সমুদ্রের জলের গায়ে লেগে থাকে ভেজা ভেজা লবণাক্ত মায়া। ঝিনুকের থেকে পালাতে গিয়ে একসময় উলটো দানে ঝিনুক বুড়ি ছুঁতে ছুঁতে আমাকেই হারিয়ে দিল। সৈকতে বইছে চৈতালী হাওয়া। আমার মৎসকন্যা হতে মন, চোখ, ঠোঁট চাইছে। ছেলে সমুদ্রে জাল ফেলবি? ফেলবি তো?



ধরো, মৃতজীবিদের মেরে গাঙুর ভুলে
   বেহুলা সমুদ্রে ভাসালো ভেলা।
আরো ধরো, লখিন্দর-এর শবের সাথে
জলকেলি করেই তার ডুবল বেলা।


লহিন্দর তো সুপুরুষ।সুযোগ লুটে নে বেহুলা।
সমুদ্র, তুই আঁধার রাতে হয়ে ওঠ,
          কোন প্রাগৈতিহাসিক গ্রীক রাজপ্রাসাদ।
নির্বাক থামের পাশে বেহুলা ছুঁল লখিন্দরের ঠোঁট।


জানো, আমার বহুদিনের সাধ
আমি বেহুলা হব।
কী বলছ? বেহায়া?
...আমি বেহায়া হব।



সামুদ্রিক ডাক এল বাঁশিভর্তি ডিপ্রেসনের সুরে।
হাওয়া বইল আণুমানিক খ্রীঃপূঃ ৫০০ এর।


    দূরে কোথাও একটা মিষ্টি যন্ত্রণা মায়ার জড়াচ্ছিল,
                                       খাচ্ছিল কুরে কুরে।



সামুদ্রিক অভিশাপে
ছেলে, তোর মন জুড়ে কি সুনামী ?
দেখে নিস, অভিশাপের আর্ধেক ভাগ
             নেবোই নেবো আমি।



সামুদ্রিক যুগে নেমেছি আমি।
বাকি পৃথিবীর বৃত্ত ছোট হতে থাক।
আজ ঢেউ নিয়ে যাক পরিসীমার বাইরে,
রিংটোনে বাজুক-
"তু জো দরিয়া মে উতড়ে...
                সারা পানি গুলাবি।
তল্লি তল্লি দিল লহেরে,
মছলিয়া ভি শরাবি।"
আজ রাখঢাক সব মুছে যাক



এই যে শুনুন, আপনাকে বলছি,
আমি আপনাকে ভালবেসেছি।
আপনার সাথে সমুদ্রে নাবতে চাই একবার।


ঠিক আছে;আপনার যখন সময় নেই আমাকে দেবার;
আমি একলাই যাবো
ঝিনুকে ঝিনুকে আপনার নাম কুড়োব।



সমুদ্রে পা রাখলাম যেই,
প্রথমত, স্বপ্ন কামড়ে দিল কান।
দ্বিতীয়ত, তোর ঠোঁট ডাকল বাতাসে বাতাসে
তৃতীয়ত ও সর্বশেষে, সেন্সরবোর্ড করল ব্যান।


*** একটি পুরোনো কবিতা।