শহুরে যানজট উপেক্ষা করে-
অদূরের এক পল্লীতে গা ভাসিয়ে-
ভাবছিলাম অশ্রুনীলা কেমন আছে।
বস্তত সমগ্র শীতকাল এমন ভাবনাতে চলে যায়।
হেমন্ত পেরিয়ে-
বসন্ত আসে জানালার ওপাশে।
শুধু এটুকু জানান দিতে,
কোকিল বিলুপ্তপ্রায় নয়।
বিবর্ণ প্রহর গুনে প্রকৃতি।
শহুরে দাড়কাকগুলো কাকতালীয় উড়ে যায়।
প্রিয়ো,
আগত বসন্তে আমায় একটা ভায়োলিন উপহার দেবে?
কেনো জানি,
আজকাল কবিতায় সবটুকু ধরতে পারি না।
রাতে কুড়ানো শব্দ হারিয়ে ফ্যালি স্বপ্নের ধূসরে।
পরিচিত জনের হাত ধরে খুঁজি এ গলি ও  গলি।
মধ্যে অভিমান রেখে অনর্থক সুঁতো টানা শেষে উপলব্ধি করি,
মোহ এখনো কাটে নি।
মায়াবি কুয়াশাগুলোকে কেমন উপদ্রব মনে হয়!
তুমি জানো,
আমার থেকে তোমার বিয়োজন মানে একটা মৃত গোলাপ?
ভাবছো, ভুলে যাবো!
কে পারে বিসর্জন দিতে পাহাড়ি উপত্যকায় সাজানো বিকেল?
হঠাৎ কোনো কোনো দুপুরে বাড়ি না ফিরলে মনে পড়ে,
একটা সময় ছিলো যখন তোমার চোখে সময় থামিয়ে দেয়া যেতো।
এখন ভালোলাগা উবে গ্যাছে।
তোমার নাম ভুলে পাড়ি দিয়েছি স্বপ্নলোক।
শুনলাম তুমিও কাঞ্চনজঙ্ঘা যাচ্ছো!
আমার কয়েকটা বিকেল সাথে নিয়ো।
এক হাতে হিমালয় অন্য হাতে বরফ।
চোখ বুজে অনুভব করো কতোটা গলে গ্যাছি, কতোটা গলে যাচ্ছি।