♦♦


বাংলা কবিতার আসরের সম্মানিত কবি লেখক পাঠকবৃন্দের মধ্যে,
সম্প্রতি প্রবাহিত ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আক্রান্ত কেউ থেকে থাকলে তাদের জন্য সমবেদনা এবং সহমর্মিতা জানানোর জন্য এই লেখাটির অবতারণা....
নিরাপদ সুস্থ থাকা বাকি সবার জন্য নিরন্তর শুভকামনা....


গত ২৪ অক্টোবর,২০২৩ ইং ১৯ঃ২০ মিনিটে, কবিতার আসরে
'উঠোনের কোণে কোণে' নামক একটি কবিতা প্রকাশ করি।
কাকতালীয় হলেও কবিতাটিতে বহুমাত্রিক রূপকের অংশ হিসেবে কার্তিকের ঝড়ের কিছু দ্ব্যর্থবোধক চিত্র রূপায়িত করা হয়েছিল।
স্বভাবতই যাত্রাপথের অবসরে বসে বসে আসরের কিছু কবিতা পাঠ করছিলাম, পেশাগত দায়িত্বের বাহিরে ব্যক্তিগত কিছু যোগাযোগ এবং কার্যক্রমও সম্পন্ন করতেছিলাম।
ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' এর পূর্বাভাস এবং নিয়মিত পর্যায়ক্রমিক তথ্য সংগ্রহ করতে করতে সম্ভাব্য আঘাত হানা এলাকা এবং পীড়িত মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করতে করতে বিষন্ন হচ্ছিলাম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,দুর্যোগ পরবর্তী  মোকাবিলা এবং পুনর্গঠন সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে মন যখন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিলো তখুনি অকস্মাৎ প্রবল ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেলো।
বাধ্য হয়েই, যাত্রাপথের গাড়ি থামিয়ে কক্সবাজার জেলাধীন শহরতলীর একটি
স্থানীয় হাট (বাজার) খুপরি দোকানে আশ্রয় নিই।
- তারপর টানা ৯০ মিনিটের এক প্রত্যক্ষ তাণ্ডবের সাক্ষী হয়ে রইলাম।
এই লেখা প্রকাশ করা পর্যন্ত এখনো চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ সম্ভব হয়নি বলে মনে করি।
ব্যক্তিগতভাবে আমার শখের সবজি এবং ফলের বাগান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আবাসিক ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন, মুঠোফোন ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা, বিকল্প ব্যবস্থায় সীমিত বিদ্যুৎ এবং অন্তর্জালের সুবিধা ব্যবহার করছি!
কোনো কোনো এলাকায় এখনো রাস্তাঘাটে পতিত গাছ বিদ্যুতের তার খু্টির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক বিঘ্নিত হয়ে আছে।  


পাঠকের সুবিধার্থে
প্রকাশিত সংবাদ হতে সংগৃহীত কিছু অংশ উল্লেখ করা হলো।  

"ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের ৫ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বহু ঘরবাড়ি ও গাছপালা। প্রশাসন বলছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সময় লাগবে। পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।"

"ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনও কক্সবাজারে মোবাইল ফেনের নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় কাটেনি। জেলার বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এছাড়াও দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ না পৌঁছানোয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন।"

"মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর,২০২৩ইং) রাতে কক্সবাজারে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় “হামুন”। মাত্র ৯০ মিনিটের ব্যবধানে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কক্সবাজার শহর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও চকরিয়াসহ আশপাশের খুটাখালী মেধা কচ্ছপিয়া  এলাকা। অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে সড়কে। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক।
এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন খুটাখালী মেধা কচ্ছপিয়া বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ায় খোলা আকাশের দিকেই তাকিয়ে আছে অসংখ্য আক্রান্ত মানুষ।"
★★★
পরিশেষে বলতে চাই -
এই প্রচণ্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগে,
কক্সবাজার জেলায় অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত, আমাদের বাংলা কবিতার আসরের সম্মানিত কবি লেখক পাঠক শুভানুধ্যায়ী  প্রিয়জনদের মধ্যে কেউ থেকে থাকলে মন্তব্যে জানানোর জন্য আহ্বান করছি।
সর্বস্তরের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গভীর সমবেদনা এবং সহমর্মিতা জানাই।
এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠার মানসিক শক্তি অর্জন হোক সবার।


মহান প্রতিপ্রালকের অশেষ দয়ায় নিরাপদ থাকা সবার জন্য শোকরিয়া এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


শুভকামনা সবার জন্য...