যা বলে বলুক লোকে,
তাতে কি আসে যায়, সে যে আমার চোখে,
মজেছে যখন মন, সে যে উত্তম শ্রেষ্ঠ অনন্য অসাধারন,
তার নয়ন চেহারা বদন, যাই হোক বিদ্যা বয়স বরন আর কিবা ধন ॥
মন বলে, সে ই তিলোত্তমা,
দুনিয়ার সব সুখ যেথা রয়েছে জমা,
যাকে প্রাণভরে ভালবাসা যায় ও করা ক্ষমা,
অপরুপ ঐ রুপ, মন বলে পাশে বসে দেখি চুপ, সেযে মনোরমা,
আর কিছু পায় বা না পায়, শুধু তার মন আর সুখ পেতে চায়, মরমে উঠে তার বাসনার ঝড়,
ঐ সে জন, জগতের সেরা সুন্দর, বলে আমার মন আর তার সবকটি নয়ন ॥
চমৎকার তার কথা বলা,
মিষ্টি হাসি করে মুগ্ধ, চাহনি পোষাক ও হাটাচলা,
বুঝালেও বুঝেনা মন, মানেনা নিষেধ বারন, সবই যেন পাষানগলা চপলা,
কেন, মনেহয় যেন, শত জনমের চেনাজানা তারে, অতি প্রিয় অতি আপনজন ॥
সেযে উপমাহীন,
ইচ্ছে করে তার কাছে বাধা পড়ে ঋন,
মন ভরে যায় কানায় কানায়,
সব ভূলে যায়, নিজেরে হারায় দূর নীলিমায়,
ক্ষনিকের তরে, কিসের ছোয়ায় বুক যায় ভরে, দূর্লভ কি যেন পায়, মোর আকূল তৃষিত মন ॥
কেন মোর হিয়া যেন বলে,
আর কিছু চাইনা, শুধু সে মোর হলে,
বুঝি এই ধারনা, তাহলে ধন্য হবে সে এ ভূতলে,
এই মোহময় ভাল লাগা এনে দেয় হার, নাই আর কোনকিছু দরকার, নেই আমার যেন আর কোন প্রয়োজন ॥
তার সম কেহ নাই, তুলনা নেই,
রুপে ও গুনে অনন্যা ও সবার শ্রেষ্ঠ সেই,
ইচ্ছে করে, সোহাগে হাত ধরে টানি, পরিয়ে দেই,
উজার করে, কানায় কানায় ভরে, তারে ঘরে আনি মোর হৃদয়ের মালাখানি, যেজন আমার অনেক চাওয়ার প্রিয়জন ॥
তারে খুউব ভাল লাগে,
ভাবিলে মনে শিহড়ন জাগে,
এমনতো আমার কখনও হয়নি আগে,
দেখিলে প্রফুল্ল হয় মন, যেন খুশীতে করে নাঁচন,
আমি ডুবে মজে যাই, অনূভবে পাই আবেগের আহবান চনমন,
এই আমি যেন নিমেষে বদলে যাই, কি করি ভেবে নাহি পাই, কিযে সুখ হর্ষ বিনোদন, কথা বলে তার সনে যেন শুধু কিছুক্ষন ॥
ভাল তার স্বভাব আচড়ন,
এত বড় মন, দেখিনি এত সুদর্শন,
তার কোন দোষ আজও পায়নি মন, করেও অন্বেষন,
অমূল্য ধন মানিক রতন, সে ইতো আমার, অনেক কামনা বাসনা আর সাধনার, সাতরাজার ধন ॥  
যাদুর মায়া,
অন্তরে পড়েছে ছায়া,
ঐ মোখ জগতের সেরা সুন্দর,
থইথই জল কুসুম কোমল নহে বালুচর,
বাকীরা সবাই কেউ ভালনা, মন্দ কিবা ধূরন্দর,
পা হতে মাথা, ঐ একই বারতা, মাথায় উঠে যেন সীমানা টুটে বয়ে যায় ঝড়,
সে শুধু আপন অন্যরা পর, ঐ একই কথা দিনভর রাতভর সারাটা বছর, জ্বালাতন তোলপাড় আলোড়ন ॥
