ঐ দুটো চোখ কোথাই তোমার
যে দুটো চোখ অপেক্ষায় থাকত আমার।
পথের পানে চেয়ে ফুল ফটে যেত কখন,
তা বুঝার প্রয়াস হতনা তোমার অনুক্ষণ।
স্নিগ্ধতার আবহে সৌরভ ছড়িয়ে,
চারিপাশ যেত মাড়িয়ে।
তুমি তবুও প্রহরের পর প্রহর গুনেছ অপেক্ষায়,
হাসনাহেনা বেলী চামেলির ইচ্ছেয়।
আমি মোটেও কিম্ভুতকিমাকারের দিকে মেলেনি আঁখি,
দিগন্তের ভরাভয়ে চলতে চলতে হয়েছি রাহী।
কী এক আর্চায্য আহবানে সময়ের শকটে চড়ে,
আমি সব কিছু দিয়ে ছুঁড়ে ;
তৃষ্ণায় শরাব না পিয়ে, পিয়েছি তোমার সু-সুরেলা আয়াওজ,
তাই দিকভ্রস্ট না হয়ে হয়েছি নওয়াজ।
সেই দু'টি হাত কোথাই তোমার,
যে দু'টি হাতের স্পর্শে আমার;
এই মন ও চেতনাময় বিষয়রা রেখেছে আমায়,
সুন্দরের আবছায়।
আমি তাই এখনও ভাবী আসমানের নীল , পৃথিবী
বিশাল জলরাশি ফারাউন নমরুদী ;
শুধু তোমার ছোঁয়ায় আমার এই হৃদি খানী
প্রত্যহ জুড়ায় মন আমার আমি তোমার সুবানী।
তুমি শোনাতে আমায় মৃত্যুর পরের কথা, সেখানের গুলবাগিচার উপাখ্যান;
ভালো ছাড়া ওখানে নাকি সব হয়ে যাবে প্রত্যাখ্যান।
আমি বুঝেছি বলেই আজ,
আমার জীবনে তুমি হয়ে আছ তাজ।
১৯/৯ /২০১৬


বি.দ্র. কোন প্রেয়সীকে নিয়ে লেখা হয়নি কবিতাটি, একজন সুনেতা-সুমানুষকে নিয়েই লেখা হয়েছে কবিতাটি।