>><>|||||ΠΠΠ........


প্রথার পণের কথা প্রীতির শরণ লিখে
- পাতাঝরা গান গেয়ে হেঁটেছি ধীরে;
থামেনি ক্ষয়ের নৃত্য অক্ষর ভৃত্য যাত্রা,
ঝরাপাতা ঝরে গেছে নিয়মের পথবাঁকে!  
হেলায় পড়ে'নি যারা শব্দ গভীর প্রাণ;
মেনেছে খেয়াল বেলা বরণ আবীরে,
জন্মখেলার নাঙ্গা ভেলায় আপ্রজন্ম মাত্রা!
- চোখের সাথে কানের ঘৃণ্য সহমরণ,
নিষ্ফলা গাছমেলা ফুলহীন শাখা দোলা |

বাক্যনদীর রাঙা ঢেউয়ের তালে;
ভাঙাগড়ার ডাঙা জুড়ে প্রবল উচ্চারণ,
সেখানে শোনেনি যারা সবল সুরের টান
- মানেনি বন্ধন বাণী শান্তিও শপথে,
সমান সমান হয়েছে তাদের কর্ম মান!
মৃত্যু এবং ঘুমের মাঝে একক নামে
রচিত যতো ধুম্রজালের প্রলুব্ধ ইতিহাস
- বারণ মানতে কারণ খোঁজেনি ওরা,
বিনাশী ভ্রান্তে ডুবেছে অভ্যাসী প্রাণদাস |


অ-নে-ক বলেছি মানতে নিয়ম;
ন্যায্য কথন অনিবার্য সত্য এবং সাদা,
গোরস্থানের রাজ্যপুরীর নিত্য কসম
- এখনোও যাচ্ছি একইরকম বলে,
এড়িয়ে যাবে যাও মাড়িয়ে যেওনা ধ্রুব!
যেতেই পারো শ্মশানপ্রেমিক বিষম,
ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি খোঁড়া চলে
- মাখতে থাকো আরো নষ্ট ভূমির কাদা,
কমতি হালের জলে ঠাঁই বিনষ্ট তলে |


তা-ই বলে কি বৃথাই বসে থাকা;
ভেবোনা কলম হারিয়ে যায় ভিড়ে,
কথায় রত লেখায় ব্রত মূর্ত ছবি আঁকা!
সময় সুতোয় গেঁথে ভাষার মণিমালা,
দেখছি হাজার আঁকছি শত পাতার শিরা
উপশিরায় দিচ্ছি বেঁধে ঋদ্ধ সুষমা!
যুঝবে যখন শুদ্ধ নিখোঁজ যুদ্ধনীড়ে
- সাধ্য চরণ পেতে সঠিক ধরণ ধারণ,
মানুষবনে তখন খুঁজবে স্মরণ প্রভা ||


=><>>||©আগুন নদী©||<<><=