পর্ব – ০১


কত সাধ, কত অভিযোগ, কত কষ্ট-বিষাদ স্মৃতি এ মনটাকে ভারী করে রেখেছে ।
অ মজাদার লম্বা ঠোট কাইক্যা মাছ,
ভাটার সময় নদীর চরে ধরা পড়ে আমার প্রিয় লাল চেউয়া মাছ,
সোহাগী বউ দরদ ভরে ও পরম যতন করে হাল্কা ভেজে আজ তাই রান্না করেছে ।
মাখা মাখা অল্প ঝোলে,
দিয়ে বেশী করে পেয়াজ ও বেশী তেল ঢেলে,
রসুন কুঁচি, ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ কষানিতে তার উপরে ছড়িয়ে ফেলে,
কতো মজা বুঝানো ভার,
কেউ তা না খেলে তার পাতে লয়ে একবার,
তবে তার শক্ত কাঁটার সনে জানিনা কোন কারণে মাংসটা আঠার মত লেগে গেছে ।
আর কি কখনো পাবি,
চাইলেই মন মজার জিনিস যখন তখন খাবি,
দেশ থেকে তা আহারে যাচ্ছে হারিয়ে খুঁজতে তাহারে তুই কোন বাজারে যাবি,
কত পুকুর, দীঘি, নদী ও খাল-বিল,
কই গেলো সেই মাছরাংগা, বক, পানকৌড়ি ও চিল,
কে করছে হরণ ওরে বাংলার মনোরম শোভা নিত্য করে এক তিল তিল,
আজ আর কেন নেই হয়েছে বিলীন, বেড়িবাঁধের ফাঁদে পড়ে তারা চিরতরে মরেছে ।
কত ঝিল ও জলমহল,
রাঘব বোয়াল ভূমি দস্যুরা করেছে দখল,
এ দেশটার সবইতো তার, ঠেকায় সাধ্য কার আছে যার বেশী বল,
কেউ গড়েছে প্রাসাদ আলো ঝলমল,
কেউ বলে রাজ পরিবার কি নাই তার, কেন বানাবে না রঙমহল,
কেউবা আবার করার নামে জনতার উপকার ও দেশের উন্নতি হাজার কোটির শিল্পপতি হয়েছে ।  
বেশ মজাইতো হয়েছে,
তবে খেতে দুখানা হাতই আমার ভরেছে,
সবটুকু যেন খাওয়া হয়, না করতে একটু অপচয় বারণ করেছে,  
খুটে খুটে তাই আমার কাঁটাগুলি সব বাছতে তার অ – নে – ক বেশী সময় লেগেছে ।  
তামাসার ছলে,
পাতে এসে আমারে সে বলে,
মজা করে মন ভরে খা, পড়বে শেষে মুস্কিলে,
ভুখারে না খাওয়ালে আর ঐ দাতা বিধাতার শোকর না করা হলে ।
কি করা আর যা, খাবি যখন খা তর সাধের মাছ,
বসে বসে ধর্য্য ধরে, ধীরে ধীরে একটা একটা করে এখন তার কাঁটা বাছ,
ছোট ছোট এই মাছ, বানিয়ে কার খাবার বলো তার ভিতরে এত মজা ওরে কে ভরে দিয়েছে ।  
যখনই যেই বাজারে যাই,
চুপিচুপি মনেমনে প্রিয় ঐ মাছগুলি খুঁজে বেড়াই,
মায়ের হাতের রান্না জগতে নাই তুলনা, আর কোনদিন পাবার সুযোগ নাই,
বড় বড় চাপিলা, কাটারি, বাচা, পোয়া ও রিডা মাছ কেনরে আজ তেমন আর কোথায়ও দেখতে নাহি পাই,
মনটা নদীর মতন,
