আমাকে লিখতে বলা হয়েছিলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে-
ব্যস্ততার ভিড় ঠেলে খুচরো সময় নিয়ে-
আমিও বসেছিলাম ডায়রী খুলে-
ভেবেছিলাম মানুষের স্বপ্ন খুনের রঙ কেমন হয় তা লিখবো।
অথচ
মিয়ানমার নিয়ে ভাবার মতো কোনো সু্যোগ পাইনি।
ডাইরীর পৃষ্ঠা উল্টে শুধু কেঁদেছি,
অনেক চেষ্টা কোরেছি রোহিঙ্গাদের খোয়া যাওয়া মাংসে কাব্য ফুটিয়ে তুলতে!
কান্নার প্রলেপ দিয়ে জোড়া লাগাতে গোটা বিশেক লাইন।
বিশ্বাস করুন আরাকানের অস্তিত্বহীন মানুষকে নিয়ে ভাবতে মস্তিষ্কের নিউরন গুলো সাড়া দিচ্ছিলো না।
জোর কোরে কলম চাপিয়েছি কাগজের পিটে-
নিষ্পাপ শিশুদের মুখের আদলে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে কাগজের প্রতিবিম্ব।
কলম দিয়ে ঝড়ছিলো রক্ত স্রোত।
মোম গলানো ঊষর হৃদয় নিয়ে কয়েকবার কল্পনা কোরেছি কলঙ্কিত নাফ নদী।
নগদ মৃত্যু ঠেকাতে সাঁতার না জেনে ওরা ঝাপ দিয়েছিলো অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুতে।


বস্তুত যতোটা না দুঃখ পেয়েছি রোহিঙ্গাদের মৃত্যুতে তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি-
সভ্যতার অকাল মৃত্যুতে।
সিলিংয়ে ঝুলানো মানুষের বিবেক দ্যাখে ঘৃণায় বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম।


এই অবেলায় বিশ্বমানবতা আজ চুপ রয়েছে।
বৈরি বাতাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আরাকান।
অথচ কোথাও বিচার নেই।