রাত শেষে যদি ভোর না নামে চোখের কোটরে।
মৃত নক্ষত্রে ভেসে বেড়ানো আমার আত্মা যদি শব্দহীন আসে-
পৃথিবীর আধারে।
তবে তোমাকে কবিতায় আঁকতে আর কোনো বাধা রইলো না, মুহু।
যেহেতু,
তোমাকে আঁকা জলরঙের প্রথম পরিচয়ে
শুধু গুনেছি চোখের কান্তি, মুখের অবয়ব।
সমুদ্র সাঁতরে ভাবনা প্রহর গুটিয়ে-
বসি হেমলকে।
যদি অজানা ঋতুতে আবৃত্তি করতে পারি আমার যাবতীয় দুঃখ।
হৃদয় অনুভবে তুলে ধরতে পারি যন্ত্রণা-ব্যথা।
তবে কল্পনার ছুটি দিয়ে রঙ কুড়োবো।
অনিদ্রায় রাতে ভেসে-
মুহু চলো অমাবস্যার খেয়ালে হারাই আমাদের পরিচিত গলিতে।
সকাল গুলো বয়ে আনুক আমাদের নির্মম দেহাবশেষ সুদূরের ভাগাড় থেকে।
যে রাস্তা খোয়া গ্যাছে মনের অতীতে-
ব্যস্ত শহরে পিছিয়ে পরা দিনের আলোয়;
ভাগ্যিস আমার নিজস্ব কোনো চাঁদ নেই।
যেহেতু
আলোতে কোনো বোধ জন্মে না আমার!
বুক পকেটে প্রার্থনা রেখে ঈশ্বরকে ডেকেছি আমাদের প্রেমে।
হৃদ-কার্নিসে সিঁধ কাটা সন্ধ্যায়-
শ্লোগান দেই গণতন্ত্রহীন জনপদে,
অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া মানুষের উঠোনে।
যারা জানে না বিভিন্ন ধরনের অদৃশ্য আকর্ষণ সম্পর্কে।
এবং যেসব বিষয় ওঠে আসে নি মহাকর্ষ সূত্রে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাহীন একধরনের বিশেষ আকর্ষণ যাদের তাড়িত কোরে -
সকাল, দুপুর, রাতে।
ভোরের স্নিগ্ধতায় যে প্রিয় মুখ ভেসে ওঠে স্মৃতিতে
এবং কালক্ষেপণ কোরে কান্নার দ্রুতিতে।
আমরা আর খেলছি না নিয়মতান্ত্রিক পুতুলখেলা!
কারণ আমরা জেনেছি,
মাটির ঘরে, উনুনে, লাশের অভিপ্রায়ে মৃত্যুর বয়স বৃদ্ধি পেলে জেগে ওঠা সম্ভব নয়।