জানিনা কেন কেবলই চাহেযে আমার মন,
আর কিছু নাহি চাই, এমন সুজন আত্মীয় যদি পাই, নিত্য জোয়ার ভাটার গাঙ্গের ধারে যার বাড়ী রয়েছে ।
ওরে তারা কভু জানতো যদি,
কত প্রাসাদ ভেঙ্গে হয়েছে থই থই ছলছল অথই অকূল নদী,
বড় বংশ, অঢেল বিত্ত-ধন, অসংখ্য পাইক-পেয়াদার ও বেশী ক্ষমতার অহংকারী দূর্গ ও গদি ।
কি কারণ ছিল তাদের ঐ ধ্বংসটার,
শত অন্যায়, অবিচার ও জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন ও অত্যাচার,
নিরবে সয়েছে যারা হয়েছে ভিটাবাড়ী হারা, তবু যায়নি হেরে ধন্য হয়েছে তারা লভে বিধাতার পুরস্কার ।


পর্ব – ০২  


যা ঘটেছে হাজার বছরে,
ইতিহাস করুণ ঐ স্মৃতিগুলি রেখেছে লিখে তার বক্ষে ধরে,
মজলুমের নিরব হাহাকারে, কতযে লৌহ কপাট মহাদূর্গ প্রাচীর আপনি ধ্বসে পড়ে,  
কত রাণী, প্রজা, গোলাম, দাস-দাসী ও বাঈজীর আত্মাগুলি সমস্বরে আজও হেথা ছটফট আহাজারি করে মরে ।
সহস্র এমন রাজ পরিবার,
প্রাসাদ, বাগানবাড়ী ও প্রমোদ ঘর ধন-জন সব ছারখার,
জানলে বলো, দেখে বিবেকের চক্ষু দিয়ে ও তুলে নিয়ে হতে তব জ্ঞানভান্ডার সে জবাব জানা আছে যার,  
শেষে তারা ধন-জন সবহারা, প্রাসাদ বাড়ী-ঘর, জায়গা-জমিন ও ঠিকানাহীন দেশান্তরী ভিখারী কেমনে কেন হয়েছে ।  
বদলে গেছে দিন,
কত শত জীবন সোনালী রঙীন,
ধূ ধূ ধুসর শুকনো মরুভুমি সম হেন বিবর্ণ যেন পোড়া বালুকা মলিন ।
বাদশা আমীর পেয়াদা নফর,
সবাই আপন সবাই সমান, কেউ নহে তার কাছে পর,  
আকাশে, বাতাসে সবখানে, কজনে তা জানে ও মানে ছোট্ট মাটির ঘরের ভিতর,  
সীমান্তহীন রাজ্য যার, অগণিত সামন্ত অশ্বারোহী ও তীরন্দাজ, প্রভাব ও প্রতাপ ছিলযে ভয়ংকর ।
কেজানে হায় খোদার এ দুনিয়ায়,
আজও লুকিয়ে রয়েছে কিনা কোথায় কোন কোণায়,
হিংস্র, নিষ্ঠুর, বেঈমান ও বর্বর,
যার সৃজন হয়ে তার দুষমন তারই খেয়ে-পরে তার জমিনের উপর,
খোদার সৈনিক লক্ষ্য চারিদিক পেলে দিবেনা ছাড়ি, অহংকারী আবরাহা, ইয়াজিদ, কারুন, নমরুদ ও ফেরাউনের বংশধর ।
বেশী কিছু নয় ইশারায়ই কাজ,
হয়েছে তাই কোন নড়চড় নাই, যখনই চেয়েছেন ঐ জগদীশ্বর মহারাজ,
নিজেরে খোদা দাবী করা আর অগণিত বাদশাহ দুনিয়ার যারা ছিল উদ্ধত, অত্যাচারি ও জুলুমবাজ,  
