. ♦♦ .


শ্রাবণের গান শেষ হলে;
যাযাবর ঝড়ে ভেসে সামান্য শীত!
আর কোনো আহ্বান বাকি নেই বলে;
দরজায় খিল দিয়ে ঘুমায় যারা,
তাদের কীসের তাড়া,
মিলিয়ে যায় কেন,পড়ে কেন সরে!
সময়ের সেতারের সুর গলে গলে
তখনো অনেক দূর গ্রীষ্মের সংগীত |


নিপুণ মায়ার মতো;
শরতের তারাদের জেগে থাকা নৃত্য
বাতাসের ওপরে ভাসা দ্বিধাহীন আকাশ,
বেগুনি মেঘের ছায়ায়;
একাকী হেঁটে যাওয়া রাতের সর্বশেয!
অনেক শস্য সুবাস; দীর্ঘ দুপুর
সোনালি হেমন্ত পাড়ি,
ধানী রঙ শাড়ি পরে মধুভাত কৃত্য |


তাহাদের বলে যেতে চাই
তিমিরবরণ ঘুমে আবছা স্বপন!
আলোছায়া দেখে যেতে অবকাশ নাও
বনফুল মেঠোপথ ঘাসে;
মায়াময় গল্পের আবেশ,
মুগ্ধ কবিতারেণু,লুকানো নিশ্বাসে
পৃথিবীরে ভালোবেসে-
শোভন জ্ঞানের বীজ কর হে বপন |


খুলে নাও জড়োয়া নকল;
চিরতরে ভুলে যাও বন্ধকী দোকান,
জয়ের জীবন খানি ভয়ের মতো কেন!
থামিয়ে যান্ত্রজীবন;
নিজের মনের মন্ত্র বারবার পড়ো,
জহোর জড়ানো দ্যাখো -
ছড়ানো মণিমালা রত্ন সমাবেশে
উঁচুশির সৌধে গড়ো সুবর্ণ সোপান |


.......©.......
@ আগুন নদী