তারপর কেটে গ্যাছে এক অযুত বছর
সময় ছিনিয়ে নিয়েছে তারে,
দিগন্তের পথে।
অনুভূতির শিকল ভেঙে সে হেটে গ্যাছে সমুদ্রের সান্নিধ্যে
বহু ক্লান্তি কুড়ায়ে যে এসেছিলো
বসন্তের আয়োজনে।
অথচ, ঝরা পাতার ভিড়ে ক্ষয়ে গ্যালো দৃপ্ত বিসর্জনে।
শূন্যতার উপকণ্ঠে বিচলিত ঠোঁটের কথা-
বলে গ্যাছে স্রোতস্বিনী স্বর।
দাঁড়িয়ে দেখেছি ম্লান চাঁদের আলোয়,
খেলা করে যেতে বিহ্বল চোখ।
শহরের দ্বারে আলো জ্বেলে রেখেছি
বিনিদ্র থেকেছি টিকটিকির মতো।
দূর থেকে ভেসে আসা চঞ্চল ছায়ায়
খুঁজেছি বর্ণিল অভিপ্রায়।
পৃথিবীর আয়ুরেখা ধরে সময় পালিয়ে গ্যাছে আরো দূর নক্ষত্রের দেশে।
সবুজ মাঠের পরে ফুড়িয়ে গ্যাছে তৃষ্ণার আভাস।
তারে দেখেছি আমি
কৃষাণের ঘরে।
ধান ভানিতেছে ভীষণ সুখে।
নদীপথে এঁকে যাওয়া বাড়ির কোণ
জল নিয়ে ঘরে ফেরা যুবতীর মতোন।