কতটি বসন্ত পেরুল কিন্তু তুমি এলে বলে এলেনা।
কতবার ফুল ফুটেছে আমার বাগানে,
জবা,বেলী, হাসনাহেনা জুঁই চামেলী
সবতো তোমাকে দেব বলে আমি প্রতিক্ষায় রয়েছি।
পাপড়ি গুলো বার বার মুছে যতন করে রেখেছি
শুধু তুমি আসলেই আমি ও গুলো তোমাকে দিয়ে
একটু শান্ত হতাম, মনের বিরহকে
শান্তি দিতাম বলে প্রহরের পর প্রহর কাটিয়েছি
আমি, শুধুই তোমারই জন্য।
ভোরের সূর্য ওঠলেই আমি প্রভাতি প্রার্থনা শেষে
চুপি চুপি হেঁটে যাই আমার ফোটানো ফুল গুলো দেখার প্রয়াসে
শুধু তোমাকে দেয়ার প্রত্যাশায় সাজাতে থাকি।
সুবাস নিইনা আমি তোমার জন্য কম হবে বলে,
বিকেলের গোধূলী শেষে আমি ফুল গুলোর
গায়ে হাত বুলিয়ে প্রত্যহ বলি ঝরে যেওনা তোমরা,
আমার প্রকর্ষিতময় আকর্ষণীয় ব্যাক্তিটি আসার
পূর্বে তোমরা ঝরে যেওনা।
ও আসলেই আমার ভালোবাসার দু'হাতে তোমাদের ওর কাছে তুলে দেব
তখন দ্যাখবে তোমরা ও কি মমতায় তোমাদের রাখে।
তোমরা হাজারো হাতে সুবাসিত হও কিন্তু
সব হাত সব হৃদয় তোমাদের মূল্য বুঝেোনা দিতেও জানেনা।
তোমমাদের দিয়ে, তোমাদের নির্যাসে
আমার সব্যচাসী বানাবে একটি সুন্দর পৃথিবী
যেখানে কোন বৈরী বাতাসে তোমাদের পদদলিত করার সাহস পাবেনা।
তোমরা জিয়ে থেকো আমার
অতিথির জন্য যিনি সৃষ্টিকর্তার নামে তোমাদেরকে
তুলে নিয়ে ধারন করবে আর গবেষণা করে
এই পৃথিবীর মানুষের কল্যাণে আশার আলো নিয়ে আসবে।
আমি তোমাদেরকে নিয়ে সেই অপেক্ষায়
অপেক্ষার প্রহর গুণছি হে গুলবাগিচার ফুল আমার।