ছোট্ট একটা জীবন
টেনে টুনে দশেক পাঁচ,
বেশি হলে একশ কুড়ি
কিংবা আরো কম।
ছোট্ট একটা জীবন
যদি কেটে যায় ভয়ে ভয়ে
সংকোচে দ্বিধায়,
যদি ভয়ের প্রাচীর তুলে চারিপাশে,
করি বসবাস,
কি করে চলবে বলো?
কি করে সমুদ্রের গহীন জল ছুঁইব?
কি করে অজানাকে জানবো?
ছোট্ট একটা জীবন,
যদি প্রিয় হাতটি ধরে
জানা থেকে অজানা
দাপিয়ে ই না বেড়াতে পারি,
কোন জন্মে আর তা পারবো বলো?
তোমাদের যত পরিকল্পনা দুঃখ এড়ানোর,
যত ভাবনা সব জীবন বাঁচানোর,
যত ভয় সব সুখ হারানোর,
তবে কি জানো?
যদি ভয় পাই জীবন থেমে যায়,
যদি ভয় পাই সব হারিয়ে যায়।
ভাবতেই পারো চোখে আমার রঙিন চশমা,
তবু সুখ পাই ভয় না পাওয়াতে,
সুখী হই ডাল আর ভাতে।
যদি একটা মন পাই
মনটা রাখার মতন,
যদি একটা চোখে
সুখ গেঁথে নিতে পারি,
যদি একটা হাতে হাত রেখে
ছেলেমানুষ হতে পারি,
কুঁড়েঘরেও সুখ আসতে পারে।
তোমরা বলো সেরা কিছু বেছে নিতে,
বলে দাও সুখী হতে প্রাসাদটিকে নিজের করতে।
আমি দেখি কতশত প্রাসাদ কেও গুড়িয়ে পড়তে
আমি জানি প্রাসাদ হলেই মন টিকবে এমনটা নয়
দমবন্ধ হয়ে আসতে ও পারে ও প্রাচীর মাঝে।
যদিও তা-ই সেরা তোমাদের কাছে।
অথচ কেউ যদি ভালবাসে কু্ঁড়েঘর,
তোমরা নাক সিট্‌কাও
আমি দেখি সেইখানে নিজের তৈরি একটা ভবিষ্যত স্বর্গ কে।
হয়তো একদিন সত্য হবে
ঠিক ঠিক গড়ে ই নেওয়া হবে হয়তো বা,
ভবিষ্যত তো তোমরা জানো না।
আর যদি তা নাও হয়,
প্রাণ ভরে শ্বাস নিবো, হাসবো আর গাইবো।
নয়তো বা হঠাৎ ঝড়ে কাঁদতে ই পারি
প্রাসাদ ও তো ভেঙে পড়তে ই পারে!
জীবন পথটা তো অজানাই থাকে
তাই বলে ভীত হতে বলবে?
ভয়েতে করবে বাস?
ছোট্ট একটা জীবন তবে কেটে যাবে
কেটে যাবে মলিন ধূসরতায়।
যেখানে কোনো হলদে কমলা রঙ নেই
নেই ছড়ানো ছেটানো ছোট বড় রঙিন কাগজ টুকরো,
নেই নীল কিংবা কালোর কোনো ছোঁয়া।
শেষ বেলায় হুতাশ করো না যেন!
বলো না,
'এই একটা জীবন কি করলাম?'



২৩/১১/১৬