তুমি বলেছিলে মাত্রাবৃত্তে কবিতা লিখতে,
তাতে প্রাণ ভরে, বিচ্ছুরণ হয় আলোর
আর রাতের আঁধার পেরিয়ে সকালের সূর্য
জানিয়ে দেয় আলোর প্রভাত।
তুমি নান্দনিকের সুরাহী জানতাম বলে
আমার অগোছালো জীবনের আঙিনায়
প্রত্যহ জংলী ফুলের সুস্নিগ্ধাভায় প্রাণের জমিনে
ফুটেছে বাহারী পুষ্প, যার সৌরভ আমাকে জাগায়
সৌন্দর্যের মায়ায়, স্নেহের আনন্দ-আহ্লাদে।
তোমার এশিয়া থেকে যুগুশ্লাভিয়ার তথা সমগ্র বিশ্বের
জ্ঞান আমার উপর এখনো আছে হে মহানায়ক।
আমি হোমার দান্তে গেটে কে আর ফররুখকে
একই কাতারে দেখেছি, মল্লিক ও মন্নান সৈয়দকে
আমার প্রতিটি লেখায় তোমাদেরই ঘ্রাণ আমাকে
আহ্লাদিত করে, নষ্ট মেয়েদের প্রতিদিন পোষাক পালটানো
আর বেহুদা ঘ্রাণ লাগিয়ে পুরুষদের আকর্ষণ
করার মত নষ্ট মানসিকতা নেই বলে
তোমাদের কারো কারো সুহাতে আমার কবিতার ছন্দ
আমাকে তোমাদের করেছে হে মহানায়ক বৃন্দ।
জীবনের গুলবাগিচায়
আমি প্রতিদিন কুহু কেকা দেখার প্রয়াস পাই বলে
বসন্তকে আমি বসন্তই জানি
এই আমার আত্মজ উপহার মাত্র।


১৩/১২/২০১৬