যেহেতু অর্কের হিশেব নিয়ে পাণ্ডুলিপি সাজানো হবে।
অতএব, পূর্ণিমার রাতে আলোচনায় বসে নক্ষত্রেরা।
শুধু শিশির ছোঁয়ার বোধ নিয়ে যে ঝিঁঝিঁপোকা গত হয়েছে-
তার জন্য অপেক্ষা ছাড়া কিছুই থাকবে না।
আরো সহজ কোরে বললে দাঁড়ায়,
প্রাত্যহিক ভোগান্তিতে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ছোঁয়ার অবসর নেই।
আমাদের রক্তের অতীত-
পাহাড়ি গলি বেঁয়ে গড়িয়ে গ্যাছে চোরাবালির ঠিকানায়।
বিকেল আসন্ন রোদের তীব্রতায়
মৌনতা নেমে আসে ঘরের বারান্দায়।
চাটি পেতে বসি
সাংসারিক আনন্দের ভগ্নাংশগুলো একপাশে রেখে-
মনে মনে আকাশনীলা'কে ভাবি।
যার কথা বিগত কয়েক বছরে কয়েক মিলিয়ন বার ভেবেছি।
শিশিরস্নাত ঘাস;
কৃষ্ণচূড়ার ফুল;
শিমুলের সুবাস;
ঘুমন্ত পদ্ম;
এই-সেই আরো কত কী!
ঋতুর অববাহিকায় গড়ে উঠা সকল আস্বাদনে নিমজ্জিত কোরেছি মনকে।
তবু নেভাতে পারি নি ব্যথার প্রদীপ।
কবিতা বেঁচে থাকার উৎস জেনে-
নির্ঘুম এঁকে যাই চোখের পাতায়।
শব্দ দিয়ে গড়তে থাকি কালের রেখা।
যদিও
অজস্র রাত গত হয়ে আসে চিন্তার আসরে!