আর কতদিন রব একা,
কবে আবার দুজনার হবে দেখা অ প্রানসখা,
অ বন্ধুরে, সপ্ত বসনার, আমার পরানের পরান ॥
তুইযে আমার ইস,
কি মজার কোলের বালিশ,
কিছু দিলে দিস না দিলে না দিস,
হুতাষের দম, তুলতুলে নরম, পরম সুখের শিথান ॥
আর কিছু দিলে দিস, না দিলে নাই,
কবে আসিবেন বাড়ী, পন্থের পানে রইলাম চাই,
কি হলো আমার,
সপ্ত আশার সাধ বাসনার,
অভাগীর এই পথ চাওয়ার, কবে হবে অবসান ॥
বন্ধু হয়ে গেছে কানা কেমনে বধীর,
মম পঞ্চ হৃদয় টানটান পেরেসান অধীর,
আমরা দুজনে মিলে,
গিয়ে নেমে চাঁদের ঝিলে,
সেইদিন আসিবে ওরে, কবে হাতে হাত ধরে, জড়াজড়ি করে গাইব আবার গান ॥
মম মন যমূনা,
কেন সে আগের মত উথাল পাতাল আর জাগেনা,
যেথা ডুব সাঁতারে গড়াগড়ি, ঢেউয়ের মাঝে বাইতে তরী ভয় লাগেনা,
তুইযে আমার হৃদয় মহাসিন্ধু,
মরুর বুকে আছি সুখে শেষরাতের শিশির একবিন্দু,
দেখতে তরে, আমার মন করে আনচান ॥
তবে তা এখন কেন নয়,
যদিরে হয় চাওয়া পাওয়ার একটু সুখ বিনিময়,
তর বিরহ যেন মোর দেহমনে সারা জীবন সয়,
তুইযে আমার শীতের কাঁথা,
সারা দেহমনের ভিতরে বাহিরের বিষব্যাথা,
ফাগুন এসে মাঘের শেষে এনে দেয় পাতা ঝড়া যেই বারতা,
কইরে আমার হাস্নাহেনার প্রিয় মালাখান ॥
তুমি আমার গরম দুধের পিতলের বাটি,
চৈত্র মাসের গরমে, ক্লান্তি যখন চরমে শীতলপাটি,
মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে আমিই নাহয় চলে আসি তোমার কাছে পায়ে হাটি,
যায় যাক তাতে, ছাই পড়ুক মোর ভাতে, আমার বাবার জাতকূল মান ॥
মধ্যরাতের কোলের বালিশ,
ভোর বেলার দোয়েলের শিস,
নানান রঙের ছবি আঁকা,
তোর বানানো তালের পাখা,
মনটা যখন, উদাস গগন, উড়াল পেরেসান ॥
তুমি আমার,
জড়ির পার লাল শাড়ী আর,
কদিন পরে যখন হবো বুড়ি,
কি করিব লাল ফিতা ও লাল চূড়ি,
ওরে আমার স্বপ্নের ঘূড়ি, মনটা মাতাল করার রেশমী পিরান ॥
তুমি আমার ঘূম না ধরা,
গহীন রাতে আগুন ঝড়া পাগল করা,
মনমরা ছটফট বিছানার,
নিরজন বির্বন বিরস উঠবস বারবার,
শেষে পা হতে খসে পড়া নূপূরের বিষাদ পৈথান ॥
অ আমার প্রিয় স্বামী,
তুইযে সাতরাজার ধন সবচে দামী,
বন্ধুরে,
বলনা সে কথা কবে আমি বলেছি তরে,
বস্তাভরে শাড়ীচূড়ি সোনাদানা টাকাকড়ি আন ॥