ছোট্ট পাখী ও ক্ষুদ্র মশকই নিধন করেছে সব, যতই বিশাল আর ভয়ংকর হোক ঐ বাহিনীর হুংকার ও সাজ,
সাগরের জল কিবা শুধু তার একখানা আসমানী বাজ নাহলে তার আওয়াজ, নিমেষে সব নিপাত ও ধূলিসাত করেছে ।
ওরে মূর্খ ক্ষমতাধর,
বাতাসে সব শেষ, নিরুদ্দেশ কই বাড়ীঘর,
খোদার জমিনে রে কমিনে, তুইযে দুদিনের এক মুসাফির যাযাবর,  
সোনার সিংহাসন, হিরাখচিত মুকুট, এত বিত্তধন ও জন, চামচা চাটুকার দম ফুরালে বল আর কি আছে তর ।
যে নেয়ামতে মানুষ ধন্য, সৃষ্টি নশ্বর এ দেহ,
তাই কি জানেনা কেউ, হয়তো বলেনি তাদেরে কখনও তা কেহ,
পরম করুণায় দিয়ে এত দান, বিধাতা মহান করে সৃজন, পালন, কত আদর, যতন ও স্নেহ ।
আগুন, পানি, বাতাস ও মাটি,
তাতেই রুহ্ সেইতো প্রাণ, চির অক্ষয়, অমর, পবিত্র, মহান ও খাটি,
সাধ্য নেই সামনে কেউ যায় একপা হাটি,
এত ধন-জন, সুখ-বিনোদন,শীতল পাটি,
সোনার চামচ ও পিতলের দুধের বাটি, বাবা-মার কোলের আদর,
যে দেহ বানালো খোদায়, কেজানে বিনিময়ে কি সে চায়, গড়েছে করে সৃষ্টির সেরা সুন্দর,
কত কওম আদমের বংশ, ঐ নেয়ামতেরে গজব বানিয়ে ফের করেন ধ্বংস, দয়াময় বিধাতায় যখন হয় রোষে ভয়ংকর ।
কত বাহাদুর রাজা,
পেয়েছে নগদে তবু বুঝেনি সে তার কঠিন সাজা,
সব ফেলে পালিয়ে যায় রাজ্য, প্রাসাদ, সিংহাসন, মুকট, রতন, মানিক, হীরক, মুক্তা ও সোনা তরতাজা,    
সেনাপতির হায় শির চলে যায়, ধপ করে মাটিতে পড়ে ক্ষণিক লাফায়, তারপর হয় নিথর অসহায় ধর ।
বেঈমান ও নিমকহারাম,  
হোন যতই দামী হোক তাদের যত বেশী দাম,
ছোট-বড় যত সবাই অদৃশ্য নিরাকার ঐ এক মহারাজারই গোলাম,
তবে কেন কেউ দুষমন কেউ তার প্রিয় বন্ধু সাম, করেছে এমন তফাত তাদেরই মনন, জবান ও কাম ।
দিনে দিনে ঐ মহারাজার কাছে,
শুধু সেজনই জানিবে ও বুঝিবে যার চক্ষু ও বিবেক আছে,
খোদার রাজ্যে বসবাস,
কত যুগ কত বছর আমরণ নিত্য বারোমাস,
জনম ভরে তারই খেয়ে-পরে কতযে বিনোদন আর ভোগ-বিলাস,
তার কাছে সব হিসাব আছে, কে করেছে কোন বানিজ্য বসতি ও তার ঐ আলোর চাষ,
চুক্তি করে দাদন খাওয়া, ঋন খেলাপী ভুলে যাওয়া, তার সকল চতুর অবাধ্য, অবিশ্বাসী ও অকৃতজ্ঞ দাস,  
আছে কি তার কোন হিসাব, সব মানুষের ঋন দিনকে দিন সুদাসলে বাড়ছে ও অবশেষে সবেমিলে বেড়ে তা কত হয়েছে ।
যুগে যুগে,
নিরবে তারা ভুগে ভুগে,
