সাধ গুলি,
হারিয়ে গেলো দূড় দিগন্তে যেন বাঁধন খুলি,
শুরু হলো হায়, জীবনের অন্য এক অধ্যায়, অদেখা দহন পীড়ন যাতনা আর দুঃসহ জ্বালাতন ॥
কি পেলাম আমি,
দামী হয়েও রলেম অতী কমদামী,
এখন যেন দারুন সময়,
প্রতিকূল বয়, বন্ধু আপন কেউ কারো নয়,
বিশাল কন্টক যেন,
সারাক্ষন মোরে যন্ত্রনা দেয় হেন,
নিয়তির র্নিমম যেন রুধিতে চাহে দম, এমনই এক দুঃসহ ফোড়ন ॥
করিতে জীবন রঙীন সুখে মধুময়,
কেজানে কি ফুলের মালা গেঁথেছিল, করেছিল বিনিময়,
দুটি মন গোপনে করিয়া যতন মনের গহীনে দেখেছিল তারা কি স্বপন ॥
আজও দেখা হলে কোথাও একা ঐ দুজনায়,
নিরব অভিমানে পাশ কেটে আনমনে যেন চলে যায়,
ভেংগে পড়ে কান্নায়, পারেনা সহিতে কি যেন কহিতে চায়,
চোখের আড়াল হলে, অদেখা আঁখি জল আর সকরুন নিস্ফল বুকফাটা ক্রন্দন ॥
হায়রে অনটন,
বেশী বিদ্যা ও ধন,
গেলনা আর করা আহরণ,
তাই এ যেন মোর মনের জিয়নে মরন,
তার সাদী ঠিক হলো যখন, রাখিতে জাত কূল মান মজনুর পলায়ন, সে এক স্বেচ্ছা র্নিবাসন ॥
কারো নাই খাতা কলম বই,
কারো নাই কাপড় চোপড়, মনেমনে কত বিব্রত হই,
কত কষ্টে কেটেছে মায়ের হাতের পঁচন ধরা ঢেকির আঘাত লই,
মায়ের হাতের চিকিৎসার টাকা নাই দেখতেই পাই, তবে তা কেমন করে কই,
বুড়ো বাবারে, সে যেন ক্লান্ত ভীষন অনটন ভারে, বাকী পড়েছে আমার কলেজের চার মাসের বেতন ॥
দিলোনা বাধিতে ঘর,
অতী কাছে দুইজন অন্তরের ভিতর,
তবু এ সংসারে, যেন দুজন দুইপারে, আহারে দুজনেই দুজনার পর,
কপালই এমন, এক ঘরেতে এই দুজনের হলোনা বাধন, হলোনা মরমের সুখের মিলন ॥
দোষ দেবো কারে,
সাধ্য আছে কার, কে দিতে পারে,
কি করার আছে, কেউকি আর ইচ্ছে করে হারে,
কেউ পঞ্চ রসে সপ্ত বাহারে, কেউ নিরব কষ্টের হাহাকারে, বুঝি এইতো নিয়তির লিখন ॥
অস্ত বেলা,
বিশাল বাজার ভাংলো রঙের মেলা,
বিধাতার হাজার পরীক্ষার আজব এক জীবন খেলা,
পায়ে চলা পথে এক ভাংগা রথে ঘরে ফিরে চলা, বড় ক্লান্ত কাফেলা,  
তারে দেখার সাধ, না পাওয়ার সে বিষাদ, এক জীবনে হবেনা অবসান হবেনা পূরণ ॥
অধম আমার মান,
হলো যাচাই হলো তা প্রমান,
ডোবা আর গঙার জল সে কি এক সমান,
এ সমাজতো ধন ও অর্থের মাপকাঠিতে দন্ডায়মান,
কজনে দেখেছে আর কজনে জানে খুন রাঙা জীবনের হাড় ভাঙা ঝড়তুফান,
দোফোটা চোখের জল, সেতো তুচ্ছ নগন্য বিফল, ধোয়াতে রুপসী রাজকন্যার রাঙা যূগল চরণ ॥
বিষাদের এ হৃদয় নদী,
হলেও মরন বহমান রহে যদি,
আমি কি করিব তখন, আহারে ভূলেনা তারে বেহায়া মন, হয়ত হাজার বছর ধরে রাখিবে স্বরন ॥
আয় কম ব্যায় বেশী,
হেটেহেটে পথ চলে ক্ষয় করে পায়ের পেশী,
কি লাভ দুবেলা খেয়ে আলু ভাজি আর আটা রুটি,
হঠাৎ একদিন, মাথায় লয়ে ভারীবোঝা ঋন হয়ত হবে ছুটি,
এমনি করে ব্যায় কমানো যায়না,
তাতে কোন লাভ নেই, সঞ্চয় হাতে পায়না,
কৃচ্ছতায় হয়না বরকত, কৃপনতায় কারো বাড়েনা ধন,
বাড়ানো প্রয়োজন আয় উর্পাজন, নাহলে অভাব কভূ যায়না ছেড়ে হয়না অপসারন ॥  
চাই বিভিন্ন পেশা, শুধু চাকুরী নয়,
বড় সংসার এতগুলি মোখ, একহাতের উর্পাজনে বলো কি করে হয়,
কিসের ভয় লাজ, চাই বহুমুখী কাজ ও উর্পাজন, বিকল্প অবলম্বন, জমানার হালে কারোকারো কপালে জীবন এত কঠিন হয়েছে যখন ॥