কোমায় রয়েছে বিশ্ববিবেক, ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে
এখন নিস্তব্ধতা। এখানে কথা বলা যাবে নাÑ বিবেককে
বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে, নিবিড় পরিচর্যায়
কিছুক্ষণ আগে জাতিসংঘের মহাসচিব সান্তনা দিয়েছেন- ভয় নেই
মরবে না বিশ্ববিবেক। বাইরে দাঁড়ানো দর্শক
বিবেকের বড় আপনজন তারা। হাজিরা দিতে এসেছে-
যেমন হাজিরা দেয়া হয় স্বজন অসুস্থ হলে। একবার জেগেছিল
বিশ্ববিবেক ২০০৩ সালে। তারপর লিবিয়ায়। এরপরই অকস্মাৎ
বাকরুদ্ধ। তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে প্যাথেডিনে
এখন গভীর ঘুমে সে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। তাকে
ডাকা যাবে না, নাড়া দেয়া যাবে না, শুধু
দূর থেকে দেখা যাবেÑ নিথর দেহের মতো পড়ে আছে
স্বচ্ছ কাচের বাক্সে। কখন জাগবে সে, কখন আবার
সোচ্চার হবে- সে অপেক্ষায় ভুখানাঙা গাজাবাসী, তার
ব্যথায় ব্যথিতজন। এখানে লাশ আর লাশ।
অহরহ পড়ছে লাশ। শিশুর লাশ। যুবকের লাশ।
যুবতীর লাশ। সদ্যবিবাহিত দম্পতির লাশ। বৃদ্ধ-বৃদ্ধার লাশ।
ভয় হয় তাদের সঙ্গেই যাত্রা করে কি না বিশ্ববিবেকের!
...........................
১৩.০৩.১৫
ঢাকা, বাংলাদেশ