গাছের শিকড় গুলো দেখেছ?
আলো বাতাসহীন অন্ধকার গহ্বরে
নিরলস বয়ে নিয়ে প্রান-রস,
পুষ্ট করে নিরন্তর বনস্পতিরে
ফুলে, ফলে, নব কিশলয়ে।


নব বসন্তের দক্ষিণা বাতাস
শিহরণ তোলে বনস্পতির শরীরে মনে;
দূর দেশের কোকিল-বন্ধু আসে
রূপসী বনস্পতিকে আলিঙ্গন করে
কু-হু সুরে গান ধরে।


সেই সুরের এত টুকু হিল্লোল,
সেই বসন্তের বিন্দুমাত্র বর্ণছটা
সেই প্রান জুড়ান দক্ষিনা বায়;
বর্ণহীন শিকড়ের অন্ধকার গুহাদেশে
একেবারে অজানাই থেকে যায়।


দিন কাটে, কাটে মাস,বছর
শাখা,প্রশাখা,অপত্য-সুখে
বনস্পতি একেবারে বিস্মৃত হয়,
অন্ধকার খনিগর্ভে নিমজ্জিত থেকে
কেও আজও তাকে লালন করে যায়।


আমি বুকে পাথর বেঁধে নিমজ্জিত হলাম
তুমি উজান স্রোতে নাও ভাসাও।