পুরনো সিনেমার ডকুমেন্টারির মতো
ঝাঁপসা, ফাঙ্গাস পড়েছে স্মৃতির সেলুলয়েডে
ফ্লাশব্যাকে ক্ষয়ে যাওয়া দৃশ্য উঁকি দেয়
সর সর সরে যায়, চৈত্র দুপুরে দূরে ঢেউ খেলা
মাঠের মতন কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্যানভাস-
এইখানে এই কাদিরদী, স্কুল, বাজার
পাঁচুর দোকান, বটতলায় কেরামআড্ডা
ফিক করে হাসলেন রহমান মৃধা
স্যালুনে বসে আছেন হেডস্যার- মুখে সেভিং ক্রিম
এককোণে দুধের বাজার
অপেক্ষায় শীর্ণকায় মানুষ, ক্রেতা নেই
বাইরে খাঁ খাঁ রোদ্দুর, পিপাসায় ছাতি ফাটে ক্লান্ত পথিকের
লাঠিতে ঠেস দিয়ে দেহটাকে টেনে নিচ্ছেন
কইতুরির মা
আপন কেউ নেই তার
এবাড়ি ওবাড়ির বারান্দাই তার ঠিকানা
অনেক রাতে পুড়েছেন জ্বরে, সঙ্গী শুধু
গোল হয়ে পাশে এক কালো কুকুর
বাংলা ক্লাসে হেড স্যারের বয়ান ‘মেজদিদি’ নিয়ে
কেষ্ট’র কষ্ট, সাবেরার চোখে অনিকেতের চোখ
সব দৃশ্যই সরে যায়, সøাইড শো’র মতো
আর নষ্টালজিয়ায় চোখের কোণ ভেজে
গ্রামছাড়া অন্নসন্ধানী মানুষের।
...................................
০৪-০৩-১৫
ঢাকা, বাংলাদেশ