পিদিমের একনাল, হলুদে মাখানো লাল, সরু সলতে ॥
মিট মিট করে জ্বলে,
আর কি যেন তার অস্ফুট স্বরে বলে,
কেন এমন যেন আহত বিষন্ন মন, চাহে তবু পারেনা যেন সে বলতে ॥
তবে কি সহসাই হবে তার,
ঘন কালো এই আঁধারের কাছে হার,
অতী কাছ থেকে দেখেছি যতবার তারে আমি,
জেনেছি বুঝেছি গহীন রাতের ঘন আঁধারে তা যে কত দামী,
ক্ষিন আলোক শিখা, যেন এক দুঃসময়ের মরিচিকা, বিনা তেজে, আমি তার লেজেলেজে, নিভু নিভু জ্বলতে ॥
মাঝে মাঝে আচমকা দমকা হাওয়ায়,
তবু তা নিভে না যদিও মনেহয় এই যেন নিভে যায়,
চলছে যেন সে,
ক্ষনে বিষাদে ও ক্ষনে হরষে,
হয়ে ধূপ রয়ে গম্ভীর চুপ তেল আছে তবু নিরসে,
লয়ে এ দেহটার ভার যেন সে বহিতে পারেনা আর, চাহেনা চলতে ॥
নিজেকে দেখা যায়না,
পথহারা পথিকেরা দিক খুঁজে পায়না,
লন্ঠনহীন এক কাফেলা,
মরু পথে নিঝুম রাতের বেলা,
টলমল যেন তার রুগ্ন হতাশার ভেলা,
তমশা পার হয়ে, আশাগুলি সংগে লয়ে, কখন পসিবে গিয়ে ঊষা প্রান্তে ॥
হিমশিম দিশাহারা,
তবু প্রাণপণ ছুটছে চলছে তারা,
পার হতেই হবে দূর্গম এই মরুপথ তাই সবে পাগলপারা,
তবু যেন আমি কভূ দেখিনিতো আহারে, পথ চলার ক্লন্তির ভারে, এতটুকু ঢলতে কিবা টলতে ॥
বিছানো তারকার ঐ খুটিহীন সপ্ত আকাশ,
অনূভবে চেতনায় নানা ভাবনায় আমারে করে উদাস,
মাটিতে থেকে রেখে ঢেকে যেথা রহস্যের শত প্রশ্নের গহীন ঘের হেথা মোর বসবাস,
এক ইঞ্জিনিয়ার, গোটা এ বিশ^টা আর তার ষোলআনা মালিকানা যার, ঐ মহারাজার সৃজন বিলাস,
কি পেলাম কি না পেলাম, আমি তার গোলাম, দোষ কি ওরে, বড় গলে উঁচূ স্বরে সেকথা সবারে বলতে ॥
আমারে ফেলে রেখে হায়,
মনটা চলে যায় অসীম দূর নীলিমায়,
রঙ আর রুপ তার আজও অদেখায় অজানায়,
তাই যদি হয় মোর দায়, দেখিতে জানিতে করিতে চায়,
এ জগত জুড়ে ঘূরে ঘূরে আঁধার পুরে পাশ করা আলো ও ভালোর চাষ,
নাহলে কেন এ জীবন শুধু কিছুক্ষন, হয়ে এক কানা নিজেরে অচেনা জিন্দা লাশ,
যদিরে অবেলায়, শোনতে হয় আমায়, আমার চাষের জমিনে পারেনি মহাজনের প্রিয় ফসল ফলতে ॥
ঝলমলে বিশাল এক প্রাসাদ পুরী,
ছিলনা দুনিয়ায় যার কোন সম কিবা জুড়ী,
কারুনের পাহাড় সম ধন মিশে যেতে বালুকায়,
ইতিহাস তার অবক্ষয় আর ধ্বংসটার করুন গল্প শোনায়,
মিশে যেতে চায় হাওয়ায়, তিলেতিলে গিলে খেতে চায়, বরফের মত দ্রুত অবিরত, একেবারে ন্বিঃশেষ হয়ে তারে গলতে ॥