শেষ কবে সকাল দেখেছিলাম মনে নেই!
ভেবেছিলাম,
আশ্বিনের পহেলা সপ্তাহে কয়েকটা সকাল দেখবো কুয়াশার জন্মক্ষণে-
কেননা, ওইসব সকালে পৃথিবীটাকে একটু বেশি পাপহীন মনে হয়।
তাইতো বিস্তীর্ণকাল বেঁচে আছি অপেক্ষার ছাঁয়ায়।
আমাদের দ্বিতল দালানের ঈশানকোণে দাঁড়ালে রোদের সাথে প্রথম প্রণয় ঘটে।
যেখানে নিকট অতীতের ব্যর্থতা ভুলে যাওয়ার উপযোগ বিদ্যমান
এবং যাদের আন্দোলিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।


আহ্লাদের প্রহর গুনতে গুনতে কুঁড়ি বছরে ধরে অভিযোজন ফলাচ্ছি।
যা গাঁথা আছে 'বিকেল হারায় নীলে' নামক কবিতার সংলাপে।


এই নাতিদীর্ঘ পরিসরে জীবনানন্দ ও  ওয়ার্ডসওয়ার্থ'কে সবচে' বেশি চিনেছি।
জানালা খুললে দেখি একজন পেয়ারার ফুলে তো অন্যজন বরইয়ের মুকুলে।
শীতের গন্ধে উদগ্রীব হয়ে তাকাই।
আমারো ইচ্ছে কোরে মরে গিয়ে ফিরতে-
এই শীত-বসন্তের দেশে।


কিন্তু উপাসনালয়ে জেনেছি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার সুযোগ একবার-ই।
দ্বিতীয় কোনো জন্ম নেই।


তাছাড়া,
কি-ই-বা আসে যায় না ফিরলে?
অবশিষ্ট ইছেগুলো পৃথিবীতেই পড়ে থাক না।
গ্রীষ্মের রোদে একটু ভস্ম হোক।
আমি না হয় কবিতাকে নরকে পোড়াই!