দু'চোখে ভাঙ্গন নিয়ে দুয়ারে দাঁড়িয়ে দুঃসময় -
স্বপ্নের নিভৃতে তবুও প্রায়শই স্বপ্ন নিয়ে,
জলের ভেতর জল পতনের শব্দ নিয়ে
ব্যর্থতার গ্রহণ লাগা জীবনের ঘোরতর অসময়ে,
ভয়াবহ তুমুল খরায় তবু আসে প্রেম।


এই ঘোর দুঃসময়ে দ্বিধাগ্রস্থ দাঁড়িয়ে থাকা আমায়
নিয়ে যাচ্ছো তুমি স্মৃতি-বিস্মৃতির প্রান্তর পেরিয়ে
সব বর্বর, সব অশ্লীল চিৎকার পেছনে ফেলে
অজানা এক ভালোলাগার দুয়ারে,
অদ্ভুত এক প্রেমময়তায়।


আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো অনিশ্চয়তার সামনে,
আমাকে তুমি করে তুলছো তৃষ্ণার্ত।


এই ঝিম দুপুরে দুঃখ আততায়ী নয় তবুও
কেন ধূসর ক্যানভাস জুড়ে কেবলই মৃত্যুর রঞ্জক?
ঘোর লাগা মনে নির্জনতায় পা বাড়াতেই দেখি
লুট হচ্ছে স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, একটি লাল গোলাপ।
খেয়ালী পাতার চিবুকে রক্তের দাগ দেখে
শরীরের রক্ত দীপ্ত তেজে মাতে, বিপ্লবী হয়ে ওঠে মন,
দ্রোহের মন্ত্র বেজে ওঠে প্রতিটি শিরায় শিরায়।


নীলপদ্ম দুর্লভ হলেও জেনে রেখো
আজও শেষ হয়ে যায়নি বিপ্লবের দিন।
কানে বাজে চে গুয়েভারা'র সেই অমর বাণী -
" হাস্তা লা ভিক্তোরিয়া সিয়েম্প্রে।"
বিপ্লবের সাথে প্রেমের বিরোধ নেই, তবে ক্ষতি কি
দ্রোহ আর ভালোবাসা যদি হাত ধরে যায় পরস্পর।


আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো অনিশ্চয়তার সামনে,
আমাকে তুমি করে তুলছো তৃষ্ণার্ত।


বিচ্ছেদ চাও যদি তবে আমি চাই
আমার সমস্ত অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে আমাকে
মিশিয়ে দাও তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে, চোখের পাতায়,
হাতের তালুতে, কপালে, তোমার এলো চুলে।
নয়তো চলে এসো তুমি ফাল্গুনের শাড়িতে
বসন্তের ঢেউ তুলে আমার স্বপ্নের মতো চিলেকোঠায়।