নদীর জলের ভেতর দৃশ্যমান শিশু,
মনে হয় এই নদীর নীচে আরো আছে কিছু।
এত বিশাল জলজ জন্তু যেখানে থাকে
খায়নিত কোন কিছু এই শিশুটিকে।
মৃতদের মিছিলে যোগ দেবে বলে,
দেখা গেলো তাকে আজ নাফের জলে।
হাত পা এলো মেলো ছোড়া কিছু,
কুমিরেরা নিলোনা কেন তার পিছু পিছু।
কাঁদে কেউ অঝোরে নির্বাক হয়ে,
কেউবা দিশাহারা কার জানি মেয়ে।
এই সব দৃশ্য দেখে নাত কেউ,
দেখে যারা করে হাউ-মাউ।
ভক্তের বক্তা যদি বলে ভাই,
বাদ দে সব কিছু তোর কিছু নাই ;
পারিজাত এনে দেবে মন্দার গাছ থেকে,
গোলাপের গাছটি তার সাথে গেঁথে দে।
মমতা আর না আর না,
আমি বাঁচি, তুইনা তুইনা।
এর মানে কী জানো না বুঝি,
ওনার নাকী?
কী জানী কী রোগ হয়েছে,
ওনার নাকী বুরুতা ফ্লেবার বইছে।
ওনী নীচে নীচে হাত পা চুষেন,
ওনার জানালায় নানা রঙের পাখি বসেন।
কী জানি জানিনা জানি বলে,
কৃষ্ণ পক্ষে তিনি শুক্ল রাতের রাগিণী,
চাঁদোয়া আশ্বাসে আরশীবাদিনী।
তবু দেখা হয়না, তাই তিনি বেরুন না শিশু রুহিঙার
লাশটি দেখার।
তিনি অং তিনি সুচী,
তাহাকেই হবেনা কারগো রুচি।
দিন পালটায়,
সময় ও পালটায়।
চোখ খোলা থাকে চোখের সামনে,
পালাবার পথ থাকেনা তখন আপনে।
এই নদী এই জল এই শিশু আমার তোমার
ধারায় ধারয় আসতে হবে ভেসে ভেসে তোমার।
হয়ত এমনো হতে পারে তুমি তোমার হাতে বন্দী
তখন এই শিশুটিই তোমার সাথে করতে পারত সুসন্ধী।
তুমি বেয়াদব, তুমি নষ্টা,
তোমাকে চিনে তুমি সমকামিতা।
দাড়াও তোমাকে অনেক প্রশ্নের বানে,
এসে ভেসে যেতে হবে উত্তর দানে।
পারবেনা জানি,
তবে তোমার শান্তি ও বেয়াদবি বুঝে গেছে সবই।
১৪/১২/২০১৬