দুর্বল ছিলাম; মুখ খুলিনি;
স্রষ্টা দ্যাখেছেন শুধু সয়ে গ্যাছি।
একটা চাকুরী, এক টুকরো রুটির লোভে
জীবনবিমুখ ছিলাম।
আশেপাশে কতো চিৎকার-শীৎকার
সন্ধ্যের বাতাসে গুমরে উঠতে দ্যাখেছি
বৃক্ষের ঠোঁট।
এক শতাব্দী পিছিয়ে নিয়েছি,
গুটিয়ে নিয়েছি নিজের ভেতর নিঃশব্দে
অসংখ্য দ্বিপ্রহর।
টুটে যাওয়া পেণ্ডুলাম সময় দিতে জানে না।
শুধু থামিয়ে দিতে জানে বাবার অসুখ
ইতর ধুলোর মতো পায়ে জড়িয়ে থাকে সাবলীল আনন্দে
ক্ষতবিক্ষত আয়ুরেখা ঋতুর চোয়াল বেঁয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে খায় পৈশাচিক নৃত্যে।
করুণ হৃদয় পাহাড়সম বেদনা হাতে
ধূসর নির্বাসনে
বহু ক্লান্তি কুঁড়িয়েছি
ঠিক অসুখের সমুদ্রে হিমালয় ডুবে গ্যালে
যন্ত্রণা যেভাবে পরিপুষ্ট হয়!
চিলেকোঠায় মুখ লুকিয়ে এক আষাঢ় থেকে অন্য আষাঢ়
নিশ্চুপ কর্তব্যে নিবন্ধ ছিলাম।
মনের ভিতর একটা মন
আকাশ হতে বহুদূর একটু মাটির ঢিবির ওপর বাস।
পায়ে হেঁটে নবীন শহরে রক্তের মতো অজস্র লাল ফুটিয়েছি অলিন্দে-অলিন্দে।
সখ্যতার ভিড়ে ঠাঁই হারিয়ে বোঝে ওঠা সম্ভব হয় নি পলিথিন মুখ।