লাঙল ছেড়ে রাজপথে নামার সময় নেই কৃষকের
শ্রমিকেরা ব্যস্ত যে যার কারখানায় কলের চাকা ঘোরাতে।
এইসব কৃষক-শ্রমিকের রক্তে কেনা একটি পতাকা
সবুজ প্রান্তরের বিশুদ্ধ বাতাসে উড়ন্ত দেখে
খুবলে-ছিঁড়ে খেতে এসেছে- পায়ে হাঁটা শকুনের ঝাঁকে।
দলে দলে দলাদলিত এইসব শকুনকে মানুষ ভেবে
ভুল করছে খোরমা খেজুরখেকোরাও।
শকুন শিকার করতে আসা কাক শিকারিদের বন্দুকের আওয়াজে
ঘুম ভেঙে যাচ্ছে অনাগত শিশুর
কাঁদানে গ্যাসের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে তার।
বারুদ আর লাশের পোড়া গন্ধ মুছে ফেলছে
কোনো কোনো শকুনের ডানার তলায় মাখা-
পেনসিলভানিয়ায় বানানো কশ্মিরি আতরের ঘ্রাণ,
আর কোনো কোনো শকুনের বগলে মাখা
দিল্লিতে বানানো কাশ্মিরি পারফিউমের সুবাস।
আমি লাঙল হাতে রোদপোড়া কৃষকের কৃষকসন্তান
আমি কারখানার কল ঘোরানো ঘামঝরা শ্রমিকের শ্রমিকসন্তান
বাদুরের মতো ঝুলে থাকি জীবিকার বর্শিতে
আমার কাঁধে পা রেখে হেঁটে যায় প্রভুদের বিজয় উল্লাস
আর প্রভুদের পাহারারত পেয়াদার পায়ের আওয়াজ...