চারদিকে বাঁশী, পসরা সাজিয়েছে দোকানি
টলটলে যুবতিও কি সেপথে, মাথায় তার
লাল জবা, থলথলে শরীরের ভাঁজ উন্মুক্ত
ঠৌঁটে তার কোটি গোলাপের রক্ত
কপোলে লাল-গোলাপী আভা
কাঁধটা তার খোলাই বলা চলে, আধো
খোলা বুক, ঢেউ খেলে সেথা কোটি তরুণের
লালায়িত চোখ, শাড়ির আঁচল কখন গিয়েছে
উড়ে, সেপটি পিন আর কতক্ষণ করবে যুদ্ধ
এই বোশেখি বাতাসে? পাশ থেকে কখন সরে গেছে
বিবাগী এক চিলতে কটনের ঢাকনা
গলফ মাঠের সমান মসৃণ মাঠের মতো
কোথাও তার উঁচু, কোথাও নিচু, মোলায়েম
মসৃণ জমিতে ক্ষুধার্ত যুবক, বয়সী নিয়ন্ত্রণহীন এক
পুরুষ সেও, সেও তাকিয়ে দেখে অপলক দৃষ্টি-
এখানে এই রূপের মেলায় কড়িহীন, হাহাকার
এক যুবক শুধু অবলোকন করে প্রকৃতি।
মায়াময় এই দিন কোনদিন যেন না
হয় শেষ, এভাবেই কাটিয়ে দেব সে
যার কথা ভুলে গেছে প্রেয়সী
কথা রাখেনি। তার কথা বড় বেশি
মনে পড়ে এই বোশেখি দিনে
চৈত্রের দাবদাহ দিনে উত্তাল এক যুদ্ধের স্বপ্ন
দেখিয়েছিল সে। তারপর...
তারপর ভুলে গেছে সে, রাখে নি কথা
সেই থেকে এই দিনে বুকের গহীনে ওঠে ঝড়
এলোমেলো হয়ে যায় সব।
আমি এই মেলায় খুঁজে ফিরি তারে....
শূণ্যতায় শুধু প্রতিধ্বনি হয়- হৃদয়ের কান্না
তাই বুঝি আজ এত তেজ এই বাধাহীন রবির।
...........................................
মোহাম্মদ আবুল হোসেন
ঢাকা, বাংলাদেশ
১৪.০৪.১৫
১লা বৈশাখ, ১৪২২