তেরোটি শ্রাবণরাত পেরিয়ে গ্যালে-
আর কোনো দুঃখ অবশিষ্ট থাকে না!
কাফনে ঢাকা সকল কান্না শুষে যায় মাটির শরীরে।
পাজরের মানচিত্রে দাগ কেটে-
রাত্রি গড়িয়ে সকাল আসে পৃথিবীর দুয়ারে।
জানালায় বিভৎস রোদ;
কবিতাহীন বেঁচে থাকা;
সুযোগ নিয়ে বিকেলগুলো এড়িয়ে যায়-
আমার সহস্র প্রার্থনা।
খুইয়ে দেওয়া সময়ের ডাকে ইচ্ছেগুলো আরো পুরনো হয়।
এই শহরে দুপুরে ঘুঘু ডাকে না।
দাঁড়কাকগুলো উৎসুক চোখে চেয়ে থাকে ডাস্টবিনে
আর আমি নিভৃতে পৌঁছে যাই-
কাঠফাটা পৃথিবীর বারান্দায়।
বিগত আষাঢ় মাসে একবার প্রতিজ্ঞা কোরেছিলাম-
কান্নাবিসে হাত দেবো না।
অথচ এখনকার প্রতিটি রাত
মারিজুয়ানা-তে সম্পূর্ণ হয়।
হৃৎপিণ্ডে জমাট বাঁধা বিষ ক্ষণে ক্ষণে শোক ঢালে মস্তিষ্কে।
দীর্ঘশ্বাসে কান্না সাজিয়ে-
মাটির উনুনে ব্যথা এঁকে যাই রক্তের কারুতে।
আয়নায় দাঁড়িয়ে,
নিজের অস্তিত্ব ভুল প্রমাণে মাতাল হই!
যেহেতু বয়স খেয়ে নিয়েছে চিৎকার কোরে কান্নার অধিকার।