ঘূর্ণিপাক
অচিন্ত্য সরকার


ঠিক বেঠিক সব ডিগবাজী খায় সংখ্যা তত্ত্বের ভারী চাপে,
উজান স্রোতে ভুল ধরে, সাধ্য আছে কোন বাপে।
রাজায় রাজায় তর্ক করে,মনের সুখে আইন গড়ে ,
ল্যাংচা খেয়ে তুড়ি মেরে,আইন ভাঙে শক্তিগড়ে।
ভোটের সুখে,বরফ বুকে চলছে কত সেবার বাহার,
শক্ত পায়ার চেয়ার পেলে, তুমি আমি কে বা কাহার!
ভক্ত জোটে হরির লুটে,জয়ধ্বণির বুলি ওঠে,
তুতো সুতো যেথায় যত মোওকা বুঝে দেদার লুটে।
মূর্তি গড়ে মায়ের পূজোর নিত্য নূতন আড়ম্বর,
আঁচল ছায়ায় মানুষ করা ছেলের ঘরেই মা যে পর।
পাতার জলে রাস্তা ভেঙে,মৃত্যুদন্ড পায় গাছেরা,
মাছের তেলে ভাজলে মাছ, কে আর কারে দেয় পাহারা!
যুধিষ্ঠিরের বংশে বাড়ে অত্যাচারী দূর্যোধন,
সর্ষে ভুত বাস করলে ওঝা ব্যাটার দোষটা কোন!
সংজ্ঞাগুলো সেকেলে সব উঁচু করে আছে নাক,
শকুনগুলো আকাশে উঠেও ভাগাড় পানে করে তাক।
সহজ পথের পাওনা গন্ডায় ভীড় জমেছে বাজার ঠাসা,
সহায়িকার জৌলুসে পাঠ্যবই এর করুণ দশা।
মাতাল স্রোতের ঘূর্ণিপাকে,নুড়ি মুক্তোর লুকোচুরি,
পরের ঘরে উঁকি মেরে,নিজের ঘরে পুকুর চুরি।
ক্ষয় রোগে মূল্যবোধ শ্বাসকষ্টে ভোগে,
ঘূর্ণিপাকে আটকে পৃথিবী কঠিন দূষণ রোগে।
দেহ যন্ত্রে আটক প্রেম স্বার্থ ঘূর্ণিপাকে,
ফেরার পথ হারিয়ে গেছে বিলাস মোহ পাঁকে।
আকাশ পানে পিছন ফিরে,মনটা করে ঘুঘুর বাসা,
ডোন্ট কেয়ারের মন্ত্র শিখলে চলবে জীবন মস্ত খাসা।
আয়না দেখে মূল্যবোধ আঁতকে ওঠে আজ,
তার চেয়েও যে হয়েছে দামী,নাদুস পেঁয়াজ।