~


..... অনন্ত জমিনের কোণে,  
সহৃদয় হতে চাই নির্দয় প্লাবন হারা!
যেখানে পড়েনি বৃথাই কামিনের ঘাম,
ঝরেনি মজুর কুলির এক কণা রক্ত!
সেখানেই যেতে চাই মজদুর আমি,
     কীভাবে যেতে হবে জানা নেই
     জানি যাওয়াটা দরকারি খুব।
গড়ে দিতে মর্মের বন্ধন দামী;  
কর্মের সম্মানে নিষ্ঠার প্রতাপেই,
   শ্রমজীবী ধর্মতে লিখে দিয়ে নাম  
- চিরজীবী করে দিতে সাম্যের উৎসব |


বাড়ন্ত আগাছার বনে .....
চতুর শেয়ালকাঁটা সুচতুর ভাবধারা!
যেখানে ঢেকে গেছে বোধের পর্বত চূড়া,
উর্বর ভূমির বুক হয়ে গেছে শক্ত!
মানবিক প্রেমিকের শোকার্ত মুমূর্ষু হাতে,  
     কেটে সাফ করে দেবো ঘন জঙ্গল
     শ্রমিকের শ্রম পাবে নৈতিক মূল্য।
ষোলআনা প্রাপ্যের দায়দেনা খাতে;
ঠগের দাসত্ব মোড়া দাসখত দঙ্গল,
  প্রতিহত করে দিয়ে পুঁজিপতি ঘোড়া  
- সমমনা সমমান এনে দিতে তুল্য |


........ পড়ন্ত জীবনের ক্ষণে,
সচল কারিগরে কেন অচল জীবন জরা!
নিদারুণ পাচ্ছে যারা অযত্ন অবহেলা,
ভুবনের উপভোগে বিষণ্ণ অভুক্ত!
বল ক্ষয়ে গড়েছে তারা সবল আসন,
     তাহাদের খুঁজে খুঁজে এক করে
     আমার মস্তক নুয়ে চরণ ধুয়ে দিয়ে।
ঘোষণায় জুড়ে দেবো সত্যের ভাষণ;
কর্মবীর সেরা ওরা কভু নাহি মরে,
  মনোরম ধরণীর রাঙিয়ে দেবার বেলা  
- দেহের বিনাশ প্রাণের প্রয়াণ দিয়ে ||
________________
©আগুন নদী© হংকং ।২০১৭।
বিন্যাস: দূর অন্তমিল / ত্রিধারা
________________