আমার প্রিথিলা, আমার ভালোবাসা

কবি

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

প্রিথিলাকে আমি প্রথম প্রপোজ করি ৮মে ২০১৮। সেটি এমন এক মুহুর্ত ছিলো , যখন জীবনের চরম হতাশার মাঝে আমি চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেই আত্মহত্যা করার। এক এক করে দিন গুনে চলেছি। এইতো, আরেকটা পার হোক। হয়তো জীবনে বেঁচে থাকার কোনো একটা কারণ হয়তো খোঁজে পেতেও পারি। যদি না পাই, তাহলে কালকেই জীবনের ইতি টানবো। কিন্ত একে একে কয়েকটা সপ্তাহ পার হওয়ার পরও খোঁজে পাচ্ছিলাম কোনো জীবনে বেঁচে থাকার কোনো কারণ। শৈশবে বাবা - মায়ের ডিভোর্স, অতঃপর তাদের গুছিয়ে নেওয়া দ্বিতীয় সংসার। আর আমি হয়ে পরেছিলাম সম্পূর্ণ একা। বাবা মা বিহীন জীবনের পরবর্তি ধাপের প্রত্যেকটি পদে পদে চারিপাশের মানুষের চরম অবহেলা আমার ভেতরটাকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দিয়েছিলো। তারপরের জীবনটা হয়ে উঠেছিলো হতাশাপূর্ণ। অনেক চেষ্টা করেও জীবনে বেঁচে থাকার কোনো আশা খোঁজে পাচ্ছিলাম। তাই পৃথিবী ছেড়ে দেওয়াটাই ছিলো আমার চুরান্ত সিদ্ধান্ত। এরই মাঝে কোনো এক ভাবে পরিচয় হয় প্রিথিলার সাথে। প্রপোজ করার পর প্রথম দিনেই ও একসেপ্ট করেনি। একসেপ্ট করেছিলো কয়েকদিন পর। তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত আপাতত বাদ। জীবনে খোঁজে পেলাম এক নতুন টার্গেট। আমার হাবিবা হানিফ প্রিথিলা। এখনো পর্যন্ত আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। আমি দাড়ি রাখতাম বিধায় ও আদর করে আমার নাম দিয়েছিলো হুজুর। আর আমি ওর নাম দিয়েছিলাম মুসকানের মা।

নিজের অজান্তেই তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলি প্রিথিলা। আমাকে মাফ করে দিও। আর আমার এই বইখানা তোমাকেই উৎসর্গ করলাম। আমার এই লেখাগুলো কখনো তুমি খোঁজে পাবে কিনা জানিনা। তবে যদি কখনো খোঁজে পাও, তাহলে এই বইয়ের সবগুলো কবিতা মনোযোগ সহকারে পড়ে নিও।

তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবসি কলিজার টুকরা।

এই লেখাটি যেসময় লিখছি। ঠিক তার পরেরদিন আমার একটা অপারেশন হবে। আমি বাঁচবো কিনা জানি না। তবে যদি না বাঁচি, তাহলে আমাকে মাফ করে দিও।
25.01.2023

উৎসর্গ

আমার ভালোবাসা, আমার হাবিবা হানিফ প্রিথিলা কে । I Love You Habiba Hanif PRITHILA