সব সুজনেরা কেন আজিকে কোণঠাসা,
গৃহ মাঝে রয়ে বন্দি কত অশুভ ফন্দি, লুকানো বাসনা ও আশা,
মিথ্যা ও মন্দের সনে, করে সন্ধি গোপনে, একই বাড়ীতে এখন তারা বেঁধেছে তাদের নিরাপদ বাসা ।


পর্ব – ০৩


মানুষ নামের মুখোশধারী কত অমানুষ,
নিত্য আকাশে হরষে উড়ায় আর মনে সুখ পায় সাত রঙের বাহারি ফানুস,
বসে রাজসভায়,
সমাজে সদা কলকাঠি ঘুরায়,
চাঁদা, উৎকোচ ও কত উপহার নিত্য সে পায়,
কে ঠেকায় রাজ অনুদান ও ভাতা,
সে যেন তাদের পীর, তাবেদারগণ এমনই অধীর, তুচ্ছ পিতামাতা,
চাটুকারের দল হরষে ভরে জয়ধ্বণি করে, আগে পিছে ঘুরে আর কেউবা মাথায় ধরে তার ছাতা ।
দিনভর ঐ ছোট্ট মাথায়,
কেবলই নানা কুমতলব ও কুমতি ঘুরপাক খায়,
এমনই অযোগ্য কত লোক হায়, রাজ করুণায় আজ দলপতি ও নেতা হয়ে গেছে ।
মনে তার আরও বড় নেতা হবার আশায়,
যাকাত দেয়, হজ্ব ও ওমরাহ করে ও দুহাত ভরে দান তার নেই কোন দায়,
লোক দেখানো করে কত জনসেবা ও সমাজ কল্যাণ ও গরু জবাই দিয়ে জেয়াফত করে খাওয়ায় ।
ব্যাঙ্ক লোন হাজার কোটি টাকা তার কাছে পায়,
সকল মামলায়ই অনায়াসে জামিন পায়, নাহলে জিতে যায়,
সালিস বিচারে বসে অবিচার করে তবুও লোকে সালাস ঠুকে ও ভয় পায়,
ক্ষমতা দেখাতে দুচারজনকে আনে ধরে ও চপেটাঘাত করে আর ধমকে উঠায়-বসায় ।
জুলুম, অত্যাচার, প্রতারণা করে ও সবারে ঠকায়,
তবু প্রতিবাদ করা কিবা কথা বলার সুযোগ নাই, সবে ভরকে যায়,  
কোন বাপের বেটা কার এমন বুকের পাটা কিছু বলে, বুকটান করে তাই ঘুরে বেড়ায়,
সবার পকেটেই যথাসময়ে যার যা পাওয়ার বড় অঙ্কের বখরা বা বখশিশ পৌছে যায়,
যত তার চামচা চাটুকার কালোহাত, অপরাধী হয়েও কেমনে তারা অতি সহসাই জামিন বা ছাড়া পায় ।      
নিরবে গোপনে ভাসে যারা চোখের জলে,
দিন বদলের এখনও সময় আছে, খোদার সনে তারা গোপনে কথা বলে,
কোটি দূর্বল মজলুম,
নাই যাদের মনে সুখ ও চোখেতে ঘুম,
মাথায় ও মনে শত অনটন আর সমস্যার জ্বালাতন ও পীড়ন ধুম,
নাই পক্ষপাত ঐ মহাপাকজাত মহারাজায়,
তারা ঐ বিশ্বাসে প্রতি নিঃশ্বাসে, রয়েছে বসে মহাবিচারক তাই তার বিচারের আশায় ।
মহাবিশ্বের একটাই বিশ্ববিদ্যালয়,
ছাত্র হতে যেবা চায়, বিনা পয়সায় শুধু নাম লেখাতে হয়,
জগত জোড়া তা এমন এক কর্ম্মশালা,
