উত্তরের জানালা দিয়ে-
আমার ভবিষ্যত শোনাচ্ছেন ঈশ্বর।
আগামী চার বছর আর ভালো থাকা হবে না।
অহর্নিশি ছুটে চলা,অসুখের আহবান সামনে রেখে-
সুখ পৌঁছেছে দুঃখীদের নীড়ে।
বালুকার স্পষ্ট বিভোরতায় সময় হারিয়েছে ব্যথার কাব্যে।


সমস্ত দিনের বিচরণ শেষে-
এই নিয়ে সন্ধ্যাবেলা রঙ চা'য়ের আয়োজন কোরা যেতে পারে।
নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ কোরে একটা উত্তরও পেতে পারি।
হতে পারে সেটা ভুল অথবা সঠিক।


     বস্তুত ক'দিন যা হলো তা আমার স্মরণকালের সবচে' ভয়াবহ অতীত।


এই আমি কখনো পরীক্ষার খাতায় নাম-রোল লিখতে ভুলে যাই না।
অথচ, সেদিন এই নিয়ে পরীক্ষার হলে কম অপমানিত হই নি।
ভরপুর ক্লাসে মাথা কাটা যাচ্ছিলো।
স্যার বলছিলেন, এই মন নিয়ে পড়ালেখার দরকার নেই।
বাস্তবে আমার কি দোষ!
অশুভ সময় হোতে আগত-
অনুভূতির ভ্রুকুটিতে ঠাঁই পাচ্ছি না।


    কুসুমবাগ থেকে কলেজ;
কলেজ থেকে চৌমোহনা;
চৌমোহনা থেকে চাঁদনীঘাট;
গন্তব্যহীন দৌড়াচ্ছি!
সত্যিই কি গন্তব্যহীন?
নাকি অনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে!
ঐগুলো বিষাদ সংক্রান্ত প্রশ্ন।
এই নিয়ে মস্তিষ্কে চাপ না দেওয়াই অধিক যুক্তিযুক্ত।


     তারচে' বরং নিজেকে নির্ণয় করি
অজীবজনী মতবাদে।
আসলে মানুষের জন্ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো সঠিক ছিলো, বিজ্ঞানীদের ভুল ব্যাখ্যায়।
রক্ত সংবহন ছাড়াও হৃৎপিণ্ডের বিশেষ কাজ থাকতে পারে।
কিন্তু তা নিয়ে এ যাবৎ কাল কোনো প্রশ্ন উঠে নি বিজ্ঞান-মহলে।
আচ্ছা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপে যদি মানুষের অনুভুতি দেখা যেত, তবে তা কেমন হতো?
জানি, এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর নেই।
তবুও সাংঘাতিক কৌতূহল জাগে।


     যদি কোনোদিন ঈশ্বরের মুখোমুখি হতে পারি, আমি প্রথমেই জানতে চাইবো-
হৃৎপিণ্ডের অদৃশ্য গঠন সম্পর্কে।
যদিও নরকে যাওয়ার আগে-
এইসব প্রশ্ন মূল্যহীন।
              তবুও,
      শেষ চাওয়াতে যদি ঈশ্বরের দ'য়া হয়,
তবে ইহলোকের ওইদিনগুলো মিলিয়ে নেবো।