আমি প্রতিদিন ভোরে নতুন করে জন্মায়!
জন্মের পর পর আমার চারপাশে ধ্বনিত হয়
মসজিদের মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি।
অন্ধকার ভেদ করে জেগে উঠে আলো,
পাখির কিচিরমিচির কলোরব আমাকে
অভ্যথনা জানাই, নতুন প্রভাতের আলোয়।
বাতাস বয়ে যায় গাছের মগ ডালে ডালে,
আদরের পরষে কৃষকের ফলানো গাছে গাছে।
আমি প্রতিদিন দুপুরে একটি নতুন কিছু শিখি!
সমতল পেরিয়ে পাঁহাড়, পাঁহাড়ের উপর আঁকাশ,
আঁকাশ কখনো নীল, কখনো সাদা,
কখনো কখনো কালো মেঘ, মেঘে মেঘে থাবা,
একটি বিদ্যুৎ, একটু আলো, একটি গজন।
আমি প্রতিদিন বিকেলে একটি হাঁসি দেখি!
স্কুল শেষে বাচ্ছাদের ঘরে ফেরার মিষ্টি হাঁসি,
কৃষাণীর লেবুর শরবত হাতে অপেক্ষায় কৃষকের হাঁসি,
রাস্তার শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা দরজায় মা’য়ের হাঁসি।
আমি প্রতি রাতে ঘুমায়, মৃত্যুকে বরণ করে নয়!
কারন আমার মৃত্যু নেই, ধ্বংস নেই,
আমি প্রতিদিন জম্ম গ্রহন করি-
নতুন আলোয়, মা’য়ের হাঁসিতে, বধুর গরম চা’য়ে,
সন্তানের আঁদরে, পাখিদের কলরবে।
আমি অমর, চির ভাস্মর, সুন্দর! সুন্দর!