ফাল্গুনির নৃত্য মানেই কবিতার সারাংশ নয়
গল্পবিশ্রুতির সময় গলে পড়ে মুহূর্তের ভগ্নাংশ
জোড়া মুক্তোর ঝিনুক খোলে কখনো!
মহাকালের দরজায় নগ্নপদ আগন্তুক-
অনেক অপমৃত্যু সমেত অপহৃত উপসংহার টানে
উষ্ণতার নিরিখে অস্থিরতার দোলে;
ঝুলে থাকে অসংখ্য ভালোবাসা এবং চৈত্রদিন!
মেরুগন্ধ লেগে থাকে;প্রেমিকের মণিবন্ধে
হৃদয়ের কণিকায় মেশা সহস্র বসন্তের লাশ!
-মৃত্যুপরম্পরার ক্লান্তিভরা পাণ্ডুলিপির অক্ষর।


বৈশাখীর মহাইতিহাসে বড়ো বড়ো আকাশ
সিন্ধুর বন্দরে ছিন্ন ঝড়ের ছায়া!
পটভূমি মিশে গেলে আষাঢ় শ্রাবণ জলে
নতমুখী ভাদ্রের শুভ্র মিছিল শুরু-
আয়ুপর্বের সবকটি শরতের দ্যুতি মায়া
ভ্রুকুটি হানে তাতে শিশিরের ঝরা স্বর!
আশ্বিনের জটিল মেঘে;নীলতারা ঢেকে যায়
জলের রঙের ভেতর রক্তিমসাগর জাগে
অমেয় আলোয় হেঁটে দীঘল সূর্য উঠে
-তবুও শোনা যায় নিঃসঙ্গ বন্দীকথন।


পুরাতন গ্রহ তবে পাথরের মতো হবে!
শতাব্দীর অশান্ত কিনারায় প্রশান্ত শব্দের অভাব
রুগ্ন ফোকরে বসে হেমন্তের গান!
কার্তিকের ক্ষয়িষ্ণু মর্ত্যে;কমলারঙের বিকাল
অকালে কেঁদে ওঠে অঘ্রানের গোলচাঁদ!
করুণ আশ্বাসহীন দারুণ নিশ্বাস গুনে
শীতের ভীতি সহা পত্রপতন শেষে-
নদীজলের স্বচ্ছ কোলে দিবারৌদ্রের ঢল হয়ে
গল্পকাব্যের ছলে রচিত বাক্যের প্রভাব
- সালঙ্কার হবে কবে সার্থক সর্বজনীন।