তগড়া বৃক্ষের মুকুলি যুগ থেকে বহুযুগ পরেও,
বিকশিত না হয়ে অপুষ্পতার মাঝে রয়েই গেল ;
সময়ের রথে চড়ে সময়কে বুঝাতে চেয়েছি,
কিন্তু কল্যাণের পথের কাঁটারা ঝাঁঝরাই রয়ে গেল;
কন্ঠকাকীর্ণ দিন রাতের শরীরে অবিশ্রান্ত প্রায়শ,
দিনের সূর্য এখন লাল দেখিনা সকালের সূর্যের মত,
বিচ্ছিন্ন বিবর্ণ বেরঙের রঙ প্রচ্ছন্ন মুকুরকেও ফ্যাকাসে করে,
যা কর্মের ফাঁকে ও বারুতময় হয়ে অক্ষিকে ঝরায়।
অপুরন্ততা আমৃত্যু মনকে কাঁদায় বিবর্ণ প্রহারে,
যা সত্যি বলে বলা যায়না না বলার বলে।
স্বপ্বাক্লিষ্ট রাতের ঘুম বিকালের নাস্তায় হারায়,
আকাঙ্ক্ষার মায়াময়ী মমতার ধারা মরুতে লুকোয়।
কে কী করবে আর করতে পারে তা বড় নয়,
আপনাকে কতটুকু সমৃদ্ধ করা হল, তাই বড়,
এই পথ কত যে কঠিন সহজ বলে,
বিভিন্ন যানের
ঘষায় সারাদিন অক্লান্ত থাকে ;
রাগত ক্ষনট সুখের বাতাসে অম্লান থেকে নিশ্বাস ফেলতে হয়,
তবু বিরাগের থালায় কষ্টময়তার অন্ন দেয়া হয়না;
কেননা জীবনের কাছে বৃক্ষের বহু-দাম।
১৭/১২/২০১৬