ছোট্টবেলার সেই বাড়িটা
হাসি কান্নার মেলা
আজ মনে করে সেই অতীত
কাটে বিষণ্ণতায় বেলা ।
ভীষণ ভোরে চুপটি করে
আকাশ দেখা হতো
খুব জ্বলজ্বল স্নিগ্ধ শিশির
মন নাচিয়ে দিতো ।
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে পায়ে
সিঁড়িগুলো পার হয়ে
গাছ ঝাকিয়ে,ফ্রক ভরিয়ে
শিউলি আসতাম নিয়ে ।
হরেক খাবারের বিনিময়ে
গান শোনাতো পাখি
মুচকি হেসে বারান্দায় বসে
চলতাম মালা গাঁথি ।
বাড়লে বেলা মাঠের পাশে
খেলতো ছেলে মেয়ে
একলা আমার সঙ্গী হতো
খেলনার বিনিময়ে ।
উপর তলায় থাকতো একটা
ছোট্ট পাজি ছেলে
রাগটি হলে,লালটি চোখে
'বেয়াদব' উঠতাম বলে ।
ভাব ছিলো খুব,পাশের বাড়ির
তিন বোনেদের সাথে
খুনসুটি আর হাসাহাসি সব
আজো মনে গেঁথে ।
নিচের তলায় থাকত এমন
বন্ধু কত ছিলো
সময় স্রোতে কে জানে
কে কোথায় হারালো ।
এবার আমার কথা বলি
মনটি দিয়ে শোনো
একলা মেয়ের খেয়ালী মনের
ছোট্টবেলা জানো ।
দীর্ঘ কিছু শান্ত দুপুর
ব্যালকনিতে বসে
পরীরা স্বপ্ন নিয়ে আসতো
আকাশ থেকে ভেসে ।
আকাশ দেখার পাগল ছিলাম
এখনও আছি বটে!
গাছের সাথে ভাব ছিলো খুব
রয়েছে মানস পটে ।
কুকুর , বিড়াল,পিপড়ে ছিলো
ছিলো হরেক পাখি
হয়ো না অবাক
এদের সাথেই ছিলো মাখামাখি ।
মিষ্টি বিকেল উচ্ছলতায়
খেলাধূলা ছিলো
বাদরামী আর দুষ্টমিতে
দিন কত পেরোলো ।
নিঝুম রাতে চাঁদের আলোয়
উদাসী গান গাইতাম
মুগ্ধ চোখে দেখে দেখে
জোনাক হতে চাইতাম ।
জোনাক হাতে বসেও ছিলো
ভুলিনি এখনও আমি
কাঁশের বনের জোনাক হতে
চাওয়াটাই ছিলো দামী ।
অবাক চোখে তারা দেখতাম
মনে ছিলো কত প্রশ্ন
এই আমি আজও ভুলিনি
হেসে সব ভাবি এখনো ।
মেতে উঠতাম ভীষণ ঝড়ে
নাচ আর গানে
মেঘের ডাকে চমকে হারাতাম
মায়ের বুকের ঘ্রাণে ।
বাবার বুকে গল্প ছিলো
মায়ের বুকে স্বর্গ
আজো আছে এসব আমার
এইতো আমার গর্ব ।
অবাক হয়ে খেয়াল করছি
আজ থামতে পারছি না
জীবনের গল্প লেখার
নেই শেষ,নেই মানা !
খুব হয়েছে,আজ আর না
এবার বিদায় জানাই
বাকিটা না হয় অন্যদিনে
ভালো থেকো সবাই! ^_^