এই নেশার ভাল লাগা,
শুধু সুখ আর একটু ভালবাসা মাগা,
আস্থা আর নির্ভরতার,
তার কোন সম কিবা জুড়ি নাই যার,
আপন ভূবন আর অন্তরে অপার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার অটল পাহাড় সম পাতা লাগি তার এক সোনার সিংহাসন ॥
যার চোখে ভাল লাগে যারে,
কারো কাছে যেন তারা নাহি হারে,
কেবা তারে বুঝাতে কিবা ফিরাতে পারে,
চোখের ভাললাগা আর মনের এই অবুঝ টান,
কত মানূষেরে করে পথভোলা দিকহারা পেরেসান,
শেষে কত কিযে হারায় সুখের সোনালী স্বপন আপন ভূবন হয় বিরান,
কিছু বদ্ধ পাগল, আবেগের ঢল, শেষে আত্বাহুতী দেয় দিয়ে ফাঁস করে বিষপান,  
পারেনা রুধিতে হায়, কেউ দূরে পালিয়ে যায়, তাতে কি আসে যায়, যদি যায় যাক জাতকূল মান,
অবুঝ আবেগ ও উচ্ছাস,
মনেরে করেছে বিভোর, যেন এক বিবেকের চোর, দোচোখে দারুন নেশার ঘোর, তার হীন দাস,
অন্ধ বিশ্বাস, আশা একরাশ ও তার পীড়ন, করেছে করছে কত মানূষের সুখ হরন ॥
চোখের মোহ মনে আর মনেরটা চোখে,
সে যাদুর ভেদ কেমনে জানিবে বলো অন্য লোকে,
বাহারী বদন,
ভূলিয়ে দিয়েছে নয়ন ও মন,
কত মধুর শ্রবণ খোশ বচন আলাপন,
চকচক করিলেই ভাই তা কভূ হয়না সোনা,
বাহিরে হোক সে যতই রাঙা ভিতরে হতে ওতো পারে কালিমা বোনা,
ভিতরে বাহিরে মানূষ একরুপ না ও হতে পারে, তাইতো বিশ^াস বা ধারনা হারে, তা কি আছে জানা,
কেমনে করিবে তাহা, অদেখায় অজানায় যাহা, আছে কি সে শক্তি তোমার তা করা আবিস্কার কিবা উদঘাটন ॥
মোহ আর আবেগের এই ভাললাগা,
আলো আর ভালোর বাড়ীতে যার নাই জাগা,
সাগরের বান কে পারে ফিরায়,
দূর্বার সে জলের টানে অজানায় কতকিছু ভেসে যায়,
হাতে কিছু নাই, তাই যেন খাইখাই, বয়সের দোষ, যৌবনের জোশ, মাতাল মোহ আর ঐ ভাললাগার সম্মোহন ॥
ছেলেটা কুমার,
বিএসসি ইন্জিনিয়ার,
বয়স মাত্র তেত্রিশ হলো পার,
রশিদ মিয়ার ঐ শ্যামলা বিধবা মেয়েটার,
তারচে বয়সে বড়, শুনেছি একটি ছেলেও নাকি আছে তার,
জিত কিবা হার, তার চোখে, পঞ্চমোখে সে রুপ গুন অতুলনীয় বলে যার,
সকলের অমতে গিয়ে, তারে সে করল বিয়ে, আজও হলোনা যার ঐ কারন কিবা রহস্যটার উম্মোচন ॥
বয়স কুড়ির ছমিরন বিবি ছিল কূলনাশা,
আর ঐ কদম আলীর কালো মেয়েটারও ছিলনা বিয়ের কোন আশা,
ভাললাগা আছে বলে, কোন না কোন ছলে, তবুতো তারা পেয়েছে সুখের ঠাই, ভালবাসার একটু সুখের বাসা,
দুইজনার দেহমন, এক ঘরে গেলো যখন, হয়ে কোলাকুলি হলো মিতালী, পেলো সে এক অন্য সুখের ভূবন ॥