নেমে এলে পাখিরা
ডানা ঝাপটিয়ে নীড়ে ফিরে।
তুমিও ফিরছো হয়তো তোমার বাসে।
যখনি বিকেলের গুধুলিময়
সময় গত হয় ভুলিনি সেথায়
আমার বিকেল তোমার আশে।
বিষন্ন মন টা হেরে যায় তার রুপের সান্নিধ্যে।
বলে সে পাশের ডোবায় ব্যাঙ এর
ডাক শোনতে পাও কি আগের মত?
যখন বৃষ্টি নামবে বলে।
এগিয়ে গিয়ে দেখা হয়নি কেন
দক্ষিণা বাতায়ন এত স্নিগ্ধ এত মোহময়।
প্রকৃতি তার সাজে সেজে মুগ্ধতা ছড়ায়।
আর আমি আমার ঝলসে যাওয়া
চুলের খোঁপা খোলে দেই।
সে বাধঁনহীন উড়ে বেসামাল
হয়ে চোখে মুখে পড়ে।
সরিয়ে দিতে ইচ্ছে বাঁধন কাঁচের চুড়ি ভাঙে।
রিকসায় হুট নামিয়ে লাল টুকটুকে শাড়ি,
একগুচ্ছ কাঠবেলী ফুল  খোঁপায় গুজে
আর কালো একটা বড় টিপ।
বেমানান লাগবেনা নিশ্চয়।
তোর জন্য মাতাল হাওয়া বইবে যখন।
উড়ে চলা দিক বেদিকের সংগে নিবি তখন।
আমি বৃষ্টি ঝড়া বর্ষা বিকেল হলে।
তুই হেসে হেসে গড়াবি চোখে
হাজার স্বপ্নে বিভোর ।
তুই একলা হলে আমি ভিজব না নীলে।
তুই কাঁদলে আমার,ভীষণ খারাপ লাগে।
আমি ঝাপসা চোখেও তোকে আগলেছি।
নিজের মতন,তোর মায়ায়,
তোর ছিন্ন সে কোন ছায়ায়
আমি হেরে যাবো বারেবার।
তবুও ডাকবি এত কাছে
হয়েও তুমি কোথায়
তুমি কোথায়।
আমি লুকোচুরি খেলায়,
তুই আসা যাওয়ার বেলায়।
আমায় আগলে রাখিস তোর বাহুডোরে।
সব তোর তরে,সবি তোর তরে।