দিনেরাতে আজীবন বারো মাস সর্বদা যদিও রয়েছে খোলা,
ছাত্র কেন তার মাত্র কয়জন, যদিও পাঠদান চলে আজীবন সারাবেলা,
জানিনা হায় নীল ঐ আকাশটার সীমাণা কোথায়, পৃথিবীটার তা ছাতা নাকি চালা ।
সবে কাজ করি আর খাই,
আজীবন যেন সারাক্ষণ অতিশয় ব্যস্ত সবাই,
দেখা, শেখা কিবা জানার যেন হাতে কারো একটু সময় কিবা ইচ্ছা নাই ।
কত সমস্যা, পেরেশানি, অনটন ও দুঃক্ষ-জ্বালা,
নিত্য আজীবন সবে ভোগ-বিনোদন লয়ে রয়েছে সদা বিভোর ও ভোলা,
মাটিতে সবুজের বিছানা পাতা, লাগেনা বই-খাতা আলোয় ভরিতে তার অগণিত দুয়ার ও জানালা,
জানিনা কিসের উপর,
কেমনে আছে দাড়িয়ে তার মসনদ, প্রাসাদ ও দপ্তর,
নাইযে কোন তার খুটি-পালা, বুঝি ঘুচেছে চুখের পাতা খুলেছে মনের তালা, ভেবে ভেবে আমি তাই অসীমে হারিয়ে যাই ।
অসহায় মুসাফির একদল,
নাই অন্ধ অনুচর, লাঠিয়াল ও কোন বল,
যার নাই কোন সম্পদ ও সঞ্চয় তবু অকুতভয়, শুধু সম্বল,
ঐ বিশ্বাস যা বানায় ভক্ত অনুগত দাস, সহন ও বহনের মজবুত কৌশল,
কিছু সহচর একই দরশন, মতামত ও ঐ একই পথ যারা সুবোধ, সচেতন ও সফল,
জন্ম ও মরণ, তার আগের ও পরের জীবন, আর ঐ সে সুমনন, সুবচন ও কিছু ভালকাজ দীপ্ত প্রবল,
হতাশার এক ঐ বিশাল বালুচর, তবুও সেখানে তারা কেমনে সবর, সান্তনা ও আশার ঘর বেধেছে ।
জীবনে যারা অতি অল্প পেয়ে,
নিত্য শুধু ঐ ছোট মাছ, শাক, ডাল ও মোটা ভাত খেয়ে,
রয়েছে এমন কোটি জন,
বাড়ী-গাড়ী, বিলাস ও বিনোদন যাদের নেই কোন প্রয়োজন,
সে যে এক মোহ ফাঁদ, ফটক ও প্রাচীর লৌহ গরাদ, কে চাহে হতাশা, বিষাদে তাড়িত ক্লান্ত ও বিষন্ন মন ।
লয়েছে এক দলে টানি, ঐ একই বাণী ও পাঠ,
যে যেখানে জীবিকার টানে যেই কাজে মাঠ, ঘাট ও তেপান্তর বাট,
প্রকাশে গোপনে সমস্বরে, তার ঐ অদৃশ্য রশিটা ধরে, একই গুণগান ভরিয়া পরাণ গাহিছে তারা সবাই ।  
যদিও শত আশা ও তত বাসনা আজও অপূরণ,
জানা, সাধগুলিও এ জীবনে কভু আর হয়তো তাদের ওরে হবেনা সাধন,
হলেও যাযাবর তাদেরই বিজয়ের এ ভ্রমন,
তাইতো ওরে বেশী ভালো অল্প বিত্ত-ধন, কম ভোগ-বিলাস ও বিনোদন,
যেথা নাই কোন লেশ ক্ষোভ বা ক্লেশ, আফসোস, অভিযোগ ও হাহাকার সে এক সফল জীবন রণ,
সত্য বলায় ও সুপথে চলায়, সাদামাটা সাধারণ দুদিনের এ জীবন, দেখে মনেহয় তারাই যেন বেশী শান্তি-সুখে রয়েছে ।